পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা] AAAAAA AAAA AAAAMMM MA MMMAMMeMeeAAAA করতে। আপনি এখন আবার লাগুন আগেকার কাজে, মিষ্টি এ সময় খুব বিকবে। শশিমুখীর সত্যই কপাল ফিরিয়াছিল। কাপড় বিক্রয় করিয়া সে যাহা পাইল, তাহা তাহার আশাতীত। বাক্সের ভিতরের পুটুলি বেশ ভারী হইয়া উঠিল। শশিমুখী বুঝিল, সামনের মাসে মাড়োয়ারীকে টাকা দিতে কিছু কষ্ট পাইতে হইবে না। পূজা আসিয়া পড়িল ৷ অটল বলিল, “দশ টাকায় কুলোবে না, তা না হলে তোমার জগমোহন দাদার বাড়ীর সকলকে কাপড় পাঠাতাম । যাক, ভাইফোটার সময় দেখা যাবে ।” দশট টাকার কি গতি হইয়াছে, মনে করিয়া শশিমুখীর হাসি পাইল, সে তাড়াতাড়ি অন্যঘরে চলিয়া গেল । পূজা আসিল, চলিয়াও গেল। শশিমুখীর কাজ ভালই চলিতে লাগিল, দিনও কাটিয়া চলিল একটার পর একটা । ভাইফোটার দিন-তিন আগে অটল বলিল, “ও গো শোন। একটা টাকা দিয়ে যাচ্ছি, তোমাদের খাওয়াদাওয়া হয়ে গেলে কুটুকে নিয়ে জগমোহন দাদার বাড়ী যেও । তাকে ভাইফোটার নেমস্তন্ন করে এস। তার কাপড় চাদর আমি কাল কিনে আনব। যেও বুঝলে ? একটা কথা না হয় রেখেই দেখ।” শশিমুখী অগত্য বলিল, “আচ্ছ। যাব।” বেলা দুইটার সময় তাহারা ভবানীপুরের এক দোতলা বাড়ীর সাম্নে আসিয়া পৌছিল। বাড়ী চুপচাপ। সিড়ি দিয়া উপরে উঠতে উঠিতে একজন বিয়ের সঙ্গে দেখা হইল। ঝি পুরানো, শশিমুখীকে সে চিনিত । বলিল, “ওম, পিসিমা যে! তা বাৰুত বাড়ী নেই।” শশিমুখী অপ্রতিভ হইয়া বলিল, “বৌদিদি ত আছেন ?” ঝি বলিল, “তিনি এখন ঘুমুচ্ছে, কাচা ঘুম ভাঙালে বড় গাল দেবে।” এ হেন সমাদর পাইয়। শশিমুখী একেবারে হতভম্ব’ হইয়া গেল। কুন্তী তাহাকে ঠেলা দিয়া বলিল, “চল না ম, নীচে গাড়ীটা এখনও দাড়িয়ে আছে।” . ভাইফেঁাটা SAASAASAAMMA SAMMS AMAMMMMMS AYAMAMMAMMAMAMAMAYMeASAASAAAS SAAA AAAA AAAAS AAAAAS AAAAA AAAAS AM MMMAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA MSMJYSJJJzS خمریه میبیسیم -۔سمہتمم 8-9 ബ তাহারা নামিয়া যাইতেছে দেখিয়া ঝি বলিল, “আচ্ছা, এস তবে পিসিম, মা উঠলে আমি বল্ব।” শশিমুখী যখন বাড়ী পৌছিল তখন তাহার নাকমুখ দিয়া যেন আগুন বাহির হইতেছে। কয়েক ঘটি ঠাণ্ডা জল মাথায় ঢালিয়। তবে সে শাস্ত হইল । অটল রাত্রে জিজ্ঞাসা করিল, “ভবানীপুর গিয়েছিলে उठ ?’’ শশিমৃগী সংক্ষেপে বলিল, “হ্যা।” ভাইফোটার দিন আসিয়া পড়িল । সকাল হইতে শশিমুখী রান্নার আয়োজনে ব্যস্ত। অটল উকি মারিয়া দেখিয়া বলিল, “একি, একেবারে যে রাজস্বয় যজ্ঞ সুরু করে দিয়েছ ? দশটাকাই বুঝি খরচ করে বসে আছ ? কাপড় কিনব কি দিয়ে তাহলে ?” শশিমুখী হাসিয়া বলিল, “ন গো না, তোমার দশ টাকা যায়নি। খাবারের টাকা আমি জোগাড় করেছি।” অটল বলিল, “ও-বাড়ীর বউ দিলে বুঝি ? আচ্ছা টাকাটা দাও, কাপড় চাদর নিয়ে আসি।” শশিমুখী টাকা আনিয়া দিল । অটল কাপড় চাদর কিনিয়া আনিয়া বলিল, “এই নাও, এর চেয়ে ভাল আর ওর মধ্যে হল না। আমি আপিস থেকে যত পারি তাড়াতাড়ি আসব। তোমার দাদারও ত আপিস, তিনিও কিছু আগে আসবেন না চারটার ।” চারটার সময় তাড়াতাড়ি হুঁপিাইতে ইণপাইতে অটল ফিরিয়া আসিল । রান্নাঘরের দরজার সামনে দশড়াইয়া বলিল, “কি গো, অতিথি এসে গিয়েছেন নাকি ? - শশিমুখী তখন লুচি ভাজিতে ব্যস্ত, আর-সব কাজ এক রকম করিয়া শেষ হইয়া গিয়াছে। সে বলিল, “ষ্ঠ্য এসে পড়েছেন, ঘরে বসে আছেন।” অটল তাড়াতাড়ি ধনবান শুলিকের অভ্যর্থনার জন্য ঘরে গিয়া ঢুকিল। কিন্তু চেয়ারে একটি অপরিচিতপ্রায় যুবককে বসিয়া থাকিতে দেখিয়া একেবারে হতভম্ব হইয়া দপড়াইয়া গেল । ইহাকে সে মিঠাই বিক্ৰী করিয়া বেড়াইতে দেখিয়াছে।