পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] AMMMAMMMMMAMMMAMAMMMMMMAMMAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMMAMMAA MAAAASASASS কৃষ্টিপাথর—পাবনা হিন্দুস ন্মিলনীর সভাপতির অভিভাষণ や> AAAAAA AAAA AAAAMMAMMAMS SSASAS SS SAAAA م۔ مہم۔ کیمیہ یمہی ممت-۔ جی-بی. এবং ক্ষত্রিয়ধর্মের পালন যখন ব্রাহ্মণ ও শূদ্রের পক্ষে বিধেয় নহে তখন এই ভারত হইতে বৰ্ত্তমান যুগে ক্ষত্রিয়ের বীর্য্য, ক্ষত্রিয়ের শৌর্য্য, ক্ষত্রিয়ের দুৰ্ব্বলের প্রতি প্রবলের অত্যাচার ও নির্য্যাতন-নিবারিণী শক্তিরও কোন আবশ্বকত নাই। শুধু কি তাই, কৃষি ও গোরক্ষাই বা কিরূপে হইতে পারে, এ সব ত বৈঙ্গের কার্য্য, বৈগুই যখন নাই ওঁথন এই সকল কাৰ্য্য কে করিবে ? ব্রাহ্মণ যদি এ কার্য্য করেন তাহা হইলে তাহার স্ববৃত্তিত্যাগপূর্বক নীচ বর্ণের বৃত্তিগ্রহণজনিত প্রতবায় হইবে, ইহাই ত সনাতনী ব্যবস্থা। ব্রাহ্মণের পক্ষে যে পর্য্যস্ত ব্ৰাহ্মণোচিত বুত্তিতে ইবেলা দুই মুঠ গ্রাসের সংস্থান সম্ভবপর, সে পৰ্য্যন্ত র্তাহার পক্ষে ক্ষত্রিয় বা বৈশ্ব বৃত্তি গ্রহণ সনাতনধৰ্ম্মবিরুদ্ধ । সুতরাং প্রকৃত সনাতনী হিন্দু হইয়৷ এই লোকে কোনরূপে শেষ পর্য্যন্ত দিন কয়টা কাটাইয়া পরলোকে অপার সুখলাভের অধিকারটা বজায় রাখিতে হইলে কুযি, গোরক্ষা, বাণিজ্য ও যুদ্ধ প্রভৃতি কাৰ্য্য পরিবর্জন করিতেই হইবে । বাকী রহিল শুদ্র, তাহাদের স্বধৰ্ম্ম হইল দ্বিজাতিশুশ্রুষা, এবং দ্বিজাতির উচ্ছিষ্ট ভোজনে দাসোচিত দেহের পবিত্রত রক্ষা, তাহা যতক্ষণ সম্ভবপর ততক্ষণ দে যদি তাহা না করিয়া কৃষি, বাণিজ্য বা যুদ্ধ প্রভৃতি কাৰ্য্য করিতে প্রবৃত্ত হয় তাহা হইলে ত তাহার পরলোকে নরকপাত অবশ্বাস্তাবী, দে যদি নরকপাতের ভয়ের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখাইয়। ঐ সকল উচ্চবর্ণের বৃত্তি গ্রহণ করে তাহা হইলেই সনাতনী ব্যবস্থা অঙ্গল জলে ডুবিবে, হিন্দুত্বের লোপ হইবে, ইহাই ত রঘুনন্দন ভট্টাচার্য্যের মত, এই মত যিনি না মানিবেন, ইহার বিরুদ্ধে ষিনি আন্দোলন করিবেন, তিনিই হিন্দুধৰ্ম্মের শুক্র, তিনিই বর্তমান যুগের কালাপাহাড়, ইহাই হইল বাঙ্গলার ব্রাহ্মণপণ্ডিতনামে প্রথিত সমাজনেতৃবর্গের সিদ্ধান্ত, ইহাই হইল সনাতনী শাস্ত্রসম্মত ব্যবস্থা !--- এই প্রকার পরস্পরবিরোধী মতদ্বয়ের মাঝখানে পড়িয়া বাঙ্গালার বিরাট হিন্দুসমাজ কৰ্ত্তব্যনির্ণয়ের অভাববশতঃ ক্রমেই অবসন্ন হইয়া পড়িতেছে।...