পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষ ভারতবর্ষ সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ— রবীন্দ্রনাথ ইংলণ্ডের স্পেক্টেটর’ পত্রে এক প্রবন্ধ লিপিয়াছেন । তাহাতে বৃটিশের ভাবুকতার প্রতি লক্ষ্য রাপিয়া ভারতবর্ণ ও বৃটেনের সন্মিলন-সাধনের জন্ত অনুরোধ করিয়াছেন । ঐ প্রবন্ধে তিনি স্পষ্ট করিয়া বলিয়াছেন; বর্তমানে আতঙ্ক ও পদ্ধাপ্রকাশ?চক অবস্থা উপস্থিত হইয়াছে, তাহার অনতিক্ৰমনীয় ফল বাদ দিলে, একথা স্বচ্ছন্দে বলা বাইতে পারে যে, ভারতবর্ষ তাহার আধ্যাত্মিক গৌরব অক্ষুণ্ণ রাগিয়া নিজের কঠিন আদর্শ ও মহাত্মা গান্ধীর স্যায় নেতার শিক্ষা পালন করিয়াছে । তিনি বলিয়াছেন, য়ুরোপ সদাশয়তা প্রকাশ করিয়া তাহার সভ্যতা প্রদর্শন জন্য এশিয়াতে যান নাই, পরস্তু অহমিকা ও ক্ষমতা প্রকাশের অসীম ক্ষেত্রের অন্বেষণে গিয়াছিলেন। তিনি স্পষ্টরূপে বলিয়াছেন, এশিয়া কুপনই ইহা স্বীকার করিবে না যে, মনুষ্যত্ববিহীন শক্তি বিজ্ঞানের সাহায্যে চিরদিনের জন্ত সাফল্য লাভ করিবে । তবে তিনি বৃটেনের প্রতি হ্যায়পরতা প্রদর্শন করিয়া এ কথা বলিতে ত্রুটি করিবেন না যে, ধ্বংসসাধনে অসীম ক্ষমতাসম্পন্ন জাতি ও নিরস্ত্র জাতির মধ্যে সংঘর্ষ উপস্থিত হইলে যেরূপ নিগ্রহভোগের সম্ভাবন, বৃটিশ শাসনে আমাদের ভাগ্যে তাহ ঘটে না, অন্ত কোন সাম্রাজ্যতান্ত্রিক শাসকের অধীনে ইহা অপেক্ষা অনেক গুণে অধিক যে লাঞ্ছনীভোগ করিতে হইত, তাহ নিশ্চিত । যখন গভর্ণমেণ্টের স্বাভাবিক ব্যবস্থার ব্যতিক্রম ঘটান হয়, তখন অত্যাচার উৎপীড়নের জন্য লোকের অভিযোগ করা সাজে না। উপসংহারে রবীন্দ্রনাথ বলিয়াছেন, ভারতবর্ষের পক্ষে ইহা স্মরণ রাখা আবিষ্ঠক যে, ইহ। বীরের স্থায় আপনার ধৰ্ম্ম রক্ষা করিবে এবং অত্যাচারে পরিবর্ত্তে অত্যাচার কখনই করিবে না। “স্পেক্টেটর" পত্র ডাক্তার ঠাকুরের প্রবন্ধে টিপ্পনী করিয়া বলিয়াছেন যে, তিনি ভারতে বৃটিশ সাম্রাজ্যের লক্ষ্য ঠিক বুঝিতে পারেন নাই। ধীরপন্থী ভারতীয়গণের এ বিষয়ে অভিমত পরবর্তীকালে লিখিত হইবে । ( বরিশাল ) বাংলার স্বাস্থ্য সম্প্রতি কলিকাতা গেজেটে বঙ্গীয় গভর্ণমেণ্টের স্বাস্থ্যবিভাগের ১৯২৮ সনেয় রিপোট প্রকাশিত হইয়াছে। বাংলার স্বাস্থ্য যে কিরূপ শোচনীয় তাহ। এই রিপোর্ট পৰ্য্যালোচনা করিলে অতি সহজেই প্রতীয়মান হইবে । --- SS S B S S S S S S S S S S S go ミーリ \ 5NSA ، fir/; ...o. 