পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©8 o مے سے ح= حیہ سمہ سے ہمہ-مے পরিশ্রম করিলে তাহার গুরুতর ক্ষতি হইবে। মহেশবাৰু কিন্তু সে কথা স্বীকার করিতেন না। তিনি একবার বলিয়াছিলেন, “বহু বৎসর পূৰ্ব্বে চিকিৎসকগণ আমাকে আমিষ খাইতে পরামর্শ দিয়াছিলেন, এবং আমি আমিষ খাইয়া দেখিয়াছি। দেখিলাম আমিষ ও নিরামিষ উভয় প্রকার অtহারের ফল প্রায় একই । আমিষ খাইয়া বিশেষ কিছু উন্নতি বুঝিলাম না। স্থতরাং পূৰ্ব্বের ন্যায় নিরামিষ আহার করিতে লাগিলাম।” অল্পাহার সম্বন্ধে একটি মজার ঘটনার কথা মহেশবাবু বলিয়াছিলেন। একদিন একজন ভদ্রলোক আসিয়া অত্যন্ত বিনয়ের সহিত মহেশবাবুকে বলিলেন, “আপনি নাকি অনাহারে থাকেন ? একি কম শক্তির কথা ! আপনি নিশ্চয় যোগ অভ্যাস করেন, কিছু না খেয়ে থাকা কি যার তার কৰ্ম্ম ?” মহেশবাবু হাসিয়া বলিলেন, “আপনাকে কে বলিল, যে, আমি অনাহারে থাকি ? আমি সামান্যই আহার করি, কিন্তু অনাহারে থাকি না এবং না থাইয়া লাচিয়৷ থাকিবার শক্তিও আমার নাই ।” ভদ্রলোকটি বলিলেন, “সাধুরা এই ভাবেই আত্মগোপন করেন ৷” মহেশবাবুর খুব হাসি পাইল । তিনি নানাভাবে ভদ্রলোকটিকে বুঝাইলেন, যে, তিনি প্রত্যহ আহার গ্রহণ করেন ; অনাহারে থাকেন না । র্তাহার অসাধারণ মনের জোর ছিল । তিনি স্থিতপ্রজ্ঞ ছিলেন। কোন ঘটনায় তিনি বিচলিত হইতেন না। শারীরিক পীড়া তাহার শাস্তি ও প্রফুল্লত হরণ করিতে পারিত না । তাহার স্মৃতিশক্তি অত্যন্ত প্রখর ছিল । র্তাহার ঘরে ঢুকিলেই দেখা যাইত, যে, ঘরময় য়াশি রাশি পুস্তক সাজান রহিয়াছে। পাশের ঘরগুলিতেও তাই । তিনি একবার যাহা পাঠ করিতেন, তাহা সহজে বিস্কৃত হইতেন না। তিনি বহু পুস্তকের সমালোচনা করিয়াছিলেন । অনেকে মনে করেন, সমালোচকের কাজ করিলে মানুষের মন তিক্ত ও রুক্ষ্ম হইয়। যায়। কিন্তু মহেশবাবু সদানন্দ, সরল ও বিনয়ী ছিলেন। [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড যশোমানের প্রতি তিনি সম্পূর্ণ উদাসীন ছিলেন। র্তাহার চরিত্রে নানা গুণের একত্র সমাবেশ হইয়াছিল । তিনি নির্জনবাসী হইয়াও জনসমাজের সকল সংবাদ রাখিতেন। অসাধারণ পণ্ডিত হইয়াও অজ্ঞের ও অল্পজের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহানুভূতিসম্পন্ন ছিলেন। দার্শনিক হইয়াও কৰ্ম্মকুশল ছিলেন। তাহার দেহত্যাগের বহু বৎসর পূৰ্ব্বেই চিকিৎসকগণ র্তাহীর জীবনের আশা একরকম ছাড়িয়াই দিয়াছিলেন । অনেকেই বলিতেন, “মহেশবাবুর অসাধারণ ইচ্ছাশক্তি র্তাহাকে এখন বঁাচাইয়া রাখিয়াছে।” তাহার ক্ষীণ দেহের মধ্য দিয়া আধ্যাত্মিক জ্যোতিঃ ও মানসিক স্মৃষ্টি প্রকাশ পাইয়া সকলকে মুগ্ধ ও চমৎকৃত করিত। তিনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ভাল জানিতেন । অনেক গরীব লোক তাহার নিকট ঔষধ লইতে আসিত । তাহার চিকিৎসায় উহার বেশ ফল পাইত । একদিন আমি তাহার নিকট বসিয়া আছি, এমন সময় একজন লোক ( বোধ হয় একজন গাড়োয়ান ; আসিয় তাহার নিকট ঔযধ চাহিল । তিনি রোগের সমস্ত লক্ষণের কথা শুনিয়া ঔষধ দিলেন । লোকটি চলিয়। গেলে তিনি বলিলেন, ‘ ইহার বড় বেশী পেয়াজ রইন খায়, তবু ইহাদের শরীরে হোমিওপ্যাথিক ঔষধের ক্রিয়া হইতে দেখা যায় ।” একবার বহুলোক র্তাহাকে প্রণাম করিতে আরম্ভ করে। এক একজন প্রণাম করে আর মহেশবাবু, দুই হাত পিছাইয়া যান । যখন শেয ব্যক্তির প্রণাম কর। হইয়া গেল, তখন দেখা গেল, যে, মহেশবাবু পিছাইতে পিছাইতে প্রায় ঘরের বাহিরে চলিয়া গিয়াছেন। একবার একজন শিক্ষিত ব্যক্তি কৰ্ম্মদোষে বিপন্ন হইয় পড়েন ; সেই ব্যক্তি এক সাধুর আশ্রয় গ্রহণ করেন, এবং সৌভাগ্যলাভের আশায় নানারূপ ক্রিয় করাইতে থাকেন। মহেশবাবু সে কখা শুনিয়া বলিলেন, “শিক্ষিত লোকদের মধ্যেও এই দুৰ্ব্বলতা দেখা যায়। কেহ কেহ ধৰ্ম্মকৰ্ম্মকে সাংসারিক উদ্দেশু সিদ্ধির উপায়রূপে ব্যবহার করে। যদি হঠাৎ তাহদের উদ্দেশু সিদ্ধ