পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা } ব’লে পরিচিত থাকলে, বা হত ব্যক্তিকে গল টিপে মেরে ফেলার কোনো চিহ্ন বা অপরাধ বাহির হ’লে, বা স্থবাদার ও আদালতের অন্য কোন কৰ্ম্মচারীর নিকট এই কাজের জন্য দায়ী ব’লে বিবেচিত হ’লে তার প্রাণদণ্ড হ’ত । ১১ । চুরি, রাহাজানি, লোককে গলা টিপে বা অন্য কোনো উপায়ে মেরে ফেলা বা তৎসংক্রান্ত অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থবাদার বা আদালতের কৰ্ম্মচারীর নিকট অপরাধী বিবেচিত হ’লে তাকে কারাবাস দেওয়া হ’ত । কারও বিরুদ্ধে এই অপরাধ আনীত হ’লে সেই মূহূৰ্ত্তেই অভিযোক্তাকে কাজীর নিকট যথাবিধি অভিযোগ করতে হ’ত । ১২ । ঘরে অগ্নিসংযোগ, জনসমাকীর্ণ স্থানে চুরি, ধুতুরা বা সিদ্ধি খাওয়ান প্রভৃতি অপকৰ্ম্মের জন্য ধুত ব্যক্তিকে ভৎসনা ও কারাবাস এবং অতুতাপ করা সত্ত্বেও পুনরায় এই অপরাধ করলে প্রাণদণ্ড দেওয়া হ’ত । বাড়ী পুড়ে যাওয়ার দরুণ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষতিপূরণ করা হ’ত ; এবং চোরাই মাল মালিককে ফেরৎ দেওয়া হ’ত । ১৩। বাদশাহের বিপক্ষে কোনো বিদ্রোহী যুদ্ধের আয়োজন করলে তাকে ধুত ও কারারুদ্ধ করা গৰ্হিত বিবেচিত হ’ত না। তাদের ঘাটি আক্রমণ ক’রে যতক্ষণ না সে বা তার সহকর্মিগণ ছত্রভঙ্গ হ’ত, তাদের আহত বা মুমূষুদের বধ করাই রীতি ছিল। পলায়নকারীকে হত্যা বা আক্রমণ করা হত না। বিপক্ষের কেহ বন্দী হ’লে যতক্ষণ পৰ্য্যস্ত না তাদের দল ভেঙে যায়, ততক্ষণ তাদের বন্দী রাখা হ’ত বা মেরে ফেলা হ’ত, কিন্তু কেহ স্বীয় অপকৰ্ম্মের জন্য অনুশোচনা করলে তার বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি তাকে প্রত্যপণ করা হ’ত । ১৪ কৃত্রিম মুদ্রণকারীদের প্রথম অপরাধের জন্য "তাজির’ বা ভংসন করা হ’ত ; ইহাতেও তাদের স্বভাব না বদলালে তাদের কারারুদ্ধ করাই দ্যায়সঙ্গত ছিল। পরবর্তী অপরাধ হেতু বহুকালের জন্য কারাদণ্ড বিধেয় ছিল। 姆》 ১৫ । কেহ জেনে শুনে কৃত্রিম श्रृङ्ख्या খরিদ করলে তাকে ১৪শ দফা অনুযায়ী দণ্ড দেওয়া হ’ত। তবে বাদশাহী বিচার-পদ্ধতি ও দণ্ডনীতি Ꮼ Ꮔ☾ তফাতের মধ্যে এই ছিল যে, এ ক্ষেত্রে অপরাধীকে অনেকদিনের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হ’ত না । ১৬ । কেহ না জেনে শুনে কৃত্রিম মুত্রা ব্যবহার করলে তার জাল টাকাগুলিই কেবল নষ্ট ক’রে দেওয়া হ’ত । _ ১৭। নিজেকে অ্যলকেমিষ্ট ব’লে প্রচার করে কেহ অপরের সম্পত্তি হরণ করলে তাকে ‘তাজির’ ও কারাবাস দেওয়া হ’ত এবং পূৰ্ব্বোক্ত তৃতীয় দফা অনুযায়ী মালিককে তার সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়া হ’ত । ১৮ । বিষপ্রয়োগের দণ্ড ‘তাজির’ ও কারাবাস । ১৯। অসদুপায়ে পরের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা গ্রহণ করায় দণ্ড ছিল কারাবাস । তবে মালিককে তার জিনিষ ফিরিয়ে দিলে অপরাধ মার্জন করা হত। প্রত্যপণের পূৰ্ব্বে অপহৃত স্ত্রী পুত্র বা কন্যার মৃত্যু ঘটলে অপরাধীর দ্বও ‘কঠিন তাজির এবং পরে খালাস বা 'তাসির ও নিৰ্ব্বাসন। দূতী বা ছদ্ধশ্নের উত্তরসাধকগণকে কারারুদ্ধ করা হ’ত । ২০ । জুয়াখেলা অপরাধের জন্য "তাজির এবং কারাবাস । পুনরায় দোষ করলে অনেক দিনের জন্য করাবাস । সম্পত্তি মালিককে প্রত্যপণ করা হ’ত বা সরকারে জমা রাখা হ’ত । ২১। শহরের বা গ্রামের মদ্যবিক্রয়কারীকে প্রহার দেওয়ারই ব্যবস্থা দেখা যায়। পরবর্তী অপরাধের জন্য কারাবাস, যতদিন না অপরাধী শোধরায় । ২২। মদবিক্রয়কারীর জন্য ঘুমী ও কারাবাস। তবে কোনো পদস্থ কৰ্ম্মচারী এই অপরাধে অভিযুক্ত হ’লে ঘটনাটি বাদশাহের শ্রুতিগোচর করান হ’ত এবং অপরাধীর জন্য ব্যবস্থা প্রহর বা তিরস্কার । ২৩ সিদ্ধি বা অপর কোনো মাদকদ্রব্য বিক্রয়কারীর জন্য তীব্র ভংসন, উপযুপিরি এই অপরাধের শাস্তি ছিল কারাবাস, যতদিন না সে স্বীয় কৰ্ম্মের জন্য অতুতাপ ক’রে । ২৪। জলে ডুবিয়ে মারা, কুয়ার মধ্যে ফেলে দেওয়া, পাহাড় বা ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া প্রভৃতি অপরাধের জন্য কারাবাস । মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী