পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

어e8 AMAAA SAAAAAS S ASAA AA ASASASA SSASAS SS SS দেবকুমার বলিল, “শুধু এদেশের মা-মাসী নয়, জগৎসুদ্ধ মা-মাসীই তাহলে এই রকম বলতে হয়। আমাদের দেশের ছেলেদের চেয়ে ইউরোপের ছেলেদেব “মেনট্যালিটি'র খুব যে তফাৎ আছে, তা ত মনে হয় নি ’ মায়া জিজ্ঞাস করিল, “তারা ৪ ঠিক আপনার মত অগোছাল বুঝি ?” দেবকুমার বলিল, “আমি ত তাদের কাছে সোনার চাদ । বাঙালীর ছেলে বড়জোর জিনিষপত্র কাপড়চোপড়ই লণ্ডভণ্ড করে রাপে, তারা নিজেদের এবং পরের জীবনমৃদ্ধ লণ্ডভণ্ড করে দেয় । গোছান সংসারের দোহাই একেবারেই মানে না ।” মায়! কি যেন বলিতে গিয়া থামিয় গেল । অধি মিনিট খানেক চুপ করিয়া থাকিয় বলিল, “আচ্ছা, আমার কাজটা মেরে নিই আগে " দেবকুমার বলিল, “সেই ভাল। দাড়িয়ে দাড়িয়ে গল্প করার চেয়ে বসে বসে গল্প করতে ভাল ও ঢের লাগে, এবং ডেকের উপর বসে গল্প করাটা স্বাভাবিক বলেই সহযাত্রীরা বেশী ই করে চেয়ে থাকে না। অবশ্য আমরা খুব বেশী কনসিন্ডারেশন তাদের কাছে পাব না ।” মায় হঠাং লাল হইয় উঠিয় জিজ্ঞাস করিল, “কেন ?” দেবকুমার বলিল, “আমর, আমরা বলেই । দেপবার জিনিষ যদি লোকে আগত করে দেখে, তাকে দোষ দিতে পারি না।” মায়া হাসিয়া উঠিল । বলিল, “আপনার আর ঘে দোষই থাক, বিনয়ের আতিশয্য নেই, তা পরম শরুতেও স্বীকার করবে ।” দেবকুমার বলিল, “কি আশ্চর্যা ! বিনয় মানুষ নিজের হয়েই করে থাকে, আমি অন্যের জন্যে করতে যাব কেন ? বিশেষ করে যে-ক্ষেত্রে সেটা এমনই অনর্থক হবে, যে, তাকে অভদ্রতাও বলা চলবে।” মায় বলিল, “বাপ রে বাপ, এতও বাজে বকতে পারেন আপনি ! আপনার সঙ্গে কথায় কেউ কখনও পারবে না। আমি কাজগুলো সেরে নিই। আপনার SSASAS AAA AAAA AAAAS AAASASAS A SAS SSASAS SS SAAAASAASAASAASAASAA AAAA AA AASA SAAAAA AAAA S AAAAA AAAS S ASAS A SAS MAAASAAAS [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড কিছু করবার না থাকে, ততক্ষণ ম্যাগাজিন পড়ুন গিয়ে ।” - দেবকুমার বলিল, “অগত্য । কিন্তু খুব বেশী দেরী করবেন না ।” সে নিতাস্থ অনিচ্ছাসত্ত্বেষ্ট যেন চলিয়া গেল । উণ্টো দিকের কেবিনের থেীল। দরজার ফাকে একটি গুজরাটি মেয়ে অত্যস্ত মনোযোগ-সহকারে এই দুটি গল্প-নিরত মান্তসকে দেখিতেছিল। দেবকুমার চলিয়। যাইতেই সেও সরিয়া গেল। ব্যাপারট। মায়ার চোখ এড়ায় নাই । এতক্ষণ গল্প করিয় তাহার মনের কালিম কপূন নিজের অজ্ঞাতসারেই কাটিয়৷ গিয়াছিল, আবার সেট ধীরে ধীরে ফিরিয়া আসিতে লাগিল । এই তিন দিনের মধ্যে মায় নিজের মনের একট অদ্ভুত পরিবর্তন লক্ষ্য করিতেছিল। জীবনে এত আনন্দ ও এতখানি বেদন। একসঙ্গে সে কখনও অনুভব করে নাই। অথচ কিই বা ঘটিয়াছে ? একটি মাতৃয়ের সহিত তাহার নূতন পরিচয় ঘটিয়াছে, এই ত ব্যাপার । সে মাগুমটি দেখিতে শুন্দর, তাহার কথা কানে শুনিতে সুন্দর, তাহার চিস্তাও মনে আনন্দ আনিয়া দেয় । কিন্তু ইহাতেই কি শুধু মায়ার মনে এমন স্থগের হিল্লোল জাগিয়া উঠিয়াছে ? সুন্দর মানুষ কি আর জগতে নাই ? সুন্দর করিয়! আর কেহ কি কথা বলিতে পারে না ? দেবকুমারের বিশেষত্ব কোনখানে ? মায় বুঝিতে পারে না । ভাল করিয়া বোঝে ন৷ বলিয়াই তাহার চিন্তা বাড়িয়া “ঠে । কেন সে এমন করিয়া এই যুবকের ইন্দ্রজালে ধর দিতেছে ? তিনচার দিনের মাত্র পরিচয় । ইহা মই মধ্যে তাহার পদধ্বনি মায়ার বুকে পুলকের শিহরণ আনয়ন করে, তাহার সহিত সাক্ষাৎ হইবার সম্ভাবনায় দিনের আলে। উজলতর হইয় উঠে, জগতের শোভা-সৌন্দৰ্য্য সহস্র গুণ বাড়িয়া উঠে। সকাল হইবামাত্র সে কান পাতিয়া থাকে, কখন দ্বারের কাছে তাহার পদধ্বনি শোনা যাইবে, রাত্রি হইলে সারাদিনের মধ্যে কতবার দেবকুমারের সহিত দেখা হইয়াছে। কখন সে মায়াকে কি বলিয়াছে,