স্বজনবিরোধসমুদ্ভূত তীব্র হলাহলের করাল গ্রাস হইতে বাঙ্গালী হিন্দুসমাজকে রক্ষা করিবার জন্ত আবার প্রকৃত সনাতন ধর্শ্বের প্রতিষ্ঠা দ্বারা বাঙ্গালী হিন্দুজাতির নবজীবন সঞ্চার করিবার জন্য বাঙ্গাল দেশে হিন্দু-মহাসভা সংস্থাপিত হইয়াছে, ইহাই আপনাদের নিকট আমার অদ্যকার প্রধান বক্তব্য।••• হিন্দু-মহাসভা হিন্দুসমাজকে নবজীবন প্রদানপুৰ্ব্বক তাহাতে বিশ্ববিজয়িনী শক্তির সঞ্চার করিবার জন্য যে পন্থী ও প্রণালীর অনুসরণ করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছে তাহা সৰ্ব্বথা হিন্দুশাস্ত্রসন্মত এবং মহর্ষিগণের অমুমোদিত ।...হিন্দু-মহাসভা হিন্দুর সর্বতোমুখী জাতীয় উন্নতির জন্ত প্রধানভাবে চারিটি কার্য্য করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছে, ইহা আপনাদেয় কাহা ও বোধ হয় অবিদিত নহে ; সেই চারিটি কার্য্য হইতেছে—শুদ্ধি, সংগঠন, অস্পৃষ্ঠাতা-পরিহার ও বালবিধবা-বিবাহ । বৰ্ত্তমান সময়ে এই চারিটি কার্য না করিলে হিন্দুজাতির অস্তিত্ব যে অচিরকালের মধ্যে বিলুপ্ত হইবে ইহাই হইল হিন্দুসভার দৃঢ়বিশ্বাস,হিন্দুর ধৰ্ম্মশাস্ত্র এই কয়টি অত্যাবশ্বক কার্য্যের অনুমোদন করিয়া থাকে।... আমার এই সিদ্ধান্তের কেহই এ পর্যন্ত খণ্ডন করিতে পারেন নাই ... উপযুক্ত শাস্ত্রজ্ঞ অথচ ব্যবহারঞ্জ মনীষী ব্যক্তিকে মধ্যস্ত রাখিয়া বিচার স্বারা নিজ বক্তব্যের সমর্থন করিতে প্রাচীনপন্থীরা পশ্চাৎপদ, প্রাচীনতা ও গতানুগতিকতার দোহাই ছাড়া উহাদের বস্তুত বা প্রবন্ধে আর কিছুই দেখিতে পাওয়া যায় না, তাহার শাস্ত্রের দোহাই দিতে যেমন মজবুত, শাস্ত্র বুঝিতে কিন্তু তেমনি অপারগ, স্বণিয়ঞ্জিত সভ্যমণ্ডিত বিচারসভায় উভয়পক্ষসন্মানিত অস্তুতঃ তিনজন মধ্যস্থের সাহায্যে র্তাহারা যদি নিজমতের প্রামাণিকতা ব্যবস্থাপিত করিতে সমর্থ হয়েন তাহা হইলে হিন্দুসভা এই চারিটি কায্যের অবৈধতা মানিয়া লইবে এবং তৎক্ষণাৎ তাহ পরিত্যাগ করিতে অমুমাত্রও দ্বিধাবোধ করিবে না।... মানবদেহ জাবরূপে আবিভূর্ত পরমাত্মার লীলানিকেতন ...নিকৃষ্ট আচার যে ছাড়িয়াছে, ভগবদৃভক্তির উদয়ে যাহার হৃদয় নিৰ্ম্মল হইয়াছে সে যে কোন জাতিতেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন, সে স্পৃষ্ঠ, সে পবিত্র, ইহাই হইল শ্ৰীমদভাগবতের সিদ্ধান্ত ।... মহা ভারতে সাক্ষাৎ মহর্ষি বেদব্যাসও ইহাই স্পষ্টতঃ বলিয়াছেন “এতৈ: কৰ্ম্মফলৈৰ্দেবি নুনজাতিকুলোস্তবঃ। শুদ্রাহপাগমসম্পন্নে৷ দ্বিজোভবতি সংস্কৃত: ॥” ( মঃ ভাঃ অমুশাঃ পঃ ১৪৩৪৬ ) হে দেবি ! এই সকল কৰ্ম্মের ফলে হীনজাতিকুলোস্তব শুদ্ৰও সংস্কৃত হইয়। দ্বিজত্বলাভ করে এবং আগমসম্পন্ন