পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] চলিয়া আসে, তাহা হইলে স্বামীর নিকট সে ষাট টাকা দাবী করিতে পারে। অন্যান্য পাহাড়ী জাতির মত ইহারাও জুম কৃষি করে । প্রথমে পাহাড়ের উপরকার জঙ্গল পোড়াইয়। দা দিয়া মাটি কোপাইয়া হরেক রকম তরিতরকারীর বীজ একসঙ্গে বপন করে। তারপর প্রথম বুষ্ট পাতের সঙ্গে সঙ্গেই ধান্য রোপণ করে । ধান্ত এবং কাপাস ইহাদের প্রধান উৎপন্নদ্রব্য । পাহাড়ের উপর প্রত্যেকেরই এক একখান ! করিয়া ছোট ঘর থাকে । সেগুলিতে তাহারা ধান্যাদি গোলাজাত করিয়া রাখে । হালাম নারীরা খুব পরিশ্রমী। কৃষিকাৰ্য্য হাট বাজার ইত্যাদি বেশীর ভাগ স্ত্রীলোকেরাই করে। ইহাদের মধ্যে ‘জুমের গান’ নামক একশ্রেণীর সঙ্গীত প্রচলিত আছে । ক্ষেত্রে কাজ করিবার সময় স্ত্রীলোকের স্থর করিয়া জমের গান গাহিয়া থাকে। পোষাক-পরিচ্ছদ কিংবা ঘর-গৃহস্থালীর দরকারী আসবাবদির জন্য ইহাদিগকে পরমুখাপেক্ষী হইতে হয় ন। প্রত্যেক হালামের বাড়ীতেই চরকা ও তাত আছে। নিজেদের অবিখ্যক বস্থাদি হালাম-নারীর নিজেরাই বুনিয়া থাকে স্বচশিল্পেও ইহাদের অসাধারণ দক্ষত আছে । হালাম-নারীরা এক মুহূৰ্ত্তও আলস্যে অতিবাহিত করে না । বঁশি ইহাদের বিশেষ একটি দরকারী জিনিষ । বাশ হইতে বেত তুলিয় তাহ দ্বার। ইহার এক ধরণের টুকুরি তৈয়ারী করে । সেগুলিকে বলে 'চাপুই’ । ওগুলিতে তরিতরকারী ভরিয়া লইয়া হালাম নারীর বাজারে বিক্রয় করিতে যায়। মাছুর, দোলন, কাকই ইত্যাদি আরও নানা জিনিষ ইহার বঁাশ দিয়৷ তৈয়ার করে । প্রত্যেক হালাম বস্তীতেই একজন 'গালিম’ বা গ্রামপ্রধান এবং তাহার একজন সহকারী থাকে । গালিমের সহকারীকে গাবুর' বলা হয়। ছোটখাটো অপরাধের বিচার ইহারাই করিয়া থাকে। গ্রামের মাতববরদের সম্মতি ছাড়া কিন্তু ইহারা কাহাকেও দণ্ড দিতে পারে না । ‘গালিম’ ও ‘গাবুর’ কোনে। /lസ-സസl-l.സസഹാ গ্রামের লোকদের ' «ፃ« AMJJA AMAMMMMAYJAMAMA AMAMMMMAMAMAMAMMAMAMAMAMAMAMMAAASAAAA সামাজিক অপরাধ করিলে গ্রামবাসীরা সকলে একমত হইয় তাহাদের জরিমানা করিতে পারে । হালামরা ভূতপ্রেত এবং উপদেবতার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে। ইহাদের ভিতর কতকগুলি কুসংস্কার প্রচলিত আছে। কাহারও ব্যারাম হইলে ইহারা মনে করে যে, রোগাক্রাস্ত লোকটির উপর ভূতের আবেশ হইয়াছে। তাই, ভূত ছাড়াইবার জন্য ওঝাঁকে ডাকাইয়া আনা হয় । ওঝাকে ইহার। ‘আচাই’ বলে । ‘আচাই’ আসিয়া রোগীর নাড়ী টিপিয়া বলে যে, তাহার উপর অমুক ভূতের আবেশ হইয়াছে এবং ভূত তাহার নিকট অমুক জিনিষ চাহিতেছে, “আচাই’র কথামত ভূতকে তাহার প্রাথিত জিনিষ দেওয়া হয়, একবারে ফল ন হইলে, তিন তিনবার ওরূপ করা হয় । 蠟 g তিন বছর বয়সের সময় ছেলেমেয়েদের কর্ণবেধ করা হইয়া থাকে ; কর্ণবেধের সময় গুরুজনেরা তাহাদিগকে চরকায় কাট। স্থত ও চাউল মাথায় দিয়া ও মুখে একটু কুম দিয়া আশীৰ্ব্বাদ করে । কেহ মরিলে পর ইহারা কতকগুলি ঝাঝ বাজাইয়া প্রতিবেশীদিগকে জানায়। তখন প্রতিবেশীর স্ত্রী-পুরুষ সকলে মৃতব্যক্তির বাড়ীতে আসিয়া জমায়েৎ হয় । মেয়ের সকলেই আঁচল ভরিয়া ফুল লইয়া আসে, শবদেহটিকে গরম জলে স্নান করাইয়া নূতন কাপড়-চোপড় পরাইয়া ঘরের ভিতর শোয়াইয়া রাখা হয় এবং দুইটি টাকা দিয়া তাহার দুই চোখ, ও লাল রঙের স্থতা দিয়া মুখের ছিদ্র, ঢাকিয় দেওয়া হয় ; মেয়েরা সকলে মিলিয়। শবদেহটিকে ফুল দিয়। সাজায় এবং নিজেরাও কানে ফুলের দুল পরে। বয়স্ক নারীর বিড়বিড় করিয়া কতকগুলি কথা আওড়াইয়া মৃতদেহটির উপর পানস্থ পারি রাখে, তার পর শবদেহটির নিকট প্রণতি করিয়া স্ত্রীপুরুষ পরস্পর পরম্পরের হাত ধরাধরি করিয়া বিবিধ অঙ্গভঙ্গী সহকারে নৃত্য আরম্ভ করে । সঙ্গে সঙ্গে অনেকগুলা ঝাঝ ও ঢোলক বাজিতে থাকে এবং স্ত্রীপুরুষ বালক-বালিকা সকলে মিলিয়া মদ্যপান মুরু করে, মৃত্য শেষ হইলে একজন বয়স্ক নারী সকলের মাথায় কিছু কিছু তেল মাধাইয়। দেয় ।