৫ম সংখ্যা ] নাম পাইয়াছিল। নালাস্ত্র, নালীকান্ত্র নামকরণে একটু দোষও ঘটিয়াছিল। বন্দুক অস্ত্র নয়, ধমুর ন্যায় যন্ত্র । আশ্চৰ্য্য এই, শুক্রনীতিসার অন্ত্র ও শস্ত্র দুইভাগে আয়ুধ ভাগ করিয়াও নালিকাস্ত্র বলিয়াছেন । ইহাতেও সন্দেহ হয়, এই নাম প্রাচীন নয় । (१) अग्न:-क** । भश्ॉज्रांद्भटङ ( श्रॉनि ॥ २२१, २८ ), বোধ হয় এই একটি স্থানে শব্দটি আছে । অন্য স্থানে থাকিলে “মহাভারত-মঞ্জরী”-কতর্ণর চোখে পড়িত । কৃষ্ণ ও অজুন অগ্নির ভোজন-তৃপ্তির নিমিত্ত খাণ্ডববন রক্ষা করিতেছেন, “অয়-কণপ-চক্রাশ্ব-ভূশ ওঁী-উদ্যতবাহব,” হাতে অয়-কণপ, চক্রাশ্ম, ও ভূশওঁী লইয়। নীলকণ্ঠ তিনটিই ব্যাখ্যা করিয়াছেন। তাইার ভূশঙীর অর্থ পূর্বে দেখিয়াছি, পাষাণ-ক্ষেপণ চমৰ্বজু। চক্রাশ্ম— “অতিদূরে বড় বড় পাষাণ নিক্ষেপের কাঠময় যন্ত্র । ইহার ঘূর্ণনবেগে পাষাণ নিক্ষিপ্ত হয়।” চক্র নাম হইতে বুঝিতেছি, এটি কণষ্ঠময় চক্র । সে যাহা হউক, পাষাণক্ষেপণের দুইটি যন্ত্র পাইলাম। “অয়:কণপং-অয়:কণান লৌহগলিকা পিবতীতি তথাবিধমাগ্নেয়ৌষধি-বলেন গর্ভসস্তৃতা লোহ%লিকাস্তারকা ইব বিকীর্যস্তে যেন তৎযন্ত্রং লোহময়ং । “ষে লোহময় যন্ত্রের গর্ভস্থ লৌহগলিক আগ্নেয় ঔষধিবলে তারকার ন্যায় বিকীর্ণ হইয় পড়ে।” অবিকল বন্দুক ! কিন্তু, বন্দুক, লোহগ লিকা পান করে না, বমন করে । আর হাতে বন্দুক থাকিলে কৃষ্ণাজুন পাষাণ ছুড়িতে গেলেন কেন ? চক্রাশ্ম নিশ্চয় গ বুভার, নইলে অতিদূরে মহান পাষাণ নিক্ষিপ্ত হইতে পারে না ; “চক্রাশ্ম” এক পদ কিনা, কে জানে। সে যাহা হউক নীলকণ্ঠের ব্যাখ্যায় সন্দেহ হইতেছে । অমরকোষে (লিঙ্গ-সংগ্রহবর্গ, ২০ ) কণপ শব্দ আছে । ক্ষীরস্বামী অথর্ব করিয়াছেন, প্রাস-বিশেষ । ভাতুজিদীক্ষিত লিথিয়াছেন, কণং পাতি পিবতি বা । অর্থ যাহাই হউক, অমরের কোন কোন সংস্করণে শব্দটি ‘কণপ’ নয়, কণয়। সর্বানন্দ অর্থ করিয়াছেন, শরভেদে । কেশৰ . প্রাচীন ভারতে বন্দুক ছিল না ബാl.സി.കുഞ്ചക് কোষেও কণয় শরভেদে । ইহাতে কণপ নাই। মহেশ্বর টীকায়, কুশপ আছে ; কণপ, কণয় নাই। কণপ শব্দের প্রচলিত অথ, শব। অমরে এই অথ। কিন্তু মহেশ্বর দিয়াছেন, কুণপ শরভেদে ৷ শব্দকল্পদ্র মে, কুশপ শব্দের এক অৰ্থ বড়শা ইতি ভাষা। অতএব দেখা যাইতেছে, কণপ, কণয়, কুশপ,—একেরই তিনরূপ। নাগরী প য অক্ষরে ভ্রম হইত। সে যাহা হউক আয়ং-কণপ লোহার বড়সা পাইতেছি । ইহার দণ্ড কাঠের না হইয়া লোহার। পাষাণের তুল্য এটি নিক্ষেপ্যও বটে। মৎস্যপুরাণে ( ১৫০-৭৩), “চক্ৰ কুশপ প্রাস ভূখণ্ডী পটিশ” পরে পরে একত্র আছে । মহাভারতের শ্লোকটিতেও “কণপ ভূশ,ণ্ডী” আছে। নীলকণ্ঠ খ্ৰীষ্ট ষোড়শ শতকে ছিলেন, এবং বন্দুক কামান দেখিয়াছিলেন । ইদানী আমরা যেমন বন্দুক কামান দেখিয়া প্রাচীন নুনি অস্ত্রে বন্দুক কামান পাইতেছি, তিনিও তেমনি পাইয়া থাকিবেন । (৮) অয়োগড় । কোথাও লৌহগলিক দেখিলে কিন্তু বারুদ না দেখিলে, বন্দুক কল্পনা মিথ্যা। মৎস্তপুরাণে ( ১৫৩-১৩৩), “জম্ভাস্থর দেব-সৈন্যের প্রতি প্রাস পরশ্বধ চক্র বাণ বজ্র মুদগর কুঠার খড়গ ভিন্দিপাল এবং অয়োগড় বর্ষণ করিতে লাগিল।” অয়োগড় = অয়োগল, লৌহগুলিকা। কিন্তু কে জানে লোহার গুলি ঢিলের মতন ছোড়া হইত কি না। আমার অনুমানে ভারতেই বন্দুক কামানের উদ্ভাবনা হইয়াছিল। কিন্তু খ্ৰীষ্টের সপ্তম শতাদের পূর্বে নয়। এ বিষয় অন্য এক প্রবন্ধে দেখা যাইবে । মহাভারতের প্রক্ষিপ্ত অংশ ধরিলেও উহার বর্তমান রপ খ্ৰীষ্টের পূর্বের। রামায়ণেরও তাই । যে যে স্থানে আরও পরবর্তী কালের কথা আছে, তাহা যুদ্ধবিদ্যা সম্বন্ধে নয়। মৎস্যপুরাণের আদি মহাভারতের কালে হইলেও উহাতে নুতন যোজনা খ্ৰীষ্টের পর তিন চারি শত বৎসর চলিয়াছিল ।
পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।