(tఫిల
ممم ...می.
নাই। মুসলমান সমাজও যদি এখন নিজেদের দেখিয়া তাহ সংশোধন করিতে অগ্রসর না হন, হইলে ইহার ফল যে কি বিযময় হইবে তাহা मुझ नीं । আমার যাহা লিখিবার ছিল লিখিলাম। আমি খুবই আশা করিতেছি, যে, আপনি এই দাঙ্গ সম্পর্কে খুব বিশদভাবেই ‘প্রবাসী’তে আলোচনা করিবেন-বিশেষ করিয়া শিক্ষিত মুসলমান সম্প্রদায়কে এই সব বিষয়ে ভাবিয়া দেখিবার জন্য এবং তাহীদের মতামত প্রকাশ করিবার জন্য আহবান করিবেন। এই স্বাধীনতা-সংগ্রামের দিনে কোথায় হিন্দু মুসলমান একত্র দোষ उiश्] ভাব| প্রবাসী—শ্রোবণ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড ്.-l.സ................-ുന്നു. হইয়া দেশের পরাধীনতা মোচন করিতে অগ্রসর হইবে --আর কোথায় এই শোচনীয় অবস্থা ! কিন্তু তবুও আশা করিতেছি যে, বাংলার মুসলমান সম্প্রদায় তাহাদের ভুল বুঝিতে পারিয়৷ এই স্বাধীনতার সংগ্রামে যোগ দিবেন। জনৈক হিন্দু-মহিলা । সম্পাদকের মন্তব্য । এই চিঠিতে লিখিত বিষয়গুলি সম্বন্ধে হিন্দু ও মুসলমান সমাজের লোকদিগকে চিন্তা করিতে অকুরোধ করিতেছি। প্রবাসীর সম্পাদক । খালাস শ্ৰীপ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় fY প্রথম পরিচ্ছেদ বড়দিনের ছুটী হইয়াছে, নগেন্দ্রবাবু কলিকাতায় শ্বশুরালয়ে আtসিয়াছেন । নগেন্দ্রবাবু একজন পূর্ববঙ্গের ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট। তিনি সম্প্রতি ফরিদসিংহ জেলার সদরে বদলি হইয়াছেন। পূৰ্ব্ব স্থান হইতে বদলি হইবার সময় স্বীয় স্ত্রী-পুত্রকে কলিকাতায় রাখিয়া যান ; বড়দিনের ছুটতে তাহাদিগকে লইতে আসিয়াছেন । এবার কলিকাতায় বড় ধুম। জাতীয় মহাসমিতির অধিবেশন। শিল্পপ্রদর্শনী ত পুৰ্ব্বাবধিই খুলিয়াছে। নগেন্দ্রবাবুর শ্বশুরালয় ভবানীপুরে। র্তাহার শ্বশুরমহাশয় পেনসনপ্রাপ্ত সবজজ । তাহার তিনটী গুগলক আছেন। একজন হাইকোর্টের উকিল । একজন গভর্ণমেণ্ট আপিসে কেরাণীগিরি করেন। অপরটি তাদৃশ কিছু করেন না-সভা-সমিতিতে বক্তৃতা করিয়া বেড়ান। নগেন্দ্রবাবুর বয়ঃক্রম সাতাইশ বৎসর। এই পাঁচ বৎসর ডেপুটী হইয়াছেন। ইনি এম-এ পরীক্ষায় প্রথম হইয়াছিলেন, বিদ্যা বুদ্ধি যথেষ্টই আছে, সেইজন্ত ইহার শালী-শালাজগণ ইহাকে নিঃসঙ্কোচে ঘটরাম বলিয়া ডাকেন। মুর্থ ডেপুটার নামই দীনবন্ধু “ঘটারাম" রাখিয়াছিলেন। খোড়াকে থোড়, কানাকে কানা বলিলেই তাহাদের রাগের বা দুঃখের কারণ হয়। পদ্মচক্ষুবিশিষ্ট ব্যক্তি তাহ পরিহাস বলিয়াই গণ্য করে। নগেন্দ্রবাবুও ঘটারাম সম্ভাতি হইলে রাগ করিতেন না। কংগ্রেস অধিবেশনের পূর্বদিন । ডেপুটীবাবু চা পান করিয়া বসিয়া অাছেন। তাহার ছোট গ্র্যালক ও গুলিকাগণ র্তীহাকে ঘিরিয়া বসিয়া গল্প করিতেছে। গিরীন্দ্রনাথ বলিল—“ফরিদসিংহে এখন আর কোন হাঙ্গাম৷ আছে না কি ?” “হাঙ্গামা হুজুৎ এখন আর কিছু নেই।” ইন্দুমতী বলিল-“স্বদেশী কেমন চলছে ?” "মন্দ চলচে না । তবে ফরিদসিংহে যাবার আগে কাগজে যে রকমটা পড়তাম তেমন ত কৈ দেখি নে ৷” সত্যেন্দ্র বলিল—“ত-ত হবারই কথা । বরাবর সমান তেজট থাকে না । এই কলকাতাতেই প্রথমে যে রকম দেখেছিলাম—” ডেপুটী বাবু বলিলেন—“তোমাদের কলকাতার চেয়ে ফরিদসিংহে স্বদেশী ঢের বেশী জোরে চলছে। প্রকাষ্ঠভাবে সেখানে একখালি বিলিতি কাপড় কেনে কার সাধ্য ! এক এক লাঠি কাধে ছেলেরা রাস্তায় পাহার দিয়ে বেড়াচ্চে ।” ছোট শ্বালক বলিল-—“জাতীয় বিদ্যালয়ের ছেলের ?” “অধিকাংশই তাই। অন্ত ইস্কুলের ছেলেরাও আছে।" “মাষ্টারের কিছুই বলে না ?” “হাল ছেড়ে দিয়েছে।” “পুলিস ?” “পুলিসকে তার। থোড়াই কেয়ার করে। বৈকালে বাজারে বেড়াতে বেড়াতে দেখেছি, পুলিস ঘুরছে আর ছেলেরা বলচে-এজি এজি সিপাহী, দেখে হাম পিকেট করত। হায়—আর পিকেটিং করছে।”