পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હવેના আবার দু চার জনকে এ সম্বন্ধে একটু সচেতও দেখলুম ; তাদের ইচ্ছ, সাধারণ্যে হিন্দু ধৰ্ম্মের উচ্চ চিন্তা আর ভাবগুলি প্রকাশ হয় ; কি ক’রে তা করা যায়, সে সম্বন্ধেও কেউ কেউ আমায় প্রশ্ন করলেন । রাজা স্বয়ং এবিষয়ে খুব উৎসাহী । বলিদ্বীপ আগেকার মতন আর বহির্জগত থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারছে না, কালধৰ্ম্মের প্রভাবে বাইরের জগতের সঙ্গে বলিদ্বীপের অধিবাসীদের মিশতে হবে ; এ ক্ষেত্রে জাতীয় সংস্কৃতি আর ধৰ্ম্ম থেকে কতটা শক্তি পাওয়া যার, সে বিষয়ে বলিদ্বীপের অভিজাতজনগণ যে একটু চিস্ত করতে আরম্ভ ক’রছেন, তার আভাস আমরা কিছু কিছু পেয়েছিলুম। পদণ্ডদের ভারতবর্য সম্বন্ধে কিছু ব’লতে হ’ল। এদের জানা পৌরাণিক নাম সব আমি জানি, পৌরাণিক কাহিনী দু’চারটেও এদের সঙ্গে মিলল - এ দেখে এর একটু হতভম্ব হ’য়ে গেলেন। সুদূর ভারত থেকে স্বপ্রাচীন যুগে এদের ধৰ্ম্ম এসেছে, এ কথা এদের মনে যেন প্রথম প্রতিভাত হ’ল । কাগজে ম্যাপ একে ভারতবর্ষের সংস্থান আর যবদ্বীপের সঙ্গে ভারতের যোগের পথ বুঝিয়ে দিলুম। পদণ্ডের মাথা নেড়ে নেড়ে দেশভাষায় এই সব বিষয়ে আপসে তুমুল আলোচন ক’রে দিলেন । -- এদিকে বেলা বেড়ে যাচ্ছে । রাজার ওখানেই মধ্যাহ্নভোজনের ব্যবস্থা হ’ল । ঠিক ছিল, আহারের পরে পাসাঙ্গ হান থেকে আমার ছবি বইটই আর ভারতবর্ষ থেকে পূজার তৈজসপত্রাদি যা এনেছি তা নিয়ে এসে পদগুদের দেখাবো-রাজাও দেখবেন । আহার মিশ্র ডচ-যবদ্বীপীয়-বলিদ্বীপীয় ধরণেই হ’ল। দুজন অভ্যাগত এলেন—Coen ‘কুন’ নামে একখানি জাহাজ বলিদ্বীপ হ’য়ে বলিদ্বীপের পাশের লম্বক-দ্বীপে যাচ্ছে, তার কাপ্তেন আর প্রথম অফিসার, রাজার সঙ্গে পরিচয় আছে, এদের জাহাজ বুলেলেঙ-এ একদিন থাকবে, এরা সেই ফুরসতে একটু বেড়িয়ে যাচ্ছেন। বিকালে ‘সাদো’ গাড়ী করে পাসাঙ্গ স্থান থেকে আমার পূজার জিনিস আর লাণ্টাৰ্ণ-স্লাইড আর বই-টই নিয়ে এলুম। যবদ্বীপ-বলিদ্বীপ যাত্রার সময় আমার প্রস্তাব-মত ক'লকাতার হিন্দু-মিশনের প্রতিষ্ঠাতা আর প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৭ AAAAAA SAAAAA AAAA AAAAMMMAMMMeeAMSMAeMAMA AMAAA LL L SAAAAS AAAAAMAMAAA AAAA AAAAeM AMAAA AeMS { ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড AMAMA AMAAMAMAMAMAMMA MA SAMAAAA অধ্যক্ষ শ্ৰীযুক্ত স্বামী সত্যানন্দ আমার পূজার সমস্ত বাসনকোসন এক প্রস্থ কিনে দেন । এইগুলি,—আর সঙ্গে ক’রে নিয়ে এসেছিলুম একখানা পুরোহিত-দর্পণ আর অন্য আনুষ্ঠানিক পুস্তক—এই সমস্ত বেশ কাজে লেগেছিল । শ্ৰীযুক্ত অৰ্দ্ধেন্দ্রকুমার গঙ্গোপাধ্যায় মহাশয় আমার ভারতের দেবমূৰ্ত্তি আর মন্দিরের আর ভারতীয় কলা সঙ্গন্ধীয় স্নাইড-চিত্র অনেকগুলি দিয়েছিলেন, যদি কোথাও লাণ্টাৰ্ণ-সহযোগে বক্তৃতা দিই। বলিদ্বীপে লাণ্টাৰ্ণ পাওয় যায় নি-এথানে খালি স্নাইডই দেখানো গেল । রাজ পদণ্ডদের নিয়ে সেই ছতরীযুক্ত চ ত্বরে এসে ব’সলেন । কোপ্যারব্যাগ দ্রেউএস্ও রইলেন। ইতিমধ্যে বাজারের গুজরাটী কাপড়ওয়ালার কবির সঙ্গে দেখা করতে এল । এদের সঙ্গে আমি হিন্দীতে কথা কইলুম, দ্রেউএস মালাইয়ে আলাপ ক’রলেন, খানিক পরে এরা চ’লে গেল । বিকালে কবিকে একটু হাওয়া খাইয়ে আনবার জন্ত রাজা র্তার মোটরে করে পাঠিয়ে দিলেন। একটু দূরে সমুদ্রের ধারে Oedjoen উজুন ব’লে একটি জায়গায় রাজার এক বাগান আছে, সেখানে তাকে নিয়ে গেল । রাজ র’য়ে গেলেন । আমাকে ব’সে ব’সে আমাদের দেশের প্রচলিত পূজার অনুষ্ঠান সব দেখাতে হ’ল। আচমন থেকে সাধারণ পূজোর সব কৰ্ত্তব্যগুলি ব্যাখ্যা ক’রে করে ব’লতে লাগলুম। এদেশের ব্রাহ্মণদের মধ্যে উপবীত-ধারণের নিয়ম নেই। আমার পইতে দেখাতে হ’ল—এরা বলিলেন হুঁ, সিস্ট্র’ বা শাস্ত্র-গ্রন্থে ইয়াজ নেপাউঈট।’ ব। যজ্ঞোপবীতের কথা আছে বটে, কিন্তু সে আগে ‘রেসি’ ব। ঋষিরা তে প’রতেন। পূজার অনুষ্ঠান এরা তে। বেশ নিবিষ্ট চিত্তে নানা প্রশ্ন সহকারে দেখতে লাগলেন, কতক কতক বিষয়ে এদের সঙ্গে মিল আছে ব’ললেন, আর বাকী জিনিস এদের কাছে অজ্ঞাত। ‘পূজা শব্দটী এর ব্যবহার করেন না, বলেন ‘ডেউ-অর-চ-ন্যে।’ বা ‘দেবীর্চনা’ । এরা তারপরে নানা বিষয়ে প্রশ্ন করতে লাগলেন । পদগুদের বেশীর ভাগ প্রশ্ন হ’ল, মৃতের সৎকার, অন্ত্যেষ্টি-বিধি, শ্রাদ্ধ, এই সব নিয়ে । অশৌচ-বিষয়ে ত্ৰাহ্মণের দশ দিন, ক্ষত্রিয়ের বারো দিন, বৈশ্বের পনেরে দিন, শূত্রের এক মাস—এই