১ম সংখ্যা ] নাম-মাহাত্ম্য ○○ অন্নই খাই,-কে কি করে, কি খেয়ে ধান জন্মালে, তার খোজ রাখে কে ? এই যে অমৃত-ফল আম্র আমরা উপভোগ করি, কিন্তু র্যর প্রসাদাৎ—র্তার প্রাপ্য যা তা তো জান ! একটা ফলে হাত বাড়িয়েছে কি..! বুঝলে—এটা যে হিদুর দেশ—ম। ফলেষু কদাচন !” —সব দেশেই এই ব্যবস্থাই ছিল, এখন কোথাও কোথাও ‘অনারেবল এক্সেপসন দেখা দিয়েছে। জান না – “Haydn grew up in an attic, and Chatterton starved in one. Addison and Goldsmith wrote in garrets.....--Their damp stained walls are sacred to the memory of noble names.-----...--All solemn thoughts .....were forged and fashioned amidst misery and pain in the sordid squalor of tho city garret. “Ever since the habitation of men were reared two storeys high, has the garret been the nursery of genins.......... 23 আবার কি চাও ? লোক গাটের কড়ি বার করে তা প্রকাশ করে,— তোমাদের ‘নাম’কে বাচিয়ে রাখে । কি ? প্রাণটা বাচাবার কথা বলচ ? প্রাণ না দিয়ে চিরস্মরণীয় হয়েছে ক’জন—ত দেখাতে পার ? সেটা বুঝি কিছু নয় ? লেখকদের এসব কথাও বোঝাতে হয় ।” বেচারার মাথা চুলকে চুপ ! কথাটা দেখচি অস্বীকার করবার নয় । বাংলার শ্রীচৈতন্য সেই দেশকে এই চৈতন্যই দিয়ে গেছেন,–খোদ ইষ্টের চেয়ে নাম বড়। তাই না ইষ্ট ভুলে, নামের জন্যে এত লড়াই লাগে,—লেগেও রয়েছে। নাম হলে তাদের সব কাম ফতে! আসল কথা পূৰ্ব্বসংস্কার, ল্যাজের জন্তেই লড়াই। যাকে বলে টেগ-অফওয়ার’—ল্যাজ ছেড়াছিড়ি । লাগে । —তোমাদের কাছে ও-বস্তুটির গুণকীৰ্ত্তন নিম্প্রয়োজন ; ওর মধ্যে যে কত সুযোগ-সুবিধা আত্মগোপন করে তাতে টান পড়লেই. আছে, ও জিনিষটির মূল্য কত নিশ্চয়ই শ্ৰীমানদের তা অবিদিত নাই । সকলেই গৰ্ব্বোৎফুল্ল নেত্রে পশ্চাতে চাইলেন । সভাপতি বললেন,—আমাদের প্রাচীনত্বের প্রমাণপ্রতীক, এই মূলধনে বাবাজীদের অনেকেরই লোভ পড়ে থাকবে । সেট। অবশ্ব স্বাভাবিক। স্বনামধন্য কুলতিলক ডারউইন কাকেও ক্ষুঃ করেন নি, সমান গৌরবের অধিকার দিয়ে গিয়েছেন। অস্থি-বিদ্যায় তার ছিল হস্তীসদৃশ বিরাট মস্তিদ,—হাড়ের হাড়হদ কোরে চোখে আঙুল দিয়ে লাঙলের অবস্থানভূমি দেখিয়ে দিয়েছেন। কারুর ক্ষুব্ধ হবার পথ রাখেন নি। এই আবিষ্কারের খ্যাতিটা তিনি নিলেন বটে, কিন্তু সত্যের সম্মান রাখতে হলে আমাকে বলতেই হয়—সেটা ভারতেরই প্রাপ্য। মূলাধারে কুণ্ডলিনীর ইঙ্গিত তার বহুপূৰ্ব্বে ভারত শুনিয়ে রেখেছিল। তবু আমরা ডারউইনের কাছে কৃতজ্ঞ, যেহেতু বিস্মৃতিটা তিনিই ভেঙে দেন । —তার পরে-না জনৈক মহামহোপাধ্যায় শাস্ত্রী মহাশয় প্রকাশ সভায় নিজ মুখে স্বীকার করে ফেললেন,— “আমরা এক আত্মবিস্তৃত জাতি ” তিনি যে কারণেই বলুন, ইঙ্গিতটি কিন্তু ছোট হলেও খাটো নয়। —ototă I’rofessor Sir Arthur Keith when lectur ing on Machinery of Human Evolution, at the Royal Institution-- AG füCoton--"It was possible that if a selection were made of human beings with an incipient tendency to grow a tail, a race of people could be produced in 10 or 15 gencrations, well provided with tails.”— তাই না ভেতর থেকে সব সংস্কার ফুট্ কাটে ! পশ্চাতে একটা কিছু পাবার তরে কত-ন লালায়িত! দল বেঁধে নিজেদের মধ্যে লড়াই মক্স করে। আমাদের গোরিল ‘ওয়ার-ফেয়ার’ তো অনেক দেশই অমুকরণ করছে। কিন্তু এটা-যে অধিকারী-ভেদের দেশ, গোবিন্দ অধিকারীর ক্ষেত্র। প্রেম কই ? কেবলই leaps and bounds-এর দিকেই বোক ! সেই পূৰ্ব্বসংস্কার !
পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।