炽 2. リ%恋 * v- সুত্ৰং। 绞溶°经多 ১৯২১ সনের সেন্সাসে বাংলা প্রদেশের লোক সংখ্যা হইয়াছিল ৪,৬৪,২২,২৯৩ জন, আলোচ্য বর্ষে ৭৫৬৮•টি শিশুর জন্ম হইয়াছে : ইহার পুর্ব বৎসর জন্ম হইয়াছিল ১২৮৬৮৬৩ জনের, অর্থাৎ আলোচ্য বর্ষে পুৰ্ব্ব বৎসর হইতে প্রায় ১••,• • • জন্ম-সংখ্যা বৃদ্ধি হইয়াছে। কিন্তু এই বৎসরে মোট মৃত্যু ঘটিয়াছে ১১,৮৯,০১৫ জনের। তার পূর্ব বৎসর মরিয়াছে ১১,৮৯,৩৭০ জন। সুতরাং মৃত্যুসংখ্যা পূর্ব বৎসর হইতে হ্রাস প্রাপ্ত হয় নাই বলিলেই চলে । ১৯১৯ খৃষ্টাব্দে শিশু-মৃত্যুর সংখ্যা ছিল হাজার করা ২২৮৩, ১৯২৭ সনে সেই স্থলে হইয়াছে হাজার করা ১৭৮ এবং আল্লোচ্য বর্ষে হইয়াছে ১৭৮১ অর্থাৎ আলোচ্য বর্ষে শিশু-মৃত্যুর সংখ্যা পূর্ব বৎসর হইতে সামান্ত কিছু বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়াছে ৭ আলোচ্য বর্ষে কলেরা রোগে মৃত্যু অত্যন্ত বৃদ্ধি পাইয়াছিল। ১৯৪৭ সনে কলেরার মারা যায় ১১৮৩৭৭ জন, সেই স্থলে ১৯২৮ সনে শীর্থ গিয়াছে ১৩৭২৪৫ জন অর্থাৎ শতকরা প্রায় ১৬টি মৃত্যু বৃদ্ধি পাইয়াৰে এবং গত পাচ বৎসরের গড়ের প্রায় দ্বিগুণ মৃত্যু এই বৎসর ঘটিয়াছে। গত ৫ বৎসর ধরিয়৷ বসন্তু রোগের প্রকোপ বৰ্দ্ধিত হইয়াছে। ১৯২৫ সনে এই রোগে মারা যায় ৪২৫১৪ জন আর আলোচ্য বর্ষে মারা গিয়াছে ৪৩৫৫৮ জন। ১৯২৬ সনে ম্যালেরিয়াতে মারা যায় ৪৫৮২৪৮ জন, ১৯২৭ সনে মারা যায় ৪২৯১৪৩ জন, আর ১৯২৮ সনে মারা গিয়াছে ৩৬৮৬৯১ জন। ১৯২৭ সনে কালাজ্বরে মৃত্যু হয় ১১৮৫৫ জনের আর আলোচ্য বর্ষে সেই স্থলে মৃত্যু হইয়াছে ১০৭৪৬ জনের। খররোগে মোট মৃত্যু ঘটে ১৯২৭ সনে ৭৮৯• ১৬ জনের। সেই স্থলে আলোচ্যবর্ষে মৃত্যু ঘটে ৭৫২ • ০৭ জনের । এই রোগের দিক দিয়া স্বাস্থ্য বিভাগ অনেক খানি সাফল্য লাভ করিয়াছেন বলিয়া মনে হয় । (শাস্তিপুর) ভারতীয় মিলে স্বদেশী স্থতার ব্যবহার— ভারতের যে যে কাপড়ের কলে স্বদেশী স্থত ব্যবহৃত হয় তাহার তালিকা নিয়ে প্রদত্ত হইল – ( ১ ) স্বদেশী মিল কোম্পানী, বোম্বাই । ( ২ ) টাটা মিল, বোম্বাই। (৩) মেকেঞ্জি পেটিট মিল, বোম্বাই। (৪) জুবিলি মিল লিমিটেড, বোম্বাই। ( ৫ ) বঙ্গলক্ষ্মী কটন মিল, স্ত্রীরামপুর। ( ৬ ) আকোলা কটন মিল কোং, আকোলা। ( 4 ) কেশরাম কটন মিল, বেঙ্গল । (৮) নিউ বড়োদা মিল কোং, বড়োদা । (৯ ) জিয়ানজিয়ারো কটন মিলস, গোয়ালিয়র। ( ১• ) মতিলাল হীরাভাই স্পিনিং এও উইভিং, আমেদাবাদ ।