পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] দ্বীপময় ভারত Q 9న سیاسی-ه SAASAASAASAASAASAASAASAAAS ৰ’লতে লাগল, দ্রেউএস এদের মালাইয়ে সম্ঝাতে চেষ্ট ক’রলেন,—কিছু খারাপ বা অন্যায় হয় নি, খাস ভারতবর্ধের এত বড় একজন ব্রাহ্মণ আর পদণ্ড এসেছেন, তিনি মন্দিরে যদি দেবমূৰ্ত্তি না দেখেন তো দেখবে কে—দেবতারা কখনও রুষ্ট হবেন না, ইত্যাদি । কিন্তু গোলমাল থামৃতে চায় না । দেশটা নোতুন ডচেদের শাসনে এসেছে, দেশের লোকেদেব প্রকৃতি জানা নেই, খামক কি জানি কি ঝঞ্চাট বেধে যায়। স্পৃশ্বাস্পৃশ্ব দোষ এদেশে অজ্ঞাত, তবুও কে জানে, কি ভাবে নানা সংস্কার এদের মধ্যে কাজ করে। ডচ বন্ধুরা একটু উদ্বিগ্ন ভাবে এই কথা গুলি আমায় ব’ললেন, আর মুর্তিগুলি যথা স্থানে রেগে তাড়াতাড়ি ঘরের দরজা বন্ধ করে তাল দিয়ে দিতে ব’ল্লেন। আমিও একটু চিন্তিত হ’য়ে পড়লুম। বলিদ্বীপের ধৰ্ম্ম আমারই ব্রাহ্মণ্য-ধৰ্ম্মের রূপান্তর মাত্র ; আর দুদিন ধ’রে পদগুদের সঙ্গে মিশে যে হৃদ্যতার পরিচয় পেয়ছি, তাতে ক’রে, হিন্দু ব’লে ব্রাহ্মণ ব’লে এখানেও একটা সহজ অধিকার আমার আছে, এই রকম একট। বোধ মনে এসে গিয়েছে—আমার সে অধিকারের দাবী আমি এই ছোকরার চীৎকারেই ছাড়বো কেন ? রণে ভঙ্গ দেওয়া কোন কাজের কথা নয়। দ্রেউএসকে ব’ললুম-আপনি বলুন যে ইনি ব্রাহ্মণ, মন্ত্র জানেন, ইনি ব’লছেন কোনও অমঙ্গল হবে না ; আর তোমাদের বিশ্বাসের জন্য ইনি দেবতারা যাতে অপরাধ না নেন এইজন্য কতকগুলি মন্ত্র আর স্তোত্র পাঠ ক’রবেন তাতে সমস্ত অমঙ্গলের ভয় কেটে যাবে। দ্রেউএস এই কথা বলতে যার উপর দোয পড়ছিল, সেই পামাঙ্ক বেচারা আর মাতব্বর আর মুরুব্বি গোছের দুচার জন লোক বললে, এ বেশ কথা ; উনি তাই করুন। অদ্ভূত পোষাক পরা ভারতবর্ষের এই ব্রাহ্মণ কিভাবে মন্ত্র প’ড়বেন সে বিষয়ে হয় তো কার কারু মনে একটু কৌতূহলও হ’য়েছিল। আমি তখন ধীরে ধীরে মূর্তিগুলিকে উঠিয়ে ঘরের মধ্যে যথাস্থানে রেখে দিলুম, তারপরে দরজা বন্ধ ক’রে তাল দিয়ে দাওয়া থেকে ভূয়ে নেমে চাবি পামাঙ্কুর হাতে দিলুম। আমার মন্ত্ৰ শুনবে ব’লে সমাগত লোকের উৎসুক হয়ে দাড়িয়ে রইল । আমি মন্দিরের দিকে মুখ - - --TarunnoBot (আলাপ) ১৭:৪৭, ১৬ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) করে দাড়িয়ে জোড় হাতে ‘ওঙ নমঃ শিবায়’ ‘ওঙ, নমো বিষ্ণবে এই মন্ত্র বার কতক উচ্চারণ করে শিবের আর নারায়ণের ধ্যান, আর এ ছাড়া স্তোত্র যা-কিছু মনে ছিল, মায় জয়দেবের দশাবতার স্তোত্র পর্য্যস্ত—উচ্চৈঃস্বরে একটু স্বর করে পড়ে গেলুম। আমার কথামত দ্রেউএস এদের ব’ললেন যে ‘দেবতাস্তোত্র’ পড়া হ’য়েছে, আর কোনও ভয় নেই। তারপরে আবার বেদপাঠ ব’লে গায়ত্রী মন্ত্র আর সন্ধ্য-আহ্নিকের স্বত্ত কতকগুলি পড়লুম। এদের ভয় গেল, সকলে আবার নিঃসঙ্কোচে কথাবাৰ্ত্ত আরম্ভ করলে । খালি সঙ্গের পথপ্রদর্শক ছোকরাট গোমড়া মুখে রইল । মন্দিরে যা দ্রষ্টব্য তা তো ঘুরে ঘুরে দেখা হ’ল ; মাঝে এই ব্যাপারটা হ’য়ে গেল । এইবার ফেরা যাবে স্থির করে আমরা সিড়ি . দিয়ে . নামৃতে লাগলুম। পামান্ধুর কিন্তু ভয় কাটে নি। সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে আবার কিছু মন্ত্র .স্তোত্র পড়বার জন্য দ্রেউএসের মারফৎ আমায় অনুরোধ করলে। আমি স্বীকার করলুম-উপরের মন্দিরের চত্বর থেকে নামবার বড় সিড়ির নীচে মন্দির-মুথো হ’য়ে দাড়িয়ে আবার মন্ত্র পাঠ ক’রতে হ’ল । উপরে মন্দিরে যে সব লোক ছিল, তাদের সরিয়ে দিলে, মন্দিরের চাইরে আর কেউ রইল’ ন। এদের কাছে যা তা পড়ে দিলেই হ’ত ; মেঘদূতের শ্লোক আওড়ালেও চ’লত, বাঙ্গল কবিতা বা গদ্য আউড়ে গেলেও ক্ষতি ছিল না ; কিন্তু আমি জুয়াচুরী করিনি! জুনসাধারণ সব জায়গায় যেমন হ’য়ে থাকে, এরাও তেমনি দৈব-ভয়ে ভীত এদের সবচেয়ে পবিত্র দেববিগ্ৰহ অজ্ঞাত-কুলশীল লোকেদের এমনি ক’রে বিন পরিচয়ে হাত দিয়ে নাড়া নাড়ি করতে দেওয়া, এদের মধ্যে যার বিশ্বাসী লোক তাদের মতে অন্যায় কার্য হবে বৈকি ; আর তাতে যে দেব-রোষ আসতে পারে, এরকম ধারণা হওয়া তে অত্যন্ত স্বাভাবিক। আমায় মন্ত্র-টস্থ প’ড়ে আমার অধিকার প্রমাণ করতে হ’ল ; - কিছু বুঝলে না, তবে খুশী হ’ল যে একটা কিছু দাবী আমার আছে, আর বিশেষতঃ ডচ ভদ্রলোকেরা যখন আমায় ব্রাহ্মণ ব’লে এদের কাছে পরিচয় দিচ্ছেন। মন্দির থেকে চ’লে আসছি, দ্রেউএস