পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆసిల SMA AMAMSAASAASAASAASAASAASS AMMAAA AAAA AAAA S AAAAA AAA SA SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS তক্তপোষের তলায়-ভুবন মুখুধোদের বাড়ী হইতে একবার দশ পল তেল ধার করিয়া আনিয়া ভাল মানুষ রাণুর মায়ের কাছে পাচপল শোপ দিয়া আসিয়াছিল, মিথ্যা করিয়া বলিয়াছিল—পাচ পলাই ত নিয়ে গিছলাম ন’দি—বোলে। সেজঠাকুরঝিকে। সারাজীবন পরিয়া শুধু দুঃখ ও অপমান । অনেক রাত্রে ভয়ের ভাবটা কমিয়া গেল । সে ছেলেমাতুয, পঞ্চনপাখীর মত তার ডাগর ডাগর নীল চোখ, মুথ তরুণ স্বন্দর . চল পোকড়া কোকড়. একটু মুখচোরা, একটু ভালমাল্য, জগতের ঘোরপেচ সে কিছুই একেবারে বোঝে মা, কোথায় যায়---যায়--- যায় যায় নীল আকাশ বাহিয়া বহুদূরে প্রসারিত তার গতিপথ ! মুনীল মেঘপদবীর অনেক ওপরে, মেপের ফাকে যাইতে যাইতে কোথায় মিলাইয়া যায়। বুঝি মুতু্য অসিয়াছে—কিন্তু তাহার ছেলের বেশে, তাকে আদর করিয়৷ আগু বাড়াইয়া লইতে—এতই সুন্দর ৷ কি হাসি ! কি মিষ্টি হাসি ওর মুখের ! পরদিন সকালে , তেলিবাড়ীর বড়বেী আসিল । দরঞ্জায় রাত্রে থিল দেওয়া হয় নাই । খোলাই আছে, বড়বে আপন মনে বলিল—রাত্রে দেখচি মা-ঠাকুরোণের অরুপ বড় ড বেড়েচে, খিলটা" দিতে পারেন নি । বিছানার ওপর সৰ্ব্বজায়া যেন ঘুমাইতেছে । তেলিবে একবার ভাবিল ডাকিবে না—কিন্তু পথ্যের কথ। জিজ্ঞাসা করিবার জন্য ৬াকিয় উঠাইতে গেল । সৰ্ব্বজয়া কোনো সাড়া দিল না, নড়িল ও না । বড়বে। আরও জু একবার ডাকাডাকি করিল, পরে হঠাং কি ভাবিয়া সে নিকটে আসিয়া ভাল করিয়ু দেখিল । পরক্ষণই সে সব বুঝিল । ( یا ) সৰ্ব্বজয়ার মৃত্যুর পর কিছুকাল অপু এক অদ্ভুত মনোভাবের সহিত পরিচিত হইল । প্রথম অংশট। আনন্দমিশ্রিত—এমন কি মায়ের মৃত্যু-সংবাদ প্রথম যখন সে ভোলবাড়ীর তারের খবরে জানিল, তখন প্রথমট। তাহার মনে একটা আনন্দ, একটা যেন মুক্তির নিঃশ্বাস.একটা প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩৩৭ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড MA AMMAA AYMMAMAMM MAMAAAASASASS বাধন-ছেড়ার উল্লাস-অতি অল্পক্ষণের জন্য—নিজের অজ্ঞাতসারে । তাহার পরই নিজের মনোভাবে তাহার দুঃখ ও আতঙ্ক উপস্থিত হইল । এ কি ! সে চায় কি ! মা যে নিজেকে একেবারে বিলোপ করিয়! ফেলিয়াছিল তাহার স্থবিধার জন্য ! ম| কি তাহার জীবনপথের বাধা ? ’কেমন করিয়া সে এমন নিষ্ঠর, এমন হৃদয়হীন: তারপর আসিল একটা তীব্র ঔদাসীন্য সব বিষয়ে, সকল কাজে এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা ভয়ানক নির্জনতার ভাব । পরীক্ষা শেষ হইয়া গিয়াছিল, কলিকাতায় থাকিতে একদণ্ডও ইচ্ছা হয় না, অথচ যাইবার জায়গাও ত নাই ! এবার সে একট। ছোট একতলা বাড়ীর নীচের কুঠরিতে সারা বছরটা কটাইয়াছিল, একটা ছোট গলির ভিতর বাড়ীট । কুঠরিতে তাহার সঙ্গে আরএকজন ক্যাম্বেল স্কুলের ছাত্র থাকে, ছাত্রটিরই একট। ইক্‌মিক্‌ কুকার আছে, স্থজনে তাঙ্গতে রাধিয়া পাইত । ইহার পর অপু আর কখনও ইক্‌মিক্‌ কুকারের রায় খাইতে পারে নাই জীবনে কোনদিন– কুকারের গন্ধটর সঙ্গে এই দিনগুলির গভীর ঔদাসীন্য, শোক, নির্জনতার ভাব এমন ঘনিষ্টভাবে মিশিয়া গিয়াছিল। ছোট ঘরটাতে গুমট গরম । চৈত্র বৈশাখ মাসের গরণে এতটুকু হাওয়া চলাচল করে না, কেবলই মনে হয় অনেক দিন আগে বদ্ধমানে লীলাদের বাড়ীর সেই আস্তাবলের পাশের সরটার কথা, সেই রকমই বিশ্রী, অপরিসর অন্ধকার । অমনি সঙ্গে সঙ্গে মনে আসে মায়ের কথা, সেখানে যে মা ছিল,দুঃখের সার্থী হইয়া মা-ও যে যুঝিয়াছে, তাহাকে কি কিছু জানিতে দিত মন আরও পাগল হইয় ওঠে, কেমন যেন পালাই পালাই ভাব হয় সৰ্ব্বদ, অথচ পালাইবার স্থান নাই, মুখের দিকে চাহিবার কেই নাই, আহা বলিবার কেহ নাই, জগতে সে একেবারে একাকী—সত্যসত্যই একাকী । এই ভয়ানক নির্জনতার ভাব এক এক সম অপুর বুকে পাথরের মত চাপিয়া বসে, কিছুতেই সেট সে কাটাইয়া উঠিতে পারে না, ঘরে থাকা তাহার পথে তখন আর সম্ভব হয় না । • গলিটার বাহিরে ব রাস্তা, সামনে গোলদিঘী, বৈকালে গাড়ী, মোটঃ