পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] বিলাত প্রত্যাগত, চ৷ থাইতে সে চারটার মধ্যেই আসিবে, সন্ধ্যার পর আসিবে না, কাজেই ঘরে চ৷ দেওয়ারই বোধ হয় ব্যবস্থা করিতে হইবে। দেশী,বিলাতি, সকল রকমের খাদ্যই প্রচুর পরিমাণে ফরমাস দিয়া, এবং একটি দামী চায়ের সেটু বাহির করিয়া দিয়া মায়া উপরে চুল বাধিতে এবং কাপড় বদলাইতে চলিয়া গেল। আয়নার সামনে দাড়াইয়া নিজের মুখের বিবর্ণ প্রতিকৃতি দেখিয়৷ সে যেন চমকিত হইয়া উঠিল। যে মানুষ নিজে স্বন্দর, সে সৌন্দৰ্য্যকে সমাদর করে, এবং সৌন্দয্যের অভাবের প্রতি অবজ্ঞ থাকাও তাহার মনে থানিকট স্বাভাবিক । মায়ার এমন বিবর্ণ শ্ৰীহীন মুখ দেখিল দেবকুমার মনে করিবে কি ? সে যথাসাধ্য যত্নে প্রসাধন করিয়া, নিজের রূপকে দীপ্ত উজ্জল করিয়া তুলিল। নিজের বাড়ীতে এত সাজসজ্জা কখনও সে করে না, অজয় যদিও, হঠাৎ আসিয়া পড়ে, তাহা হইলে মায়াকে যে সে ঠাট্টা করিয়া অস্থির করিয়া তুলিবে, তাহাও মায়া জানিত, তবুও লোভ সাম্‌লাইতে পারিল না। দেবকুমার যদি তাহাকে দেখিয়া একটু মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকায়, তাহা হইলে আর সে কিছুকে ভয় করে না। মাঝপথে তাহার বুড়ী অায় আসিয়া চেঁচামেচি জুড়িয়া দিল, “থোড় স্বল্লাউন্ন নিকালকে ডালো না, ওসব ক্যা খালি পেটিমে রখ নেকে ওয়াস্তে বনায়া ?” মায়ার শরীরে অলঙ্কারের অপ্রাচুর্য্যটা তাহার ভাল লাগিল না। মায়া বলিল, “ঘরে বসে আবার ক’ঝুডি গয়ন পরতে হবে ? যা পালা এখান থেকে। দেখগে যা, আমার ব্লু চায়ের সেটটা ছোকৃর এখনি ভেঙে রাখবে।” অন্য চাকরবাকরকে গাল দিবার স্থযোগ বুড়ী কখনও উপেক্ষা করিত না, সে তাড়াতাড়ি চলিয়া গেল। মায়া ঘড়ীর দিকে চাহিয়া দেখিল, চারটা বাজিতে আর কয়েক মিনিট মাত্র দেরী আছে । নীচে অাগেই নামিবে, না, দেবকুমারের আসার খবর পাইলে পর - যাইবে, তাহাই ভাবিতেছে, এমন সময় বেয়ারা আসিয়া খবর দিল, “সাহেবের গাড়ী এসেছে।” মায়া তাড়াতাড়ি নামিয়া গেল। কিন্তু গিয়া দেখিল মহামায়া ASAMAMMAMA AMAMAAASAASAASAASAASAAMMAMAMMAMAMAAASA SAAAAA ASAS A SAS SSAS a eసి همراه میامی همراه নিরঞ্জন আসেন নাই, শুধু গাড়ীই আসিয়াছে। ড্রাইভারের হাতে নিরঞ্জন চিঠি লিখিয়া পাঠাইয়াছেন, “আজ এত কাজের চাপ পড়েছে যে, কিছুতেই যেতে পারলাম না। দেবকুমারকে বোলে, সে যেন কিছু মনে না করে।” চিঠি পড়িয়া মায়া ড্রাইভারকে বিদায় করিয়া দিল । তারপর আবার উপরে উঠবে কি না ভাবিতেছে, এমন সময় ট্যাক্সি ইণকাইয়া দেবকুমার স্বয়ং আসিয়া পড়িয়া সকল সমস্যার সমাধান করিয়া দিল । দেবকুমার আজ ফিটবাবু সাজিয়া আসিয়াছে। শান্তিপুরে ধুতি, গরদের পাঞ্জাবী, এবং পায়ে কালে মখমলের নাগরা জুতা। বিলাতী সাজের মধ্যে হাতের মণিবন্ধে একটা ‘রিষ্ট ওয়াচ, আর বিদেশী-আনার কোনো চিহ্ন নাই । মায়া অগ্রসর হইয়া আসিতেই দেবকুমার হাস্তমুখে তাহাকে নমস্কার করিয়া বলিল, “দেখুন, আজ আপনার ‘অনারে পুরো বাঙালী বাবু পেজে এসেছি।” মায়াও হাসিয়া বলিল, “যা নিজের থেকেই করা উচিত, তা অন্যের থাতিরে করলে তার কি খুব বেশী মান বাড়ে ?” দেবকুমার বলিল, “নিশ্চয়ই । “রিক্লেম’ করার মাহাত্ম্য কি কম ?” মায় বলিল, “আচ্ছা, আচ্ছা এখন বসবেন চলুন, তারপর বক্তৃতা করবেন।” দুজনে বসিবার ঘরে আসিয়া বসিল । দেবকুমার জিজ্ঞাসা করিল, “আপনার বাবা বুঝি এখনও এসে পৌছন নি ?” মায়া বলিল, তার “আজ আসতে দেরিই হবে, বলে পাঠিয়েছেন।” দেবকুমার আর সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করিয়া বলিল, “এ ক'দিন এমন ভয়ানক ব্যস্ত ছিলাম, যে, কিছুতেই আসতে পারিনি। আপনি আমাকে নিশ্চয়ই ভয়ানক রকম অসভ্য ভেবেছেন ।” মায়া বলিল, “ওম, তা মনে করতে যাব কেন ? মামুষের কাজ আগে, ন বেড়ান আগে ?” দেবকুমার বলিল, “ও ত নিতান্ত নীতিশাস্ত্রের কথা একজন পথভ্রষ্টকে