পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঢাকাই মসলিন শ্ৰীকেদারনাথ চট্টোপাধ্যায় । এদেশের যে সকল শিল্প লোপ পাইয়াছে তাহার মধ্যে ঢাকার মসলিনের স্মৃতি সৰ্ব্বাপেক্ষা আধুনিক। অতি অল্প দিন—-পঞ্চাশ বৎসর—পূৰ্ব্বেও এই বয়নশিল্পের প্রকৃষ্ট উদাহরণ এদেশের শিল্পীকে গৌরবান্বিত ও বিদেশীয়কে হতাশ করিত। অতি আধুনিক যুগে কলনিৰ্ম্মিত স্বল্পমূল্য অনুকরণের ফলে ইহার ধ্বংসপ্রাপ্তি ঘটিয়াছে । ইহার ইতিহাস অতি প্রাচীন। স্থদূর রোমে ইহা Ventus textilis «I Nebula Af^ •Iqv $ <&মূল্যে বিক্রীত হইত। * তাহারও বহুপূৰ্ব্বে এদেশের প্রাচীন পুস্তকে উহার উল্লেখ পাওয়া যায়। তথন কাপাসবষ্কসকল মধ্যে ইহা সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ ও অতুলনীয় বলিয়া পরিগণিত হইত। ট্যাভরনীয়রের আমলেও ( খুঃ সপ্তদশ প্রথমার্দ্ধে ) ইহা জগদবিখ্যাত ছিল এবং সৰ্ব্বত্র আদৃত সে সময়ে পনের গজ লম্বা ও একগজ চওড়া সাধারণ মসলিনের ওজন হইত তিন বা চারি তোলা মাত্র । - ১৮৬৬ খৃষ্টাব্দের ঐ মাপের শ্রেষ্ঠ মসলিন পাচ হইতে সাত তোলা ওজনের হইত। সে সময়ের দশগজ লম্ব। এবং একগজ চওড়া উৎকৃষ্ট মসলিনের ( মলমলখাস ) টানায় ১০০০ হইতে ১৮০০ সংখ্যক স্থত থাকিত । ইহার ওজন হইত ১৪০০ হইতে গ্রেণ অর্থাৎ চার হইতে পাচ তোলাব মধ্যে । বৰ্ত্তমান সময়ে স্থতাকাটা ও বয়ন সম্বন্ধে দেশে পুনৰ্ব্বার চর্চা আরম্ভ হইয়াছে, সেইজন্য এই শিল্পের খৃঃ উনবিংশ শতকের মধ্যভাগে যে অবস্থা ছিল তাহার একটি বিবরণ দেওয়া গেল। : e শতকের গুইত । ৭ У Ф. о о

  • Periplus, Schgfi, 63. Sge notes..... | + Travels, Ball's Edition Book II. lap. II.

! Watson, Tertile Manufactures.

মসলিন মসলিন নানা প্রকারের ও তাহা বহু নামে পরিচিত। তন্মধ্যে স্বাক্ষ্ম, সাদা জমিন ও সাদা রড়েব মসলিমের বিষয় এই স্থানে আলোচন৷ করা যাইতেছে । এই মসলিনের বেশীল ভাগ ঢাকায় তৈরী হয় এবং ঐস্থানের মসলিনই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট । এই কারণেই ভারতেব যে সকল স্মৃগ মসলিন গাছে তাহ। ঢাকাই মসলিন বলিয়াই আমরা নিৰ্দেশ করিয়া থাকি । ভারতের অস্তান্ত স্থানেও স্বশী ও হুগ মসলিন প্রস্তুত হইয়া থাকে। কিন্তু ঢাকার উtঙীরা এই সম্পর্কে অবিসম্বাদিরূপে শীর্ষস্থান অধিকার করিয়া আছে। নিপুণতার দিক দিয়া এ পg্যষ্ঠ ভারতের ঝু টেকোয় সরু সুতীকাট৷ বিদেশের কোন তাতাই ইহাদিগকে হীরাইতে পারে নাই । ঢাকার মসলিন হইলেই কেহ আর তাহা যাচাই করিতে BBB BS SSBBBBBSBYBB BBS BBBB BBBBB BBBBD নামগুলিই লোকের মৃনে বিস্ময় উৎপাদন করিয়া থাকে। টেলর সাহেবের মতে ঢাকাই মসলিনের পরিমাপ সচরাচর এক একথান দৈর্ঘ্যে - ০ গজ এবং প্রস্থে এক গজ । টানার সুতার সংখ্যা পড়েনের মত। অপেক্ষ অনেক বেশী। বিশ তোলা ( এক পোয় ) ওজনের একখানা মসলিনে টানা এবং পড়েনের স্বতার অনুপাত ১১:৯, বস্ত্রের দৈর্ঘ্য এবং ওজনের তুলনায় টানার স্বতার সংখ্যা বিবেচনা করিয়াই মসলিনের মূল্য নিৰ্দ্ধারিত হইয় থাকে । যেগুলির দৈর্ঘ্য যত বড়, টানার স্বতীর সংখ্যা যত বেশী এবং ওজন যত হাঞ্চ তাহার মূল্যই তত বেশী । চার পাচটি স্থত এক সঙ্গে পাকাইয় তাহাতে গ্রস্থি দিয়া মসলিনের এক প্রান্তে ঝালরের মত কারুকার্য্য করা হয় । এই দিক দিয়া বিচার করিলে ঢাকাই মসলিন মিশর দেশের মর্মী বস্ত্রেরই কতকটা অনুরূপ। মমবস্ত্রের দুই দিকেই কিন্তু শালের স্যায়