হয় । ”যথ। কাঞ্চলতাং যাতি কাংস্তং রসবিধানতঃ । তথা দীক্ষাবিধানেন দ্বিজত্বং জায়তে নৃণাম ॥" (হঃ ভঃ বিঃ ২য় বিঃ ৭ম সংখ্যাধুত তত্ত্বসাগরবচন ) “যেমন রাসায়নিক প্রক্রিয়াবিশেষে কাসা সুবর্ণ হইয়া যায়, তেমনি দীক্ষাবিধানে মমুঘুমাত্রেরই বিপ্রতালা ভ হইয়া থাকে ৷” এই শ্লোকে দ্বিজত্ব শব্দের অর্থ যে বিপ্রত্ব তাহ দিগ্‌দৰ্শনী নামক টীকাতে স্বয়ং শ্রীলনাতন গোস্বামীই অঙ্গীকার করিয়াছেন । বালবিধবার পুনব্বিবাহ যে সৰ্ব্বথা শাস্ত্রসম্মত ইহা পুণ্যচরিত দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর মহাশয় বহুদিন পুৰ্ব্বে ব্যবস্থাপিত করিয়া গিয়াছেন, এ পর্য্যন্ত কোন পণ্ডিতই শাস্ত্রানুকুল বিচারসাহায্যে সেই ব্যবস্থার খণ্ডন করিতে পারেন নাই, কেবল কুটতর্কজড়িত বৃথাবাগ জাল বিস্তার দ্বারা শাস্ত্ররহস্তানভিজ্ঞ জনকয়েক পণ্ডিতস্মন্তব্যক্তি নিজ দলের মনোরঞ্জনপূর্বক আত্মতৃপ্তি লাভ করিতেছেন মাত্র, কিন্তু নবজাগরিত হিন্দুসমাজে এই প্রকার বালবিধবার পুনৰ্ব্বিবাহ যে ভাবে উত্তরোত্তর প্রসার লাভ করিতেছে—তাহ দেখিয়া মনে হয় এই সকল পণ্ডিতৰ্ম্মন্ত ব্যক্তিগণের ঐ সকল চীৎকার অচিরকালের মধ্যে অরণ্যে রোদনরূপে পরিণত হইবে !--- হিন্দুসংগঠন বলিলে আমরা কি বুঝি—এক্ষণে তাহাই বলিতেছি । হিন্দুসংগঠনের মূল ভিত্তি হইতেছে বহুশতাবীয্যাপিনী হিন্দুর দাসোচিত মনোবৃত্তির বিসর্জন । আমরা কলিযুগের মানব, সুতরাং আমাদের পুৰ্ব্বপুরুষগণের স্থায় আমাদের শক্তি নাই, জ্ঞান নাই, বীৰ্য্য নাই, তেজ নাই, পাপের পঙ্কে আমরা নিমগ্ন হইয়া পড়িয়াছি, আমাদের ঐহিক ও পারত্রিক মঙ্গল কিসে হয় তাহা আমাদের স্বাধীন মনোবুত্তির সাহায্যে বুঝিবার শক্তি নাই, ভবিষদৃদশী ঋষিগণ আমাদের বর্তমান যুগের যাবৎ কর্তব্য দিব্যজ্ঞানের প্রভাবে নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন, সুতরাং আমাদের নিজের স্বতন্ত্রভাবে ভাবিবার বা ভাবিয়া স্থির করিবার কিছু নাই, আবার সেই ঋষিগণের বচনসমূহের তাৎপৰ্য্য কি তাই বুঝিবার বা বুঝাইবার শক্তি ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতগণেরই একমাত্র নিৰ্ব্বিসংবাদিত পৈত্রিক সম্পত্তি, উহাদের শ্ৰীমুখীরবিদ হইতে যাহাই শাস্ত্রের অর্থ নির্গলিত হইবে, তাছাই শ্রুতির সার, স্মৃতির রহস্ত, পুরাণের নিগুঢ় মৰ্ম্ম, ইত্যাদি প্রকারের যে মনোবুত্তি ইহারই নাম দাসোচিত মনোবুক্তি বt slave montality. এই জাতীয় মনোবৃত্তিই হিন্দুজাতির সর্বনাশের প্রধান কারণ, এবং ইহাই হিন্দুজাতির সর্বপ্রকার অভু্যদয়ের প্রধান অঙ্গরীয় । so