পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] মহিলা-সংবাদ (bూసి দাড়াল , এদের কাছে ডাব খেতে চাইলুম। দুটো ডাব পেড়ে এনে একটা ছোটো ভোজালীর মতন অস্ত্র দিয়ে মুখ কেটে আমাদের খেতে দিলে। হাত মুখ ধোবার দরকার হওয়ায় আমার সামনেই একটী চাষীর বাড়ীতে গিয়ে জল চাইলুম-বাড়ীর ভিতরে উঠানে কতকগুলি শূওর বেড়াচ্ছে, মুরগী চরছে, একটা কুকুর ঘেউ ঘেউ ক’রে ডেকে পালিয়ে গেল, আঙিনার মাঝে বলিদ্বীপীয় পদ্ধতিতে উচু দাওয়ার উপর কতকগুলি ঘর ; একটা বৃদ্ধা আর দুটী কম-বয়সী মেয়ে বেরিয়ে এলে,-দুজন ইউরোপীয়, একজন ইউরোপীল মেয়ে, আর অজ্ঞাত দেশের অধিবাসী আমাদের দুজনকে দেখে একটু তটস্থ হয়ে • গেল। দ্রেউএল্ মালাইয়ে ব’লতে আমাদের একটি মাটির হাড়ি ক’রে জল আর একটা না’রকেল মালা দিলে; মুগ্ধ হাত ধুয়ে ধন্যবাদ দিয়ে আমরা বেরিয়ে এলুম। ডাব দুটা প্রকাণ্ড ; আমরা দুজন বাঙালী মিলে একটার জল শেষ করতে পারলুম না ; ডাবের শাসটুকু বাদ দিলুম না, খুব মিষ্টি ডাব । অল্প দু’চার পয়সা দাম নিলে । এর পরে আমার যে পথ পেলুম, সেট সমতল ভূমির উপর দিয়ে,—সরু মানুষ চলা পথের দুধারে খালি বাগান বাড়ী। এ পথটাও অনেকটা । তারপরে আবার চড়াই উতরাই—একজাগায় খাড়াই এত উচু আর এত পিছল যে ফিরতি পথে উতরাইঞ্জের সময়ে আমাদের পা ঘষটে ঘ’বটে কতকট ব’সে বসে চ’লতে হয়েছিল। এই চড়াই উতরাইয়ের সময়ে আমরা আবার পাহাড়ের মধ্যে সামান্ত ঢল-যুক্ত বেশ খানিকট খোলা জমী পেলুম— ঘাসে ভরা কতকটা, কতকটা ধানের ক্ষেত। এই হাটপথ দিয়ে আমর। চ’লেইছি—পথে থাকে জিজ্ঞাসা করি, বেসাঙ্কিক্ কত দূর,—জবাব পাই—বেশী দূর নয়; এ সেই উড়িষ্যার ‘পোয়া-বাট’-র মতন। বেলা বারোটা বেজে গিয়েছে, সকলের ক্ষিদে ও পেয়েছে ; পথে একটী স্ত্রীলোক একটা ঝুড়িতে কলা নিয়ে বিক্ৰী ক’রতে ব’সেছে— দূরে দূরে ক্ষেতে যারা কাজ করছে তাদেরই জন্ত ; আমরা কতকগুলি কল৷ কিনলুম ; যদিও কলাগুলি অপুরষ্ঠ কাচ-কাচ ছিল, তাই, আমরা সানন্দে খেতে খেতে চ’ললুম। সাড়ে বারোটা বেজে গিয়েছে, একটা বাজে বাজে, এমন সময়ে সামনে খুব দূরে একটা ঢল জমি পেরিয়ে কতকগুলি অতুচ্চ পাহাড়ের মাথায় ইমারতের ছাত আর নেপালী মন্দিরের মত মন্দিরের মেরু বা চূড়৷ দেখ গেল ; মন্দিরের সামনে একটী গ্রাম, গ্রামের সংলগ্ন সবুজে ভরা ক্ষেত। আমরা বেসাঙ্কিক-এর কাছে এসে পৌছুলুম । মহিলা-সংবাদ লেডী বসন্তকুমারী দেবী।—পুরী বিধবাশ্রমের প্রতিষ্ঠাত্রী লেডী বসন্তকুমারী দেবী গত ১১ই জুন পরলোকে গমন করিয়াছেন। ইনি লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি স্তর প্রতুলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পত্নী। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি সংসার হইতে দূরে সম্পূর্ণ অনাসক্তভাবে জীবনযাপন করিতেছিলেন। হিন্দু বিধবাদের দুঃখ-দুর্দশায় তাহার প্রাণ র্কাদিয়াছিল। তাছাদের দুর্দশ-মোচনের জন্য । তিনি সাধ্যাকুরূপ চেষ্টা করিয়াছিলেন । তাহারই ফলস্বরূপ তিনি পুরীতে একটি বিধবাশ্রম স্থাপন করিয়া তাহাই পরিচালন করিতেছিলেন । শীঘ্রই তাহাকে সংসার হইতে বিদায় গ্রহণ করিতে হুইবে ভাবিয়া বিধবাশ্রমের কৰ্ম্মভার একটি উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানের হাতে সমর্পণ করিবার জন্ত ব্যগ্র হইয়াছিলেন এবং পরিশেষে সরোজনলিনী নারীমঙ্গল সমিতি র্তাহার আরন্ধ কৰ্ম্মভার গ্রহণ করায় স্বী হইয়াছিলেন। বৰ্ত্তমানে বিধবা প্রম এবং বালিকাবিদ্যালয়ে শ্রীমতী