পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] বঙ্গসাহিত্যে প্যারীচাদ Q)。 “দময়ন্তীও পতিপরায়ণা ছিলেন। সকল কামনা পতিতে পর্য্যবসান করত পতিতে মগ্ন হইয় আত্মলাভ সাধন করিতেন। পতি সত্ত্বেই হউক আর পতিবিয়োগেই হউক, সাকার কিংবা নিবাকার পতি অবলম্বনে পূৰ্ব্বকালীন অঙ্গনার আত্মার উদ্দীপন করিতেন । দময়ন্তী ঘোর ক্লেশে পতিত হইয়াছিলেন । অরণ্যে পতিকবুক পরিত্যজ্য অৰ্দ্ধবস্ত্রপরিপানা, তথায় নিমেমমাত্র পতিকে বিস্মরণ না করিয়া অনেক দুর্গম স্থানে পর্য্যটনপূৰ্ব্বক পুনরায় পতিকে পাইয়াছিলেন।” ( বসুমতী সংস্করণ ১৪১ পৃষ্ঠা—সদ্যবধ প্র বন্ধের মধ্যে ) আজকাল এই ভাষা তার চলে না, অথচ তখন ইহাই আদর্শ এবং শ্রেষ্ঠ ভাষা ছিল । তুলনার মধ্যবৰ্ত্তী ভাষার নমুনা ও তাহার গ্রন্থাবলীর মধ্যে অনেক স্থানে পাওয়া যায় । বিশেষতঃ র্তাহার প্রবন্ধ রচনা সকল প্রকারের ভাসাতেই লিখিত আছে । ঐ পৃষ্ঠাতেই শকুন্তলা সম্বন্ধে লেপক লিখিতেছেন— “শকুন্তলার উচ্চ শিক্ষণ হইয়াছিল। পালক পিত কহেন—কন্য। ঋণ-স্বরূপ--উৎকণ্ঠ অমূল্য রত্ন-পিতারই গচ্ছিত ধন, রাজা দুষ্মন্ত কর্থের আশ্রমে শকুন্তলাকে বিবাহ করিয় রাজ্যে গমন করেন। অনস্তর শকুন্তলার এক পুত্র জন্মে। তিনি ঐ পুত্রকে সঙ্গে করিয়া রাজার সভায় উপস্থিত হইয় বলেন –‘রাজন ! আমি তোমার ভাৰ্য্য, এই বালকটি তোমার পুত্র ? রাজা তাহাব কথা অবিশ্বাস করিলেন । শকুন্তলা বলিলেন, ‘রাজন ! ভাৰ্য্যাকে অবহেলা করিও না— ভায্য ধৰ্ম্মকার্য্যে পিতার স্বরূপ—অান্ত ব্যক্তির জননী-স্বরূপ এবং পথিকের বিশ্রামস্থান স্বরূপ|--আর সত্যই পরম ব্রহ্ম । সত্য প্রতিজ্ঞ প্রতিপালন করাই পরমোৎকৃষ্ট ধৰ্ম্ম । অতএব তুমি সত্য পরিত্যাগ করিও না ।” আর একটি স্থল দেখাইতেছি, মনে হয় এইবার ক্রমশ প্যারীচাদের নিজের রাজ্যে আসিয়া পড়িতেছি । প্যারীচাদের প্রাণ যে-ভাষ চাহে, সেই ভাষাই এইবার আরম্ভ হইতেছে। তত্ত্বের দিক দিয়া ও ইহার বিশেষ মূল্য আছে, উদ্ধৃত করিতেছি – “একজন নাস্তিক ও একজন আস্তিক দুইজনে مہیہ ع_معمہ এক জাহাজে গমন করিতেছিল । দুইজনে ঘোর বিচার হইতেছে, গজকচ্ছপের মত কেহই কাহাকে পরাজয় করিতে পারে না। দৈবাৎ আকাশ ঘন মেঘে পূর্ণ হইল— বায়ু ঘোরতর প্রচণ্ড হইতে লাগিল । তরঙ্গ যেন মাতঙ্গের ন্যায় ভয়ঙ্কর হইল—জাহাজ ডুবুডুবু হয়, এমত সময়ে নাস্তিক প্রাণভয়ে অতিশয় ব্যাকুল হইয়া চীৎকার করিয়া উঠিল, ‘পরমেশ্বর রক্ষা কর ।” কিয়ংক্ষণ পরে বায়ু শান্ত হইলে আস্তিক না স্থি ক কে জিজ্ঞাসা করিল, “মহাশয়, ঈশ্বরের আ স্তি ত্ব বা রং বা র অঙ্গীকার করেছেন, তবে কেন তাহাকে ডাকেন ? নাস্তিক কহিল, “আমি ইচ্ছাপূর্বক ডাকি না, কে ধেন আগমণকে ডাকালে । جی ہسپاہج ہے۔ o বোধ হয় *te V "يوم ع نمودارها বিপদে পড়িলে সকলেই :ಸಿ. •. മാ.ു ീക." এইরূপ করে । ( যৎকিঞ্চিং, ৪৬ পৃষ্ঠা ) বৰ্ত্তমান বা ঈ ল| সাহিত্য যে ক্রমশই সংস্কৃত ভাষা হইতে দূরে সরিয়া যাইতেছে, উপন্যাস নাটকেরু কথোপকথনে থাটি বাঙ্গলা শব্দের প্রচলন যে উত্তরোত্তর বাড়িয়াই চলিয়াছে, এমন কি প্রবন্ধের ভাষাও যে অনেক স্থলে কথ্যভাযার অতুরূপ হইয় গড়িয়া উঠিতেছে, তাহার মূলে এই প্যারীচাঁদের প্রভাবই বিদ্যমান। তবে পারীচাদ ভাষাটিকেই মাত্র কথ্যভাষা করিতে চাহিয়াছিলেন, কিন্তু রুচি দেশীয় ভাবেই অনুপ্রাণিত থাকুক, ইহাই তাহার ইচ্ছা ছিল। বঙ্গভাষী সংস্কৃতের প্রভাব হইতে মুক্ত হউক, প্যারীচঁাদ মিত্রের মৰ্ম্মর মূৰ্ত্তি