পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 ജ്ഞ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড কেশব উঠিয়া দাড়াইয় তাহাকে নমস্কার করিয়া বলিল, “এই যে। আমাকে নেমস্তন্ন করার কথা দিদি আপনাকে বলেন নি বুঝি ?” অটল অনেক কষ্ট্রে মুখে একটু হাসি টানিয়া আনিয়া বলিল,“না, তাড়াতাড়িতে বলবার সময় পাননি বোধ হয় । তা বন্ধন, দড়িয়ে রইলেন কেন ?” সে আবার চলিল রান্নাঘরের উদ্দেশ্যে । চাপা গলায় তর্জন করিয়া বলিল, “এসব কি কাণ্ড ? ও ছোকরাকে ডেকে এনেছ কেন ? তোমার দাদা কোথায় ?” শশিমুখী বলিল, “দাদা নিজের বাড়াতেই আছেন সম্ভবতঃ । যে যথার্থ ভাইয়ের কাজ করেছে, তাকেই ভাইফোটাতে নেমস্তন্ন করেছি। যে ভিক্ষাবৃত্তির প্রশ্রয় দেয়, সে ভাই হয়েও ভাই নয়, শক্র ।” অটল বলিল, “কি সব বাজে বকছ ?” শশিমুখী বলিল “বাজে কি কাজের, তা রাত্রেই টের পাবে। এখন হাত-মুখ ধুয়ে ঘরে যাও, ভদ্রলোকের সঙ্গে কথা বল গিয়ে। আমি আসছি খাবারগুলো গুছিয়ে নিয়ে ।” অটল অগত্য ফিরিয়া গেল । কিশলয়োৎসব ঐঞ্জীবনময় রায় আজি প্রভাতের রশ্মিপাতের উৎসব মহিমায়, বনে বনে হেরি একি অপরূপ বেশ ! নব কিশলয়ে স্নিগ্ধ মলয়ে নীল গগনের গায় ঘন সবুজের কাজরীর সমাবেশ। ছিল যে ধরণী শুষ্ক অরণি-কণ্টক সমীকুল Tরক্ত মাঘের বেলা অবসান কালে, ঘুচায়ে সহসা বিধবার দশা কে দিল তারে দুকুল, রঞ্জিত করি হরিত পত্রজালে ! সাওতালী শালে মৃত্যের তালে ঠমকিছে সারি সারি— আপন পুষ্পগন্ধে মত্ত মন । ঋতু উৎসবে উজ্জল নভে উঠিয়াছে সঞ্চারি অবনীর নব আনন্দ শিহরণ। ধরণীর বুকে উচ্ছ্বাস-মুখে যে দোলা লেগেছে আজ সবুজ ফোয়ার—একি তারি উৎসার ! একি ধরণীর শিখ। বঙ্কির নব পল্লব সাজ ! একি তার নব যৌবন সঞ্চার ! ধারা শ্রাবণের তমল বনের স্মরণে আজি কি ধরা, আকাশের পানে পাঠায়েছে মেঘদূত । চিত্তরসের সুধা পরশের ইঙ্গিত মনোহর । মূক ধরণীর মন্থর বিদ্যুৎ ইউকালিপ্ত সতেজ দীপ্ত। মেহগনি, দেবদার অরুণ-কিরণ-মুকুটে ভূষিত শির। আমলকী, শাল, মহুয়া, বিশাল বট পিপ্পল আর বাতাসে বাজায় কিশলয় মঞ্জীর । মেলি দু’নয়ান কর কবি পমে এই সবুজের স্বধ-- * বনে বনে আজ কিশলয় উৎসব নব বধু সাজ সাজিয়াছে আজ বিরহিনী এ বহুধা বুঝি আজি তার মিলিয়াছে বল্লভ।