পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪থ সংখ্যা ] বয়নকালে টানার স্বতীয় যাহতে কম ঘর্ষণ লাগে, সেইজস্য মাকু, শানা ও দফতিতে সময় সময় তেল দেওয়া দরকার। গ্রীষ্মের তাপে টানার স্বত যাহাতে শুকাইয়া ভঙ্গুর অবস্থা প্রাপ্ত না হয় সেইজন্য নলখাগড়ার অাশে তৈরী বুরুস দিয়া মাঝে মাঝে স্বতীয় সরিষার তেল মাখাইয়া দিতে হয় । দশ বার ইঞ্চি কাপড় বোন৷ হইয়া গেলে কাপড়-গুটলি গোলাকার কাঠে তাহ জড়াইয়। রাথিবীর পুৰ্ব্বে তাহাতে চুণের জল ছিটাইয়া দেওয়া হয়। ইহাতে কাপড় পোকায় নষ্ট করিতে পারে না । জলীয় হাওয়ার তাপ যখন ৮২ ডিগ্ৰী হয় তখন মসলিন-বয়ন সম্ভব হয়, তাহার বেশী তাপে কষ্টসাধ্য হইয়া দাড়tয় । দুপুরে যখন সুয্যের প্রখর উত্তাপ চারিদিক ঝলসাইয়া দেয় তখন বয়নের কাজ সম্ভব হয় না। এই জন্ত উ। তাঁর সকাল ও বিকালে বয়ণকাৰ্য্য চালাইয়। থাকে । আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাস সূক্ষ্ম মপলিন বস্ত্র বয়নের পক্ষে বিশেষ উপযোগী সময়। অত্যস্ত গরমের দিনে বয়নকালে টানার স্বতার নীচে অগভীর পাত্রে জল রাখার প্রয়োজন হয় । সেই জল হইতে জলীয় বাপ উঠিয়া সু তা গুলিকে আদি করিয়। রাখে এবং তাহার ফলে বয়নকালে স্ব তা চিড়িয়া বtয় না। সম্ভবত এই প্রক্রিয়াই ঢাকাই মসলিন যে কখন কথন জলের ভিতর বয়ন করা হয়, এই ভ্রান্ত ধারণ লোকের মনে জাগাইয়। দিয়াছে। রঙ্গিণী QQ ○ বস্ত্রের স্বল্পতা ও দৈর্ঘ্যের তারতম্য অনুসারে এবং শিল্পীর নিপুণতার ইতরবিশেষে বস্ত্ৰ-বয়নে সময়েরও তারতম্য হইয়া থাকে। সাধারণ বস্ত্র বয়নে দশ হইতে পনের, তাহ অপেক্ষা উৎকৃষ্ট কুড়ি, তার চাইতেও উৎকৃষ্ট ত্রিশ, এবং তাহ অপেক্ষাও উৎকৃষ্ট চল্লিশ হইতে পয়তাল্লিশ এবং উহা বদি খুব সূক্ষ চারখানা বা ডুরীয় রকমের হয় তাহা হইলে দুইজন লোকের ষাট দিন সময় লাগে । একজন বয়ন করে, অপর জন জোগান দেয় । আধখান। 'মলমলখাস" অথবা সরকারালী যুগ্ম বস্ত্র -যাহার মূল্য যাট হইতে আশী টাকা পৰ্য্যন্ত— বয়ন করিতে অনূ্যন পাচ ছয় মাস লাগে। কিন্তু দুই টাক, মূল্যের পর একখান। নারায়ণপুর জাহাজী মসলিন, বয়ন করা অtট দিনেই সস্তব । উপরিউক্ত বিবরণ হইতে বুঝা যায় যে, এদেশের ছোট আঁশের তুলায়, অতি সাধারণ যন্ত্রপাতির সাহাধ্যে এদেশের শিল্পী তাহার স্বভাবজাত কৌশলে জগতে অতুলনীয় বস্ত্র উৎপাদন করিত এবং ইহাও মনে হয় যে, পূর্বের মত আদর পাইলে হয়ত কিছুকালের মধ্যে এই লুপ্তশিল্পের উদ্ধার সম্ভবপর হইতে পারে । ● ● রঙ্গিণী শ্ৰীসুরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় > - তার মত শাস্ত লোক পৃথিবীতে অন্য আর একজন ছিল কি না সন্দেহ ! —কার কথা বলচেন ? —-সে পরে বলব, ব’লে হেমপ্রভা একটু রহস্তের হাসি হাস্লেন । এই কথায় আমাদের মন যেন সেদিকে একদম ঝুকে পড়ল। । উনি যখন গল্প বলেন, তখন একটি কথাও বানিয়ে বলেন না। উনি বলেন - এ জগতে সত্য এত বিস্তৃত এবং বহুল, এত তার বৈচিত্র্য যে, সত্যের অন্বেষণ করলেই মানুষের যথেষ্ট হয় ; কল্পনার কোনো প্রয়োজন ত দেখিনে । o لا -o ۹ এই কথা শুনে রেবা প্রায় ক্ষেপে উঠত, সে বলত, যান না উনি, গিয়ে বলুন ত একবার কবির সামনে, ওই কথা, বোলপুরে ? মুখের মত জবাব শুনে ফিরে আসতে হবে! নিশ্চয় বলে দিচ্চি ! রেব কবিতা লিখত ; আর এমন ছবিখানির মত সেজে থাকৃতে, দেখলে মনে হয় পটে-ভঁ,াক। সরস্বতী ঠাকুরটি ! কিন্তু রেবার বয়স ছিল কম ; সবে এসে কলেজে ঢুকেচে । আর হেমপ্রভা ! বাবা! দুটো ফাষ্ট ক্লাশ এম্-এ ! আর একটা দিলেই হয় ! কিন্তু সাধ্য কি তাকে কেউ দিদি বলে ! তিনি বলেন, দাদা, দিদি, মাসী, পিসী,— যে দাদা, যে দিদি তাদেরই বলতে হয় ; পাতিয়ে দাদা-দিদি বাড়ালে কেবল