\988 প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড হঠাৎ একদিন একখানা চিঠি পাই, কলকাত থেকে গঙ্গার মা লিখেছেন । লিখেছেন – “পরম কল্যাণবরেষু— বাবা বিশু, তুমি যাবার তিন দিন পরে, তোমার গঙ্গাফড়িংও উধাও হয়েচে । কিছুতেই তাকে ধরে রাখতে পারলুম না বাবা ! কি যে কাল রোগ এল, চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই বাছা আমার শেষ হয়ে গেল । আশা করি ভাল আছ । আমার আশীৰ্ব্বাদ জেনে । ইতি তোমার গঙ্গাফড়িংয়ের মা— - পুনশ্চ-যাবার সময় গঙ্গা বলে গেছে—“মা, বিশ দাকে আমার সেই নীল রঙের বাধানো খাতাখান! দিও। তুমি যখন কলকাতায় আসবে আমার এখানেই এস।” 来 놓 常 চঞ্চল গঙ্গাফড়িং পালিয়ে গেছে। তা ত যাবেই ; দখিন হাওয়াকে কি ধরে রাখা যায় ! সবচেয়ে বেশী কষ্ট হয় যখন ভাবি, বাঙলার একটি সত্যিকারের কবি কুঁড়িতেই ঝরে গেল । কণ্টক শ্ৰীজগৎ মিত্র, বি-এ, গোলাপ শুন গো, গোলাপ আমার প্রাণের ফুল, রূপের তলায় কেন গো জালায় কাটার হুল ? গন্ধ তোমার পাইনি, কত্ত্বও তুলিনি দল, তবু যে গো হায় কণ্টক ঘায় হ’মু বিকল। তবু যে ভুলচঞ্চরী-মন সঞ্চরি’ ফেরে প্রেম মধু আশে সে যে ব্যাকুল, ফুল অতুল ! তোমারে ঘেরিয়া কত না কাব্য কত ন! স্বপ্ন কত না ভুল, গোলাপ ফুল ! জগতে যত না স্থখ আছে তার বেশী যে দুখ ; যত বল যাম নীরব ব্যথায় বেশী যে মূক । এত হাসি আর এত যে মিলন এত যে গান, তা’রি সাথে সাথে না-গাওয়া গীতের আত্মদান । গোলাপ ফুল, তোমার কাটায় খুন ঝরে যা’র গান গেয়ে যায় সে বুলবুল —কি মশগুল ! প্রেম-বাগিচায় গন্ধ বিলায় কান্নাহাসির অরূপ গুল— —রূপসী ফুল !
পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।