পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৭8 وههد ,etsنathه ৩eশ ভাগ, ১ম খণ্ড নিক্ষেপ করা হত, না হয় মাটিতে জীবন্ত পুতে ফেলা হ’ত, বা বিষধরের দ্বারা দংশন করান হত। উত্তমর্ণ অভিযোগ আনলে কাজী প্রথমে অধমণকে ঋণশোধ করতে বলতেন। আজ্ঞা পালন না করলে বা পালনে অক্ষম হ’লে প্রতিবাদীকে কারাগারে পাঠান হ’ত । - নালিশের বিচার বৈধ বলে প্রতিপন্ন ছিল। প্রয়োজনবিশেষে কাজী সাহেব তাদের যথাশক্তি সাহায্য করতে ক্রটি করতেন না । ১৬৭২ খৃষ্টাব্যে ঔরংজীব কর্তৃক গুজরাট প্রদেশের দেওঁয়ানকে লিখিত একখানি ফরমান সমসাময়িক দণ্ডধারার উজ্জল দৃষ্টাস্তস্বরূপ। চুরি, রাহাজানি, বা অন্যান্য অপরাধের শাস্তি কিরূপ হবে জানানই এই ফরমানের আসল উদ্দেশ্য। বিশেষ দ্রষ্টব্য এই ষে, ফারমানে লিখিত দণ্ডবিধি কোরণে লিপিবদ্ধ ও থেকে কিছু লঘুতর ছিল। আর একটি কথা। যাতে বিচারকের অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বেশীদিন বিচারের ছলে কারাগারে আবদ্ধ ন রেখে শীঘ্র শীঘ্ৰ বিচারের কাজ শেষ করেন, এই উদ্দেঙ্গেও ফরমানটি লিখিত হয়। ঔরংজীবের ফরমান বাহির হবার প্রায় সাত বৎসর পর দ্বিতীয় চার্লসের রাজত্বকালে যে হেবিয়াল কোপাল আইনটির (১৬৭৯ খৃঃ) প্রচলন হয় তার মূলেও এই একই সত্য নিহিত ছিল। এইবার ঔরংজীবের ফরমানের গোটাকয়েক দরকারী দফা আলোচনা করা যাকৃ। ১। সাক্ষীসাবুদ দ্বারা চুরি প্রমাণিত হ'লে কিংবা অপরাধী স্বয়ং দোষৰীকার করলে ও ‘হিদ স্যায় বিবেচিত হ’লে কাজী দণ্ডবিধান করতেন এবং যতক্ষণ না অপরাধী অনুতাপানলে দগ্ধ হ’ত ততক্ষণ তাকে কারারুদ্ধ করাই ছিল দ্যায়সঙ্গত । ২। শহরে খুব চুরি হতে আরম্ভ হ’লে এবং চোর ধরা পড়লে, তার মন্তকচ্ছেদ বা তাকে শূলে চড়ান হ’ত না, কারণ এটা তার প্রথম অপরাধ হ’তে পারে। ৩ । প্রথম অপরাধে বা অপহৃত দ্রব্যের মূল্য চারি দিনার’ (স্বর্ণ মুদ্রা)-এর কম হ’লে, চোরকে "তাজির ৰা ভৎপনা করা হত। কিন্তু উহাতেও অপরাধীর কোন শিক্ষা না হ’লে এবং পুনরায় সে এই অভিযোগে অভিযুক্ত হ’লে যে পৰ্য্যন্ত না সে অকুতাপ করে সে পৰ্য্যন্ত তাকে কারাগারে রাখা হত। এবারেও তার চৈতন্য না হ’লে অনেক দিন পৰ্য্যস্ত কারাবাস (সিয়াসৎ ) বা প্রাণদণ্ড দেওয়া হ’ত। স্বত্ব প্রমাণিত হ’লে মালিক চোরাই মাল ফিরিয়ে পেতেন, নতুবা ইহা সরকারী খাজনায়' (বয়েতউল-মাল ) জমা দেওয়া হ’ত । ৪ । দুইবার চুরি করার পর প্রত্যেক বারেই হিদ দেওয়া সত্ত্বেও যদি কেহ পুনরায় চুরি করে বা চুরি করাটাই যদি তার স্বভাব হয়, তাহলে তাকে "তাজির’ দেওয়ার পর কারারুদ্ধ করা হত। এতেও ন শোধরালে তাকে যাবজ্জীবন কারাগারে পাঠান হ’ত । ৫ । কবর খুঁড়ে মৃতদেহ বাহির করার অপরাধে, প্রথম অপরাধের জন্ত মাত্র ভৎসনা । দ্বিতীয় বা পরবর্তী অপরাধের জন্য নিৰ্ব্বাসন বা হস্তচ্ছেদ । ৬ । রাস্তায় ডাকাতী করার অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের দোষ স্বীকার করলে তাকে যথাযথ শাস্তিবিধান করা হ’ত । অপরাধ দোষীর প্রাণদণ্ডের উপযোগী না হ’লেও প্রাদেশিক শাসনকৰ্ত্তা বা বিচারক প্রাণদণ্ডের পক্ষপাতী হ’লে এই শাস্তিবিধানই যুক্তিসঙ্গত ছিল। ৭। চোরাই মাল কারও কাছ থেকে পাওয়া গেলে বা সে চোরের সহকারী ব’লে প্রমাণিত হ’লে প্রথম অপরাধের জন্য "তাজির, দ্বিতীয় অপরাধের জন্য কিছু দিনের কারাবাস ও পরবর্তী অপরাধে যাবজ্জীবন কারাবাস । চোরাই মাল উপরোক্ত তৃতীয় দফার ন্যায় মালিককে ফেরৎ দেওয়া হ’ত, নয় খাজনায় জমা দেওয়া হ’ত । পেশাদারী ডাকাতদের প্রাণদণ্ড দেওয়া হ’ত । ৯। জমিদার অথচ পেশাদারী ডাকাতদের শাস্তি ৮ম দফার মত । ১০ । কোন ঠগের বিরুদ্ধে পখিককে শ্বাসরুদ্ধ ক’রে বধকরণের অভিযোগের প্রমাণাভাব হ’লেও তাকে তাজির এবং পরিশেষে কারারুদ্ধ করাই ছিল রীতি। অধিকন্তু ইহা তার পেষা বলে বিবেচিত বা প্রমাণিত হ’লে, বা সে জনসমাজে বা প্রাদেশিক কৰ্ত্তার নিকট এই কাজে নিযুক্ত b |