পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ખરાના জাগাইবার নিমিত্ত রাক্ষসেরা ভূশঙী, মুঘল ও গদা দ্বার তাহাকে আঘাত করিতে লাগিল । মহাভারতে (দ্ৰোণ, ১৭৭), "খড়গ, গদা, ভুশ,ণ্ডী, মুসল, শূল, শরাসন, ও হস্তীচর্মসদৃশ বর্ম।” এখানে গদা ও মুসলের মাঝে ভূশুণ্ডী থাকাতে মনে হয় উহ! তদবং কিছু হইবে। কিন্তু মহাভারতের ( আদি, ২২৭) টাকাকার নীলকণ্ঠ ( খ্ৰীঃ ১৬শ শতাব্দ) শুওঁী অর্থে লিখিয়াছেন, “পাষাণ ক্ষেপণ-চৰ্মরজ্জ্বময় যন্ত্র ” এই যন্ত্র অদ্যাপি আছে। এক টুকরা চর্মের দুই প্রান্তে হ্রস্ব ও দীর্ঘ দোড়ী বাধিয়। চমের উপরে পাষাণ রাখিয় বেগে ঘুরাইয়া হ্রস্বরজ্জ্ব ছাড়িয়া দেওয়া হয়। পাষাণখণ্ড বেগে দূরে গিয়া পড়ে। ছেলেরা তালপাত কিংবা দু-ভাজ দোড়ীর করে। বাকুড়ায় বলে, ‘ডেলাস (ডেল অস্ত্র ? )। আরামবাগ (হুগলী জেলা) অঞ্চলে বলে ইটাল চণ্ডী । শগুণকার বলিয়া বলিয়া শূণ্ডী, ভূমি পর্যস্ত লম্বিত, বলিয়া হয়ত ভূ-শঙী । নীলকণ্ঠের ভূশ গুী এইরপ হইবে। বশিষ্ঠ-ধমুর্বেদেও এই অৰ্থ । সেখানে আছে, পদাতি-সেনা ভূশম্ভী কিংবা ধন্থ ধরিয়া গাছের আড়ালে থাকিয়া কিংবা গাছে চড়িয় যুদ্ধ করিবে। অথাৎ ভূখণ্ডী দ্বারা পাষাণ কিংবা ধন্থদ্বারা শর নিক্ষেপ করিবে । (৬) ঔৰ্বাগ্নি । কেহ ঔৰ্বাগ্নি, বারদ মনে করিয়াছেন, কিন্ত বারুদকে অগ্নি বলিতে পারা যায় না। রামায়ণ মহাভারতে, ঔৰ্বাগ্নি, বড়বানল । রামায়ণে ( কিঃ ৪৪), স্বগ্রীব সীতার অন্বেষণে চতুর্দিকে বানর { অনার্য-মানুষ ) পাঠাইলেন । বলিলেন, “পূর্বদিকে সপ্তরাজ্যোপশোভিত ঘৰ-দীপ ও সুবর্ণ-দীপ ( সুমাত্র ) অন্বেষণ করিবে । ব্ৰহ্মা জলোদ-সাগরে ঔৰ্বঋষির কোপজ তেজে সর্বভূতভয়াবহ বৃহৎ অশ্বীমুখ করিয়াছেন। সে অদ্ভুত তেজে চরাচর বিনষ্ট হইয়া থাকে। বড়বামুখে পতনের ভয়ে প্রাণীগণের নাদ শুনিতে পাওয়া যায়।” এই বর্ণনা আগ্নেয়গিরির উৎক্ষেপের । স্বমাত্রার নিকটস্থ প্রাকাতোয় গিরির ভয়ঙ্কর উৎক্ষেপ প্রসিদ্ধ। বোধ হয় পূর্বকালেও এইরূপ উৎক্ষেপ হইত এবং তাহ দেখিয় রামায়ণে লেখা । আগ্নেয়গিরিটি দেখিতে বড়বামুখ মনে হইতে পারে । মহাভারতে ঔর্ব-উপাখ্যান আছে । কেহ প্রবাসী--ভান্দ্র, ১৩৩৭ SAAA AAAA AAAA AAAA AAAMMAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAAMMAAASA SAASAASSAAAAA