পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদায়ের অর্ঘ্য শ্ৰীকামিনী রায় [ পণ্ডিত মহেশচন্দ্র ঘোষ বেদান্তরত্ব মহাশয়ের কঠিন পীড়ার সংবাদ পাইয়া রচিত, কিন্তু রচয়িত্রীর নিজের অসুস্থতা ও স্থানান্তর গমন বশতঃ ইহা যথাকালে যথাস্থানে নিবেদিত হইতে পারে নাই । ] হে পুতচরিত বন্ধু, হে ভ্রাতৃপ্রতিম হিতকারী, চির-নিরলস কৰ্ম্মী, জ্ঞানের তপস্বী, ব্রহ্মচারী, তোমার জীবনসূৰ্য্য দ্রুত যবে নামে অস্তাচলে নিভূত হৃদয়ে মোর কত স্মৃতি নীরবে উথলে । কত শ্রদ্ধা দিনে দিনে এ অন্তরে লভিয়াছে ঠাই ; কত কৃতজ্ঞতা, যারে জানাইতে ভাষা মিলে নাই ; কত না বিস্ময় হেরি ভগ্নদেহে অজেয় উদ্যম তেজস্বী আত্মার তব । জ্ঞানার্জনে করিয়াছ শ্রম জ্ঞানের আনন্দ লাগি । নানা দ্বন্দ্ব কোলাহল মাঝে অক্ষুন্ন রেখেছ নিত্য চিন্তায়, কথায়, সৰ্ব্বকাজে অন্তরে স্বাধীনতা । কাহারেও কর নাই ভয়, স্নেহ বাধে নাই মোহে ; অন্ধ ভক্তি, অযথা সংশয় প্রোজ্জল মানস দীপ পারে নাই করিতে মলিন অথবা নিৰ্ব্বাণ । তুমি ক্ষুরধার পথে চিরদিন চলিয়াছ অবহিত, দিয়া সেবা, বিলাইয়া স্নেহ বিপন্ন পথিকে--তাও দূর হতে জানে নাই কেহ ; যারে দেছ তার কাছে প্রতি-দান চাহ নাই কভু নিম্মুক্ত ভাণ্ডার তব ভরিতেন জীবনের প্রভু। নাহি পত্নী, নাহি পুত্র, তথাপি নিঃসঙ্গ নাহি ছিলে, দেহী ও বিদেহী ঋষি, স্বদেশী, বিদেশী সাধু মিলে’ দিয়াছেন পুণ্য সঙ্গ । গেহে তীর্থ করিয়া স্থাপন ধ্যানে অধ্যয়নে কত দূরস্থেরে করেছ আপন।