পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] SAAAAAA AAAA AAAAAS SSAS SSAS SSAS SSAS --------- سیم حامی --ر হইয়া যায় তবে তাহারা মনে করে, যে, ঐ সকল প্রক্রিয়াই তাহদের সাংসারিক উন্নতির জন্য দায়ী।” তিনি চিরকুমার ছিলেন। জ্ঞানচর্চ তাহীর জীবনে বল, আনন্দ ও শাস্তি আনয়ন করিয়াছিল। “ তিনি শেষজীবন হাজারিবাগেই কাটাইয়াছিলেন। ১৯২৬ সনের এপ্রিল মাসে তাহার সহিত শেষ দেখা হয়। তখন বলিয়াছিলেন, “আর দেখা হয় কি না সন্দেহ ।” কিন্তু তাহার পরেও চারি বৎসর পৃথিবীতে বৰ্ত্তমান ছিলেন । দেহত্যাগের দুইতিন মাস পূৰ্ব্বে র্তাহার শরীর অত্যন্ত নাস্তিক SAASAASAASAASAASAASAASAASAAMAMMAAASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS 6:8) SAAAAAAASS SAA AA ASASASAS SS SS SS S AAAAAA SAAAAAS SSAAAASAASAASAASAASAA AAAS - -۔ --سی-م۔ --سی-۔ অসুস্থ হইয়া পড়ে। তখন হাজারিবাগ ব্রাহ্মসমাজে উৎসব হইতেছিল । এক উৎসবের ভার বহন কর র্তাহার পক্ষে সম্ভব ছিল না ; সুতরাং কলিকাতা হইতে লোক পাঠান হয়। ইহার পর তাহার শরীর কিছু স্বস্থ হয়, কিন্তু আবার অমুখের বৃদ্ধি হয়। অসুস্থ অবস্থায় তিনি কোন দিন এক মুহূর্তের জন্য ও কোন প্রকার কাতরতা প্রকাশ করেন নাই । তিনি পরম নিশ্চিস্তভাবে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করিতেছিলেন, এবং প্রায় তিন মাস রোগে ভুগিয়া নশ্বর দেহ ত্যাগ করেন । নাস্তিক শ্রীপবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় তারপর বিনোদ বলিল, খবর কি ? এতদিন পর মনে পড়ল আমায় ? কোথায় ছিলে এতদিন ? তুমি কিন্তু একটুও বদলাও নি। তোমার সেই রোগাপটুক চেহারা, স্নান মুখ, ড্যাব ড্যাবে কালে চোখ দুটি যেন কিসের সন্ধানে ঘুরে মরছে, যেন সবজিনিষেরই ভিতরকার কথা টেনে নিতে চায় ! তোমায় পেয়ে ভারি খুশী হয়েছি কিন্তু -“কিন্তু সে যাক, বুড়ে ঠাকুমা’র মত কি সব আবোলতাবোল বকৃছি ! আমায় এখানে এ অবস্থায় দেখে খুব আশ্চৰ্য্য হয়ে গেছ নিশ্চয় । ভাবছ আমি অনেকটা বুড়িয়ে গেছি, কেমন নয় ?—ত বয়েসও ত নেহাৎ কম হ’ল না। এই যে হাত দুখান দেখছ, এতে ডাক্তারের ছুরির বদলে চামীর কাস্তেই মানায় ভাল। তোমার হাত দুখানা কিন্তু বেশ নরমই রয়ে গেছে—তোমার যৌবনশ্রীর এতটুকুও কম্‌তি হয় নি। আমার কথাবাৰ্ত্তা শুনে নিশ্চয়ই অবাক হয়ে গেছ । ই, আমিই তোমার সেই ছেলেবেলাকার সাথী, যৌবনের সহপাঠী ; আজ আমি প্রৌঢ়, চোখ দুটো আমার কোটরে ঢুকেছে, কপালে স্বম্পষ্ট বলিরেখা পড়ে গেছে ! মনে পড়ে ছেলেবেলাকার কথা ? বেরালের লেজে বিস্কুটের টিন বেঁধে তাকে একদিন ছাদের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম, সারাট। রাত্তির বেরালটার সে কি তাণ্ডব নৃত্য ! পাশের বাড়ীর সকলেই ভূতের উপদ্রব মনে করে কি সাংঘাতিক ভয়ই না পেয়েছিল ! তোমার প্রাণখোলা সরল হাসিটি আঞ্জ ও মনে অথচ কতদিন হয়ে গেছে ! মনে পড়ে স্কুলে সেই পিছনের বেঞ্চিতে বসে লেবেঞ্চুস খাওয়া। অঙ্কের ঘণ্টায় নিশিবাবুর সেই অতিশাসন ?--সামান্ত ক্রটি এড়িয়ে চলবার জো নেই, র্তার উদ্যত বেত্রখণ্ডের সঙ্গে আমাদের সেই প্রতিদিনকার চির-মিলন। মনে পড়ে, একদিন তোমার ‘হোম টাস্ক’ আমি হরিপদর থাত দেখে টকে দিয়ে কি লাঞ্চনাটাই না ভোগ করেছিলাম ! তারপর, সেবার বার্ষিক পরীক্ষার পর তোমাতে আমাতে একদিন দুপুরে আমাদের বকুল গাছটার তলায় শানবাধানে আসনে বসে রবীন্দ্রনাথের ‘চিত্রাঙ্গদার’ কাব্যরসে মশগুল ছিলাম। তোমার স্বাভাবিক মুদুমধুর স্বকণ্ঠে সেই আবৃত্তি, তোমার সে আত্মহারা দৃষ্টি আজও আমি ভুলতে পারিনি। তুমি হেসে আমায় বলেছিলে, পড়ে