পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NVදී MAMAMMA AMMAAAS AA SAASAASSAAAMMAAAMMMMMA SAMMMAMAM আরম্ভ করিয়া দিল। মায়ার সামান্ত একটু সঙ্কোচ যাহা ছিল, দেবকুমারের ব্যবহারে সেটাও কাটিয়া গেল । দেবকুমার বলিল, “আচ্ছা, জাহাজের জাণী আপনার কেমন লাগে ? বেশ কয়েকবারই এই লাইনে গিয়েছেন এসেছেন, না ?” মায়া বলিল, “ন, খুব বেশী বার কি আর ? এই নিয়ে বার চারেক হ’ল । আমার মোটেই ভাল লাগে না, সময় কিছুতেই কাটুতে চায় না। ঘড়ি দেখে দেখে আমার ত চোখ ব্যথা করতে থাকে।” দেবকুমার বলিল, “প্রতিবারেই কি একলা এক কেবিনে থাকেন ?” মায় বলিল, “ন, প্রথমে ত আমার এক পিসীমা সঙ্গে ছিলেন । তার পর অন্য লোকের সঙ্গেও এসেছি, কিন্তু এত বেশী অসুবিধা হয় যে, বাবা লিখেছিলেন এবারে একটা কেবিন রিজার্ত করে যেতে । এতেও এক বিপদ, সারাক্ষণ ষ্টা করে একলা বসে থাকতে থাকতে প্রাণ যেন বেরিয়ে আসে ।” দেবকুমার বলিল, “কিই বা দরকার ও খুপরীটার মধ্যে সারাক্ষণ বসে থাকৃবার । খাওয়া, নাওয়া, ঘুমনে৷ ছাড়া সব সময়টাই ডেকে থাকতে পারেন। ওদিককার বড় বড় জাহাজগুলোতে ডেক ত কোনো সময় খালি দেখবার জো নেই। হয় খেলা চলছে, নয় গান বাজনা, নয় গল্প। নিদেন পক্ষে চুপচাপ বসে সমুদ্রও ত দেখা Iায়। কেবিনের মধ্যে সে সুবিধেও ত নেই।” মায়া বলিল, “তা এলে হয়, তবে সব সময় একলা হট হট করে আসতে যেতে ভাল লাগে না । ডেকের এই পাশের লোকগুলো এমন অসভোর মত তাকিয়ে থাকে, যে, তাদের সাম্নে দিয়ে যাওয়া-আসা করাই এক ট্রায়্যাল।” দেবকুমার বলিল, “যতবার বলবেন ততবার গিয়ে আমি নিয়ে আসব। বয়টাকে বললেই সে আমায় ডেকে দেবে।’ মায়া একটু সঙ্কুচিত হইয়া বলিল, “আপনি আবার এত কষ্ট করে, বার বার আসবেন--” দেবকুমার আবার বলিল, “কষ্ট আবার কি ? আমি প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড مخمی مصیحیحییعیہ، ত বেঁচে যাই, সারাদিন একলা ই করে বসে থাকতে আমার বুঝি বড় ভাল লাগে ? এক এক সময়ে ইচ্ছে করে ঐ মেড়োগুলোর সঙ্গেই গিয়ে ভাব করি।” মায়া অন্য কথা পাড়িয়া জিজ্ঞাসা করিল, “আচ্ছা, এতকাল বিলেতে থেকে এসে দেশটা আপনার কেমন লাগছে ?” - দেবকুমার বলিল, “তা ত বল শক্ত। এক এক দিক দিয়ে বেশ খারাপই লাগে, যেমন রাস্তাঘাট, বাড়ীঘর সবই বেশী নোংরা লাগে, মানুষগুলিকেও এক একদিকে অসভ্য এবং অভব্য মনে হয় । অধিকাংশ মামুযের সঙ্গে কি নিয়ে যে আলোচনা করব ভেবে পাই না, নিতান্ত নিজের বয়সী ছেলেছোকৃরার দলের সঙ্গে ছাড়া । আবার এতকাল পরে আত্মীয়স্বজন সবাইকে দেখছি, সেটা ভাল লাগছে। লগুনের ধোয় আর কুয়াসার হাত থেকে মুক্তি পেয়ে নীল আকাশ, চাদ তারাগুলো দেখতে পাচ্ছি, এটাও ভাল লাগছে। হাজার কাটখোট্ট হ’লেও দেশের মাঠ, ঘাট, বন নদী দেখে খুসি না হয় এমন লোক আর কটা আছে ?” মায়া জিজ্ঞাসা করিল, “আপনি কি রেঙ্গুনেই প্রাকৃটিস্ করবেন, না কলকাতায় ফিরে আসবেন ?” দেবকুমার তাহার দিকে চাহিয়া বলিল, “রেঙ্গুনে করাই এক রকম স্থির করে ফেলেছি।” হয়ত তাহার তাকান এবং কথার মধ্যে বিশেষ কোনোই অর্থ ছিল না, তবু মায়ার কানের কাছটা লাল হইয়া উঠিল এবং কিছুক্ষণের জন্য সে থামিয়া গেল । দেবকুমার বলিল, “গিয়ে দিন-কতক সারাবর্ণ। ঘুরব ঠিক করেছি। তারপর বাবাকে নিয়ে পড়তে হবে তার মেসে বাস ঘোচাবার জন্যে । এক ঘরে দশজন মানুষ বাস করে করে এমনি অভ্যাস করেছেন, যে, একটা ঘরে একলা থাকতেই তার অসুবিধা বোধ হয়। বাড়ীতে একটার বেশী দুটো চাকর বা দুটোর বেশী তিনটে তরকারি দেখলেই তিনি অস্বস্তিতে অস্থির হয়ে ওঠেন।” মায়া বলিল, “তবে ত আপনার বড় অস্থবিধা হবে।” a দেবকুমার বলিল, “তিনি ষাট বছরের বুড়ো হয়ে যা