পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“নো” নৃত্যের মুখোস– জাপানী মুখোসের মধ্যে নো মুখোস শ্রেষ্ঠ। প্রাচীন গিগাকু এবং বুগাকু নাচগানের মুখোসগুলিও স্বন্দর কিন্তু তাহাতে জাপানের ধর্শ্বের প্রভাব তখন জাপানে খুব বেশী। যুবরাজ সোতাকু তাইসি তাহার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রচারক। জনসাধারণকে আনন্দ দিবার জষ্ঠ তিনি মন্দিরে গিগাকু অভিনয় প্রচলন করেন। মুখোসগুলি, কতকগুলি পোষাক, এবং একখানি পুরাতন পুথি হইতে মনে হয় গিগাকু একপ্রকার প্রহসন গোছের অভিনয় ছিল। বুগাকুর প্রচলন ডেমে ইয়োশিমিৎস্থ কৃত ওতোবিতে মুখোস ( ১৬১৬ খৃঃ অদ ) কোন বিশিষ্টত দেখা যায় না। এইগুলি চীন, কোরিয়া এবং ইন্দোচীনের মুখোসের অনুকরণে তৈরী। নো মুখোসের উপর ইহাদের প্রভাব থাকিলেও নে মুখোস কালক্রমে এমন একটি স্বরূপ লাভ করিয়াছে যাহা সম্পূর্ণ জাপানী। আশ্চর্যের বিবর এই যে, যে সব দেশ হইতে জাপানে মুখোসের আমদানী সে সব দেশে এখন আর মুখোসের চিহ্নও নাই। সপ্তম শতাব্দীতে সাম্রাজী সুইকোর আমলে একজন কোরিয়াবাসী জাপানে প্রথম গিগাকু অভিনয় এবং কতকগুলি মুখোস আনে। বৌদ্ধ ইশিকাওয়া তাঁতশুয়েমন শিগেমসে কৃত কুমোতে মুখোস ( ১২৮০খৃঃ অব্দ ) গিগাকুর কিছু পারে হয় এবং গিগাকু হইতে ইহ সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র । বুগাকু অতি গুরুগম্ভীর। বুগাকু মুখোসগুলি ছোট এবং কেবল মুখ আবৃত করিয়া রাপে। গিগাকু মুখোদ সে তুলনায় অনেক বড় এবং প্রাচীন গ্ৰীক মুখোসের মত সমস্ত মাথায় পরিতে হয় । মূলতঃ গিগাকু মুখোসগুলি বস্তুতান্ত্রিক এবং বুগাকু মুখোস রূপক। নৌ-মুখোস । এ দুইএর এক দলেও পড়ে না। নে-মুখোস ভাবহীন। একই মুখোসে দুঃখ, আনন্দ, রাগ ৰিংবা