পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী--ভার্ট, ১৩৩৭ नाcखब ७क चरिडौब ॐाब अमर्षर्नु रुब्र। ८ष दल হিন্দু-ধর্মগ্রন্থে নানাস্থানে দেখা যায়; গীতায় তাহাই অনেকৰূপে অনেকভাবে অনেক শব্দের ভিতর দিয়া পুনরুক্তি-দোষ স্বীকার করিয়াই পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হইয়াছে। কৰ্ম্মফলত্যাগ এই অদ্বিতীয় উপায় । এই মধ্যমণির চতুষ্পার্শ্বে গীতার সমগ্র পুপরাজি গ্রথিত । ভক্তি, জ্ঞান, ইত্যাদি তারকামণ্ডলৰূপে তাহার চারিপাশে সাজান আছে। যেখানে দেহ সেখানেই কৰ্ম্ম, তাহা হইতে কাহারও মুক্তি নাই। তবুও দেহকে প্রভূব মন্দির করিয়া তাহার দ্বারা যে মুক্তি পাওয়া যায়, সকল ধৰ্ম্মই ইহা প্রতিপাদন করিয়াছে। কিন্তু কৰ্ম্মমাত্রেরই কয়েকটি দোষ আছে। মুক্তি ত দোষহীনেবই লভ্য । তাহা হইলে কৰ্ম্মবন্ধন হইতে, অর্থাৎ দোষস্পশ হইতে মুক্তি পাওয়া যাইবে কেমন করিয়া ? গীতা ইহাব উত্তর অত্যন্ত স্পষ্টভাষায় নির্দেশ করিয়াছেন—“নিষ্কাম কৰ্ম্মের স্বারা, যজ্ঞার্থ কৰ্ম্ম করিয়া, কৰ্ম্মফল ত্যাগ করিয়া, সমস্ত কৰ্ম্ম শ্ৰীকৃষ্ণে অৰ্পণ করিয়া—অর্থাৎ দেহমন এবং বাক্যকে শ্ৰীভগবানে আস্থতি দিয়া ।” কিন্তু নিষ্কামভাব, কৰ্ম্মফলত্যাগ, শুধু মুখের কথা নয়, ইহ মাত্র বুদ্ধিরই প্রয়োগ নহে , ইহা হৃদয়মন্থন হইতে আসে । এই ত্যাগশক্তি উৎপন্ন করিবার জন্য জ্ঞানের প্রয়োজন। অনেক পণ্ডিতেই এক প্রকারের জ্ঞান অবশু লাভ করেন , বেদাদি র্তাহাদের কণ্ঠাগ্রে বাস করে, কিন্তু তাহাদের মধ্যে অধিকাংশই ভোগাদিতে লীন হইয়া রহিয়াছেন । যাহাতে জ্ঞানের অতিশয্য শুষ্ক পাণ্ডিত্যে পরিণত না হয় তাহার জন্য গীতাকার জ্ঞানের সহিত ভক্তিকে মিলাইয়াছেন এবং তাহাকেই প্রথম স্থান দিয়াছেন। ভক্তি বিনা জ্ঞান ব্যর্থ। তাই বলিয়াছেন— "ভক্তি করিলে জ্ঞান অবশুই পাইবে।” কিন্তু ভক্তি মাথার " মূল্যেই কিনিতে হয়। সেইজন্য গীতাকার স্থিতপ্রজের ন্যায়ই ভক্তের লক্ষণ নির্দেশ করিয়াছেন। অর্থাৎ গীতীর ভুক্তি বীৰ্য্যহীনতা নহে, অন্ধ শ্রদ্ধ৷ নহে । গীতাৰ্থ বর্ণিত উপচারগুলির বাহ চেষ্টা বা ক্রিয়ার সহিত পত্যন্ত সামান্যই যোগ আছে। মালা [७०° अंग्रे, भय संस् তিলক অর্থ্য আদি সাধনগুলি ভক্তগণ ব্যবহার করুন, किरू ८नसनि डख्त्नि जक्रम नरश्। बिनि श्रदषहे, যিনি করুণার ভাণ্ডার, যিনি মমতাশূন্য, নিরহস্কার, র্যাহার কাছে স্থখ ও দুঃখ, শীত ও উষ্ণ সমান, যিনি ক্ষমাশীল, সৰ্ব্বদা সন্তুষ্ট, র্যাহার আত্মা সঙ্কল্প, সংকল্প দৃঢ়, যিনি মন এবং বুদ্ধি শ্ৰীভগবানে অর্পণ করিয়াছেন, যিনি লোকের ভয়ের কাবণ নহেন, যাহার কোন লোকেই ভয় নাই, যিনি হর্ষ শোকভয়াদি হইতে মুক্ত, যিনি পবিত্র, কায্যদক্ষ হইয়াও তটস্থ, যিনি শুভাশুভ ত্যাগ করিয়াছেন, শক্রমিত্রে র্যাহার সমভাব, মান অপমান র্যাহার কাছে তুল্যমূল্য, যিনি স্তুতিদ্বাবা উৎফুল্ল বা নিন্দাদ্বাবা দুঃখিত না হন, যিনি মৌনব্রতী, একান্তপ্রিয়, স্থিৰবুদ্ধি, তিনিই ভক্ত। এ ভক্তি আসক্তিপূর্ণ নরনারীর পক্ষে লাভ করা সম্ভবপর নহে । ইহা দ্বারা আমব বুঝিতে পারি যে, জ্ঞান লাভ করা বা ভক্ত হওয়ার নামই আত্মদর্শন। আত্মদর্শন ইহা হইতে ভিন্ন বস্তু নহে। যেমন একটি টাকা দিয়া বিষও আনা যায়, অমৃতও আনা যায়, তেমনি জ্ঞান অথবা ভক্তির দ্বারা বন্ধনও আসিতে পারে, মুক্তিও আসিতে পারে, এমন হইতে পারে না। এস্থলে সাধন ও সাধ্য একেবারে অভিন্ন না হইলেও প্রায় অভিন্ন। সাধনের চরম গতি মোক্ষ, এবং গীতায় মোক্ষেব অর্থ পরম শান্তি । কিন্তু এইরূপ জ্ঞান ও ভক্তিকে কৰ্ম্মফলত্যাগৰূপ নিকষে কষিয়া লইতে হইবে । লৌকিক কল্পনায় শুষ্ক পণ্ডিত জ্ঞানীরূপে পরিগণিত হন, তাহকে কোন কৰ্ম্মই করিতে হয় না, হাতে ঘটিটা তোলাও র্তাহার কাছে কৰ্ম্মবন্ধন। যজ্ঞশূন্য যেখানে জ্ঞানী বলিয়া পরিগণিত সেখানে ঘটিটা তোলার মত তুচ্ছ লৌকিক কর্মের স্থান কোথায় ? লৌকিক কল্পনায় ভক্ত অর্থে ধরা হইয়াছে নিবীৰ্য্য মালাজপ-নিবত ব্যক্তি , সেবাকৰ্ম্মেও র্তাহার মালাজপে বিক্ষেপ আসে। এইজন্য তিনি শুধু খাওয়াপর আদি ভোগের সময়ই মালা ত্যাগ করেন— কখনও ময়দা পেষার জন্ত বা রোগীর সেবা করিবার জঙ্ক নহে।