পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(Ne রঙ্গিণীরও জমা কান্নার অর্থই জল যেন উপচে পড়ে দুচোখ দিয়ে । যে ডুবতে ব’সেছে, সে খড়কুটো ধরেও বাচার চেষ্টা করে। রঙ্গিণী বুঝলে, যে এই শোকসস্তপ্ত লোকগুলোর সঙ্গ নিলে রাত একরকমে কেটে যাবে। তারপর দিনের মালিকের কাছে সে আবার নিজেকে সমর্পণ করে দিয়ে ব’লবে, প্রভু যেদিকে নিয়ে যাবে, সেইদিকে যাব, কেবল মোহিতের হাতে সপে দিও না। লোকে ধে তোমাকে দয়াময় বলে, সে কি একেবারে বানানো ? তাদের পিছনে পিছনে রঙ্গিণ গিয়ে গঙ্গার তীরে পৌছে, একটু দূরে বসে প্রতীক্ষা করতে লাগল কখন তাদের ছুটি হবে । দিনের আলো ফুটে উঠলে রদ্বিণী যেন লোকের কথাবাৰ্ত্তা, সূর্য্যের আলো উত্তাপ থেকে অনেকখানি সাহস সঞ্চয় ক’রে, সেই সদ্যবিধবার পায়ের কাছে এগিয়ে কথা কইতে গিয়ে তার কণ্ঠ রুদ্ধ হ’য়ে শুধু একটি চির-করুণ অনাহত আদি শব্দ ব্যর হু’য়ে প’ড়ল -ম! ! & গঙ্গার ঘাটে রঙ্গিণ ঝাপিয়ে কেদে প’ ভুল অম্বু ডাক্তারের পায়ের তলায় । তিনি সেই সকালেই গাড়ি থেকে নেমে মান সেরে নিয়ে যাচ্ছিলেন রগিণীর খোজে, বাদুড়বাগানে । রঙ্গিণ এসেছিল, তার নতুন মা’র সঙ্গে গঙ্গা-মানে । সে একতিলের জন্তও তাকে ছেড়ে থাকৃত না । পাছে, কোথা দিয়ে এসে মোহিত চুরি ক’রে ধরে নিয়ে যায় ! অম্বু ডাক্তার শান্তগম্ভীর গলায় বললেন, রঙ্গিণ, অধীর হয়ে না। আর ত তোমার কোন ভয় নেই। কা’র সঙ্গে এসেছ এখানে ? —নতুন মা । -- বেশ, চল তাদের বাড়ী যাই । নতুন মা পাশে দাড়িয়ে ছিলেন । ডেকে তারা রওনা হ’লেন । গাড়ি চ’ড়ে ঠিক সেদিনের মতই রঙ্গিণীর মাথাট নেশায় যেন টলমল করে। যেন মনে হয়, এখুনি কোন অতলে তলিয়ে যাবে ! একখানা গাড়ি প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৭ SJAAASA SAAAAS AAAAASMSM AAMMASAMSMSMSMSAMMAMMMMMMS [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড দুপুরে রঙ্গিণীকে নিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়লেন । একটি কথাও জিজ্ঞেস করার দরকার নেই। রঙ্গিণী যতটুকু চিঠিতে লিখতে পেরেছিল, তার বেশী বোধ হয় জানার কোনো দরকার ছিল না তার । একটা বড় বাড়ির সাম্নে গাড়িখানা দাড়াল । রপিশাকে সঙ্গে ক’রে সেই বাড়ীর সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে গিয়ে, দেয়ালের গায়ে একটা চাবি টেনে দিয়ে বললেন, ব’স ঐ চেয়ারে গিয়ে । তাড়াতাড়ি পদ টেনে একজন সায়েবি পোষাক-পরা বাবু বেরিয়ে এসে অবাক হ’য়ে দাড়িয়ে বললেন, অথু, তুমি ? তারপর সব ভাল ত ? -- ভাল আর কই ! বাড়িতে অমুখ রেখে আসতে হ’য়েছে। এই মেয়েটি তোমার জিন্মায় দিয়ে যাচ্চি । একে কাল স্কুলে ভৰ্ত্তি করে দিতে হবে। আর তোমার ইচ্ছামত একটি বোর্ডিংয়ে ব্যবস্থা ক’রে রেখে দিও। ব’লে কিছু টাকা তিনি ডাক্তার ঘোষের হাতে তুলে দিয়ে বললেন,-আমাকে এই তিনটের গাড়ি ধরতে হবে । বাড়ীতে ভারি অমুখ ফেলে এসেছি, ভাই । t রঙ্গিণার হাত ধরে ডাক্তার ঘোষ বাড়ির মধ্যে নিয়ে গেলেন । পুরের দিন ভৰ্ত্তি হবার সময় ডাক্তার ঘোষ লিখিয়ে দিলেন, মেয়েটির নাম হেমপ্রভা ; আমি ওর গাজ্জেন ; বাপ মারা গেছেন। কাশীর ডাক্তার ব্যানাজির পালিত কন্যা । তার বড় ছেলে বিলেতে, তার সঙ্গে ঈশ্বরের ইচ্ছা হ’লে, বিবাহ দেবার স্থির আছে । ওর খরচ পত্রের সমস্ত ভার আমার ওপর । রঙ্গিণীর নবজন্মলাভে হেমপ্রভার নূতন জন্ম। সে রথিণার চেয়ে বছর পনেরর বয়সে ছোট —এই কথাগুলি ব’লে হেমপ্রভ হাস্লেন । আমরা সবাই অবাক হয়ে বসে রইলাম, সেই শীতের সন্ধ্যাবেলায় । মনে কত কথাই আসে, কিন্তু সাহস হয় না জিজ্ঞেস করতে । মনে হল, ললিত কি ফেরেন নি ? অম্বু ডাক্তার কি আর বেঁচে নেই ? সে কার অস্বখ হ’য়েছিল ?