AAAA S ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড AAAAS SAAAS AA SAASAASSAAAAAAMAAA AAAA AAAAMMA AMAMeMAAA AAAA AAAA AAAASAAAAMAAA AAAA AAAAA অতএব ঔৰ্বাগ্নি বা বড়বানল বহ, পূর্বকালে দৃষ্ট ङ्हेब्राझिल । (৭) নালীক । শ্ৰীযুত বঙ্কিমচন্দ্র লাহিড়ী তাহার বহ শ্রমসাধ্য “মহাভারত-মঞ্জরীতে প্রাচীন বহু বৃত্তাস্ত সঙ্কলন দ্বারা আমাদের শ্রম লাঘব করিয়াছেন । তিনি রামায়ণ মহাভারত প্রভৃতি গ্রন্থ হইতে পূর্বকালের বন্দুক কামানের নাম নির্দেশ করিয়াছেন । উপরে দেখিয়াছি, আগ্নেয়াস্ত্র, ব্রহ্মশির অস্ত্র ও বেদের স্বমি বন্দুক নয়। এখন দেখি, নালীক ও বন্দুক এক কিনা। নালীক শব্দের অর্থ নল । নালীক, নলাকার অস্ত্র। কি রূপ ? নালীক ও নারাচ প্রায়ই একত্র উল্লিখিত হইয়াছে, যেন উভয়ের মধ্যে প্রয়োগ কিংবা কমে সাদৃশ্ব ছিল। নারাচ জানি, সমগ্র লৌহময় বাণ, নির্ভট ও শিরাল। ভারী বলিয়া এই বাণ যে-সে ছুড়িতে পারিত না। তখন সর নলের কল্পনা আসিয়া থাকিবে। দৃঢ় ও লঘু করিতে গেলেই নলাকার চাই । বৈজয়ন্তী লিখিয়াছেন, নালীক—বাণ ! প্রয়োগ দেখি । রামায়ণে (আরণ্য, ২৫),"শ্রীরাম-নিক্ষিপ্ত তীক্ষাগ্র নালীক ও নারীচ এবং বিকণী দ্বারা ছিদ্যমান হইয়া নিশাচরেরা ভীম আত স্বর করিতে লাগিল ।” এখানে স্পষ্ট লিখিত আছে, রামের "ধনুর্গ,ণ-চু্যত বাণ।” নালীক, বোধ হয়, স্থষির কিন্তু স্বচ্যগ্র বাণ। কণী, যে শরফলে কণ আছে, দেহে বিদ্ধ হইলে মাংস না ছিড়িয়া উঠাইতে পারা যায় না। এই কারণে ধমশাস্ত্রে কণীবাণ নিক্ষেপ নিষিদ্ধ হইয়াছিল। বিকণী বোধ হয়-দ্বিকণীর রূপান্তর। কণী ও দ্বিকর্ণ। রামায়ণে ( আরণ্য, ২৬ ), “রাম এক শত কণীদ্বারা এক শত রাক্ষস বধ করিলেন।” মহাভারতে ( ভীষ্ম, ৯৫, ৩১ ) “কৰ্ণি-নালীক-সায়কৈঃ,” ( ভীষ্ম । ১০৬, ১৩ ) “কণিনালীক-নারাচৈ ।” সায়ক অথে বাণ। বোধ হয়, কণি, নালীক এক পদ। নালীকের কর্ণ থাকিত, স্বতরাং বাণটি আরও ভীষণ । ( সৌপ্তিক পর্বে ১০, ১৫ ), “কৰ্ণি-নালীকংষ্ট্রস্ত খড়গ-জিহাস্য সংযুগে।” যাহার দ্রংষ্ট্রা কর্ণিনালীক, জিহবা খড়গ । নালীক স্বচ্যগ্রই বটে। স্ত্রী পর্বে (২০),“মহাত্মা ভীষ্ম কৰ্ণি-নালীক ও নারাচ প্রভৃতি শরনিচয় নির্মিত শয্যায় শয়ান আছেন।” এখানে নালীক স্পষ্ট শর। বন্দুক-উদ্ভাবনার পর উহা নলাকার বলিয়া নালীক