পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] SAMA AMA AMMAAASAAAA ভ্রাতা ও ভগিনীর নামে যে ফণ্ড করিয়াছেন, মৃত্যুর এই ক’দিন পূৰ্ব্বেও তাহাতে দুইশত টাকা দিয়াছেন । র্তাহার বিশাল হৃদয়ে তিনি সমগ্র প্রাণীজগতকে গ্রহণ করিয়াছিলেন । নিরামিষাশী ছিলেন, জীবে দয়ার জন্যই তিনি বলিতেন—“যদি আমাকে মদ ও মৎস্যমাংসের অন্যতরকে গ্রহণ করিতে বাধা করে তাহ হইলে আমি মদই গ্রহণ করিব, মৎস্যমাংস গ্রহণ করিব না।” সাধারণত: মানুষের মনে করে, চাকরবাকরকে দশ পাচটাক দিয়া কিনিয়া ফেলা হইয়াছে। তাহাদের প্রতি যথেচ্ছ ব্যবহার করা অন্যায় হয় না। তিনি অন্য অপেক্ষা অধিক বেতন দিতেন । তিনি চাকরবাকরের কদর বাড়াইয়া দিতেছেন বলিয়। বন্ধুদের মিষ্ট অল্পযোগ ও র্তাহাকে সহিতে হইয়াছে। তবুও তাহীদের দ্বারা একটু বেশী কাজ করাইয়া লইতে হইলে তাহাদিগকে পুরস্কৃত করিবার জন্য ষ্যস্ত হইয়া পড়িতেন । পূৰ্ব্ব হইতেই তাহদের আহায্য প্রস্তুত করাইয়। রাখিতেন। তাহার অতিথি-সংকারের কথা এক বন্ধু যাহা লিখিয়াছেন তাঁহাই পাঠ করিতেছি— “গত ১৯১৬ সালের জুলাই মাসে হাজারিবাগে শ্রদ্ধেয় মহেশবাবুর সহিত পরিচিত হই। প্রথম পরিচয়েই তাহার সরলতা, অকপট প্রাণখোলা হাস্থ, ও স্নেহপ্রবণ হৃদয়ের পরিচয় পাইয়া মুগ্ধ ও র্তাহার প্রতি আকৃষ্ট হই । দেখিলাম কঙ্কালসার দেহখানির মধ্যে এক মহাপ্রাণ প্রেমবাহু প্রসারিত করিয়া বিশ্বমানবকে আলিঙ্গন করিবার জন্য উদ্যত হইয়া রহিয়াছে। যতই তাহার সহিত পরিচিত হইতে লাগিলাম, ততই এই প্রেমের অভিনব অভিব্যক্তির পরিচয় পাইতে লাগিলাম । দেখিলাম, তাহার এই প্রেম নিঃস্বার্থ ও উদার । হাজারিবাগের আপামরসাধারণ নরনারী বালক বৃদ্ধ সকলেই তাহার এই প্রেমে মুগ্ধ ও বশীভূত । পীড়িতের গৃহে প্রেমিক মহেশচন্দ্রের সাদর কুশল সম্ভায়ণ ও প্রাত্যহিক পরিদর্শন তাহার দৈনন্দিন কাৰ্য্য । জনহিতকর প্রতিষ্ঠানগুলির সহিত তিনি ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত। বিদ্যালয়ের ছাত্রগুলির তিনি ঐকান্তিক হিতাকাজী ও অকপট মুহৃদ । তাহার গৃহে ছাত্রগুলির মহেশচন্দ্র ঘোষ বেদান্তরত্ন AMAeAMAMAMAMMAMMMMeeATAeeeAMAeAeeAAAS Qや° AMAMMMA SAMJAMA SAJAAA AAAAAS SSAAAA AAAA AAAA S অবাধ প্রবেশাধিকার । গুরু ও শিষ্যের পবিত্র সম্বন্ধ যে এমন সৌহাৰ্দ্দবন্ধনে সুশীতল ও সুমধুর হইতে পারে তাহা পূৰ্ব্বে দেখি নাই । দেখিলাম মহেশচন্দ্রের প্রেমের এই এক অপূৰ্ব্ব পরিণতি । দরিদ্রগণকে ঔষধ-বিতরণ র্তাহার নিত্যনৈমিত্তিক কাৰ্য্য। অভাবগ্রস্ত ও বিপন্ন ব্যক্তিকে সাহায্য প্রদানে তিনি অকাতর। চিররোগী চিরউদাসীন, অথচ লোকের দুঃখ বিমোচনে সদাই তৎপর। তাহার কোমলতার একটি দৃষ্টান্ত দিতেছি— উপাধিতে র্তাহার কোনই আসক্তি ছিল না, বরং তাহার বিপরীত। কিন্তু পণ্ডিত সীতানাথ তত্ত্বভূষণ র্তাহার গুণে মুগ্ধ হইয়া যখন তাহাকে বেদান্তরত্ন উপাধি দিলেন তখন স্বীকার না করিলে উপাধি দাতাকে অসম্মান করা হয়, কেবল এই বিবেচনাতেই সন্মতি জ্ঞাপন করিলেন। “সজ্ঞানে কাহার ও প্রতি অবিচার করিতে তিনি স্বভাবতঃই অপারগ ছিলেন । কিন্তু অন্যের অন্যায় অবিচার অমানবদনে সহা করিতে পারিতেন । যাহার ঘর পুড়াইয়া দিয়া দেশ হইতে তাড়াইয়া দিল, তাহদের প্রতিও শক্র শব্দ ব্যবহার করিতে দিলেন না। কিন্তু অকুষ্ঠিতচিত্তে তাহাদের ছেলেপুলের সাহায্য করিয়াছেন।” আমার মামাকে প্রাণ খুলিয়। যাহার হাস্য করিতে দেখিয়াছেন তাহারা তাহার সরল প্রাণের পরিচয় প্রাপ্ত হইয়াছেন। প্রাণ নিষ্পাপ ও অকলঙ্ক না হইলে এমন হাসি বাহির হয় না। একবার এখান হইতে কলিকাতা যাইবার সময় সব ঠিকঠাক করিয়াও মোটরকারের গোলমালে যাওয়া হইল না । মামা হো হো করিয়া হাসিয়৷ উঠিয়া বলিলেন, “তোমাদের আজ যাওয়া হ’ল না।’ আমি বলিলাম, ‘আপনি হাসছেন, মামা, আমার কিন্তু ভাল লাগছে না । মাম যেন একটু অপ্রস্তুত হইয়া বলিলেন, “আমি ত ওরকম হেসেই থাকি।” হাস্যামোদে তিনি যোগ দিতেন । তিনি সুরসিক ছিলেন । তবে আনন্দ অপেক্ষা জীবনের পূর্ণতাকে লক্ষ্যস্থলে রাখিতেন । সেইজন্য ‘আমি বাছিয়া লব না তোমারই দান, রবিবাবুর এই গানটি তাহার অতি প্রিয় ছিল । আমার মামার দেহ যাহারা দেখিয়াছেন তাহারা জানেন শারীরিক বল তাহার কিছুই ছিল না । কিন্তু پیتے عیعتخ4