পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] র্তাহার নিয়োগের পর তাহার যে উক্তি প্রকাশিত হইয়াছে, তাহাতে মনে হয়, তিনি মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষাবিস্তারের দিকে বিশেষ করিয়৷ মন দিবেন। তাহার গ্রয়োজন আছে। যে-সব মুসলমান নিজেদের সম্প্রদায়ের মধ্যে শিক্ষাবিস্তারের কথা আলোচন করেন, র্তাহাদের মধ্যে অনেকে গোড়াতেই পরিয়া লয়েন যে, গবন্মেষ্ট বা হিন্দুসমাজ শিক্ষাবিষয়ে মুসলমানদের প্রতি অবিচার করিয়াছে। কোন মুসলমান ছাত্র বা শিক্ষক আপ্যাপকপদপ্রার্থীর প্রতি কপন ও অবিচার হয় নাহ, বলিতে পারি ন৷ —সম্ভবতঃ অবিচার কোন কোন স্থলে হঠয়াছে । কিন্তু মোটের উপর মুসলমান সমাজে শিক্ষার থেষ্ট বিস্তার ন হইবার জন্য র্তাহারাষ্ট দায়ী । বাংল। দেশে সংস্কৃত কলেজ ও হিন্দুস্কুল ছাড়া আর সমুদয় সরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন হিন্দু-খুষ্টিয়ান প্রভৃতির জন্য তেমনি মুসলমানের গোল। রহিয়াছে । বেসরকারী কলেজগুলির মধ্যে বোধ হয় একমাত্র বিদ্যাসাগর কলেজে মুসলমান ছাত্র লওয়া হয় না। আর একটি কথা মনে রাখিতে হইবে । • বঙ্গের অধিকাংশ বেসরকারী স্কুল ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হিন্দুর । মুসলমান সমাজ যদি শিক্ষার বিস্তার চান, তাহা হইলে কেবল অন্যের হুটু ও প্রদত্ত সুবিধা ভোগ করিবার জন্য আগ্ৰহ দেখাইলে চলিলে না, আপনাদিগকে ঐ রূপ সুবিধার সৃষ্টি করিতে হইবে । কলিকাত বিশ্ববিদ্যালয়ে বেসরকারী ঘত টাকা প্রদত্ত হইয়াছে, তাহার প্রায় সমস্তই হিন্দু এবং কিছু পৃষ্টয়ানের দেওয়া। তাহার মোট পরিমাণ অনেক লক্ষ টাকা ; মুসলমানদের দানের পরিমাণ সামান্য কয়েক হাজার টাক মাত্র । বিশ্ববিদ্যালয় হইতে জড় বিত্ত ও মানসিক বিত্ত পাইবার ইচ্ছা করা মুসলমানদের পক্ষে স্বাভাবিক। উহাকে কিছু দিবার প্রবৃত্তি ও স্বাভাবিক হওয়া উচিত। কারণ মুসলমানের সবাই দরিদ্র ও মূৰ্খ নহেম । ডাঃ সুহ্রাওয়াদী যখন স্বসাম্প্রদায়িক হিতসাধনের চেষ্টা করিবেন, তখন মুসলমানদিগকে এই-সকল কথা স্মরণ করাইয়া দিলে তাহাদের উপকার হইতে পারে। জন্য ও বিবিধ প্রসঙ্গ—বীরাঙ্গনা মাতঙ্গিনী chQ○ জাপানীদের উদ্যোগিতা আ গুণমান দ্বীপপুঞ্জের নিকটস্থ সমুদ্রে এক রকমের শামুক বা ঝিল্প ক পাওয়া যায়। সিঙ্গাপুর হইতে প্রতিবৎসর ছোট ছোট জাহ জে করিয়৷ অনেক জাপানী ডুবুরী আসিয়৷ এই সব ঝিনুক তুলিয়। বহু লক্ষ টাকা উপার্জন করিয়| আসিতেছে । ঝিতুক হইতে বোতাম হয়, কাঠের বাক্সের উপর নক্স, কাল পাথরের উপর নক্স ভৃতি :শিল্পকায্য হয় । ভারতবর্ষে ও এই সব কাজ হয় । অ| গুণমান জাপান অপেক্ষ বঙ্গের, ভারতবর্ষের, অনেক নিকটে। কিন্তু তা গিমের এই পথট জাপানীরা আবিষ্কার করিয়াছে, বাঙালী বা অন্য ভারতীয়ের করে নাই ! এত দিন ভারত-গবন্মেটি জাপানী ডুবুরীদের নিকট হইতে টাকা লইতেন না; অতঃপর লষ্টবেন | বীরাঙ্গন মাতঙ্গিনা কোন যুগে কোন দেশের প্রত্যেক নারী “অবল।” ছিলেন না। ভারতবর্গের ও প্রত্যেক নারী কোন যুগে “অবল|” ছিলেন না । বৰ্ত্তমান সময়ে সকল প্রদেশের অনেক মহিলা সাহস ও শক্তির পরিচয় দিতেছেন । অধিকাংশ স্থলে রাষ্ট্ৰীয় অধিকার লাভের জন্য র্তাহাদের সাহস ও শক্তি প্রযুক্ত হইতেছে। বাংল। দেশে নারীদের সাহস ও শক্তির এইরূপ ব্যবহার ছাড়া অন্যরূপ ব্যবহারেরও প্রয়োজন আছে, দুঃখ ও লজ্জার সহিত ইহা স্বীকার করিতে হইতেছে । বঙ্গে যত জায়গায় যত দুৰ্ব্বত্ত নারীদের উপর অত্যাচার করিতে চেষ্টা করে এবং অনেক স্থলে সফলকাম হয়, তাহার সবগুলার বৃত্তাস্থ প্রকাশ পায় না , কিন্তু খবরের কাগজে যতগুলার খবর বাহির হয়, তাহার সংখ্যা ও ভয়াবহ ও লজ্জাকর । পুরুষ ও নারী সকলে মিলিয়া দুৰ্ব্বত্তদের এই পৈশাচিক কায্যে বাধা দেওয়া উচিত । নারীর আত্মরক্ষার্থ দুষ্টলোকদের প্রাণবধ পৰ্য্যন্ত করিলেও তাহ অধৰ্ম্ম ত নহেই, বে-আইনী কাজ ও নহে ; বরং ধৰ্ম্মরক্ষার জন্য উহ! আবশ্যক ।