পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] SSAAAASA SSASAS SS SAAAAAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS প্রথমে দোকানে এক কাপ চ খাইল, পরে ফুটপাথের ধারে দাড়াইয় একটুখানি ভাবিল, কালীঘাটে মামীর বাড়ী যাওয়ার কথা আছে, এখন যাইবে কি না। একখানা বই কিনিবার জন্য একবার কলেজ ষ্ট্রাটেও যাওয়া দরকার । কোথায় আগে যায় ? অপূৰ্ব্ব একমাত্র ছেলে, যার কথা তার সব সময় মনে হয় । যে কোনোরূপে হউক অপূৰ্ব্বকে সে নিশ্চয়ই বিদেশ দেখাইবে । তলপেটে অনেকক্ষণ হইতে একটা কি বেদন বোধ হইতেছিল, এইবার খেন একটু বাড়িয়াছে,হাটিয় চৌরঙ্গীর মোড় পর্য্যন্ত যাওয়ার ইচ্ছা ছিল, সেটা আর না যাওয়াই ভrল । সম্মুথেই ড্যালহাউসি স্কোয়ারের ট্রাম, সে ভাবিল পরেরটাতে যাব, বেজায় ভিড়, ততক্ষণ বরং পত্ৰখান। ডাকে ফেলে আসি । নিকটেই লালরংয়ের গোল ডাকবাক্স , ফুটপাথের ধারে, ডাকবাক্সটায় গা ঘেষিয়। একজন মুসলমান ফিরিওয়াল পাকা কাচকল বিক্ৰী করিতেছে, তাহার বাজরায় পা ন লাগে এইজন্য একপায়ে ভর করিয়া অন্য পা খান। একটু অস্বাভাবিকভাবে পিছনে বাকাভাবে পাতিয়া সে সবে চিঠিখান ডাকবাক্সের মুখে ছাড়িয়া দিয়াছে—এমন সময় হঠাৎ পিছন হইতে যেন কে তীক্ষ বশী দিয়া তাহার দেহটা এফোড় ওফোড় করিয়া দিল, এক নিমেষে অনিল সেটাতে হাত দিয়া সাম্‌লাইতেও যেন অবকাশ পাইল না-হঠাৎ যেন পায়ের তলা হইতে মাটি সরিয়া গেল-চোথে অন্ধকার—কাচকলার বাজরার কাণাটা মাথায় লাগিতেই মাথাটার একট। বেদনা— মুসলমানটি কি বলিয়া উঠিল.হৈ হৈ, বহু লোক.কি হয়েচে মশায় ?...কি হ’ল মশায় ? সরে সরো—বাতাস করে বরফ নিয়ে এস.এই ষে আমার রুমাল নিননা, - অনিলের দুট। মাত্র কথা শুধু মনে ছিল - একবার সে অতিকষ্টে গেীয়াইয়া গোয়াইয়। বলিল—রি—রিপণ কলেজ-রিপণ কলেজ—অপূৰ্ব্ব রায়--রিপণ – আর মনে ছিল সামনের একট। সাইনবোর্ড-গণেশচন্দ্র দা এণ্ড কোং— কারবাইডের মশলা, তারপরেই পেটে পুনরায় তীক্ষ বর্শাট কে যেন সজোরে তলপেটে ঢুকাইয়৷ দিল---সঙ্গে সঙ্গে সব অন্ধকার-কতক্ষণ পরে সে জানে না, - Woo- 6: অপরাজিত Q)○ তাহার জ্ঞান হইল একট। বাক্স বা ঘরের মধ্যে সে শুইয়া আছে, ঘরটা বেজায় দুলিতেছে. পেটে ভয়ানক যন্ত্রণl. কাহারা কি বলিতেছে, অনেক মোটর গাড়ীর ভেপুর শব্দ অfবার ধোয় ধোয়া--- 来源 蚤 来 来 পুনরায় যখন অনিলের জ্ঞান হইল, সে চোখ মেলিয়৷ চাহিয়৷ দেখিল একটা বড় সাদা দেওয়ালের পাশে একখান। খাটে সে শুইয় আছে। পাশে তাহার বাব ও ছোটকাক বসিয়া, আরও তিন-চারজন অপরিচিত লোক, নাসের পোষাক-পরা দুজন মেম। এটা হাসপাতাল ? কোন হাসপাতাল ? কি হইয়াছে তাহার ?.তলপেটের মন্ত্রণ তখনও সমান, শরীর ঝিম্ ঝিম্ করিতেছে, সারা দেহ যেন আবশ । еще в পরদিন বেলা দশটার সময় অপু গেল। সে-ই কাল খবর পাইয়া তখনি ছুটিয়া শিয়ালদহের মোড়ে গিয়াছিল । সঙ্গে ছিল সত্যেন ও চার-পাঁচজন অন্য অন্ত শ্রেণীর ছেলে । টেলিফোনে অ্যাম্বুলেন্স গাড়ী আনাইয়া তথনি সকলে মিলিয় তাহাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয় ও বাড়ীতে খবর দেওয়া হয় । ডাক্তার বলেন হানিয়। ষ্টাঙ্গুলেটেড, হানিয়া...তখনি অস্ত্র করা হইয়াছে । বৈকালেও সে গেল। কেবিন ভাড় করা হইয়াছে, অনিলের মা বসিয়াছিলেন, অপু গিয়া পায়ের ধূলা লইয়া প্রণাম করিল। অনিল এখন অনেকটা ভাল আছে, অস্ত্র করার পরে বেজায় যন্ত্রণ পাইয়াছিল, সারারাত ও সারাদিন-দুপুরের পর সেটা একটু কম । তাহার মুখ রক্তশূন্ত পাণ্ডুর। সে হাসিয়া অপুর হাত ধরিয়া কাছে বসাইল, বলিল –স্বাস্থ্যের মতন জিনিষ আর নেই, যতই বলুন—এই তিনটে দিন যেন একেবারে মুছে গিয়েচে জীবন থেকে । অপু বলিল—বেশী কথা বোলে না, যন্ত্রণ কেমন এখন ? আনিলের মা বৃলিলেন- তোমার কথা সব শুনেচি, ভাগ্যিস তুমি ছিলে বাবা সেদিন । অনিল বলিল, দেখবেন মজl, ঘণ্টা নাড়লেই নাস"