পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AA AMMMAMMMA MAMMAMMMAMMAMMAMMMMMAMM MMMAMMMAAASAAAS প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড নিজের দুঃখকে বাড়িয়ে তুলতে হয়। কিসের দিদি আমি তোমাদের ? আমি সকলের কাছেই হেমপ্রভা, খবরদার বলচি - দিদি বলবে না । এ ধমকের মধ্যে রহস্যই বেশী, তবুও আমাদের কেমন ভয় ক’রে উঠত। হেমপ্রভার সঙ্গে আমাদের সম্বন্ধট ধূপছায়। কাপড়ের মত ছিল । সবটাই বন্ধুত্ব আর প্রীতি, কিন্তু সেই নীলের আভার মধ্যে ধেন কোথা দিয়ে লাল চম্কে যায়, কোথায় যেন একটু ভয় ! হেমপ্ৰভা বললেন, এই শান্ত মানুষটি কিন্তু একতিলের জন্যে শান্তি পেতেন না। র্তার অপরাধ ছিল যে, তিনি একজন ডাক্তার ছিলেন। অম্বুডাক্তারের নাম করতে লোকের মুখ থেকে যেন নল গড়িয়ে পড়ত। সাক্ষাৎ শিব । যাকে মনে করবেন যে বচাব, তাকে যমরাজা আর মিছে টানাটানি করত না । এ কথা সত্যি ? হেমপ্রভ হাসেন, বলেন, তাকে সেবা করার সৌভাগ্য আমার কিছুদিন হয়েছিল, তিনি যখন গিয়ে কাশীতে ছিলেন, —তেমন মানুষ আর জীবনে দেখব বলে মনে হয় না হেমপ্রভার গলা হঠাৎ যেন ভারী হ’য়ে গেল। চোখ দিয়ে জল ফেলার দুৰ্ব্বলতা তার বোধ হয় ছিল না। অম্বুডাক্তার তখন কাশীতে। বড়োদার রাজার ছেলের অসুখ । র্তাকে ধরে টানাটানি। এদিকে রাজবাড়ীতে দেশ-বিদেশের ডাক্তারদের গাদি লেগে গেছে ! কেউ স্ত্যর, কেউ এম-ডি। কিন্তু ছেলের জর এক পয়েণ্টও নামে না ! একশে-পাচে উঠে জর যেন বসে আছে পাথরের মত ! শেষকালে যেতে হ’ল অম্বুডাক্তারকে । গাইকোয়াড় নিজে এলেন । ডাক্তারবাবু বললেন, সব ওষুধ বন্ধ করে দিতে হবে। চব্বিশ ঘণ্টা ওষুধ বন্ধের পর আমি একটা শিরুয়া দেব, তাতেই জর ছাড়বে। সায়েব ডাক্তার তর্জন করে বললেন, আর যদি না ছাড়ে ? এ জীবনের জন্য কে দায়ী হবে ? অম্বুডাক্তার বললেন, সে দায়িত্ব কি এখন আপনার হাতে আছে ? যদি তাই থাকে ত আমি হাত দিতে চাইনে ।...ডাক্তার সর্বাস্ত:করণে চেষ্টা করে, তার বেশী সে কি করতে পারে ? - কথা শুনে সায়েবের চোখ-মুখ রাঙা হ’য়ে গেল । দেশী লোকের এতবড় স্পৰ্দ্ধা ! অম্বুডাক্তার উঠে ধীরে ধীরে নিজের গাড়িখানিতে বসলেন । সমস্ত, কাশীময় একটা টি-টি পড়ে গেল। অস্বডাক্তারকে অপমান ! এ অপরাধ বিশ্বেশ্বর সইবেন না । বেণীমাধব থেকে কেদারনাথ পৰ্য্যস্ত সমস্বরে সবাই যেন প্রতিবাদ করতে লাগল। দশাশ্বমেধের চাতালের উপর সেদিন হাতাহাতি হ’য়ে গেল । কিন্তু যাদের অম্বুডাক্তারকে প্রতি মুহূৰ্ত্তে দেখার সুবিধা ছিল, তার বুঝলে যে, এই ঘটনায় তিনি একটুও বিচলিত হননি। ডাক্তারের চিক্কণ, মসৃণ মনটির উপর একটি আঁচড়ও পড়েনি। লোকে বললে বলতেন, উঃ ওদের দায়িত্বজ্ঞান ? নিশ্চয়, আমাদের চেয়ে সহস্র গুণ বেশী ঠিকই বলেছেন ডাক্তার মর্গান। দুদিন কেটে গেল। তিন দিনের দিন গাইকোয়াড় নিজে ডাক্তার মর্গানকে সঙ্গে করে এসে উপস্থিত, সেই ছোট্ট বাড়িটিতে ! অম্বুডাক্তার তখন গেছেন গঙ্গাস্নান করতে । নামাবলী গায়ে, খালি পায়ে তিনি যখন ফিরে এলেন, তখন ডাক্তার মর্গানের আর বিস্ময়ের শেষ রইল না। তিনি হেসে রাজাকে বললেন, এ কুসংস্কার শুধু ভারতবর্ষেই সম্ভব, অন্য দেশ হ’লে, এই লোকটাকে কখনও কেউ আমল দিত না । গাইকোয়াড় বললেন, ডাক্তার, তোমার বোধ হয় অনধিকারচর্চা হচ্চে, আমি বাইবেলের কথ। স্মরণ করিয়ে দিচ্চি তোমাকে, জজ নটু –মানুষকে এমন ক’রে অবিচার করে। না । তুমি ভারতবর্ষের কিছুই জান না, তার ধৰ্ম্মকৰ্ম্মের প্রতি তোমার পরিহাস, তোমার নিষ্ঠুর কটাক্ষ আমাদের বড় আঘাত করে । ডাক্তার মর্গান উত্তরে বললেন, কিন্তু হীন জাতকে