পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧૧૦ فرفنفذ " وتتقسfat.hى . [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড কাজে তাহারা উত্ত্যক্ত হন নাই। উত্ত্যক্ত হইলে তাহার হরতাল না করিয়া মহিল৷ পিকেটারদের গ্রেপ্তারে উল্লাস প্রকাশ করিতেন এবং হরির লুট দিতেন। এইজন্য অহমান হয়, পিকেটিঙে দেশী দোকানদারদের চেয়ে ব্রিটিশ গবন্মেন্টের আপত্তি বেশী, অবশ্য বিলাতী মিলওয়ালাদেরও আপত্তি আছে। ভারতবর্ষের গবন্মেণ্ট ও ভারতবর্ষের জনগণ বলিলে দুটি যেরূপ বিভিন্ন মানবসমষ্টি বুঝায়, ব্রিটিশ জাতি ও ব্রিটিশ গবন্মেণ্ট বলিলে তদ্ধপ আলাদা আলাদা জিনিষ বুঝায় না। বিশ্বভারতীর ছাত্রী ও ছাত্রদের দ্বারা পল্লীসেবা আমরা বিশ্বভারতীর ১৯২৯ সালের রিপোর্ট পড়িয়া শ্রাবণের প্রবাসীতে লিখিয়াছিলাম, যে, আগে যেমন শাস্তিনিকেতনের ছাত্রের নিকবর্তী কোন কোন গ্রামের বালক-বালিকাদিগকে পড়াইত, এখন তাহা হয় না । রিপোর্টে এরূপ কোন ব্যবস্থার উল্লেখ না থাকায় এইরূপ লিথিয়াছিলাম। বৰ্ত্তমান বৎসরে দেখিতেছি শাস্তিনিকেতনের ছাত্রী ও ছাত্রের কেহ কেহ পল্লীসেবা করিতেছেন । ছাত্রীসংঘ হইতে ভুবনডাঙ্গা ও সাওতাল গ্রামে প্রত্যহ অপরাহ্ল সাড়ে পাচটা হইতে সাতটা পৰ্য্যন্ত ঐ দুই গ্রামের ছাত্রীদিগকে পড়া, লেখা, স্বাস্থ্যরক্ষা, সেলাই, চরকায় স্থতাকাটা, সেবা, এবং লাঠি ও ছোরা খেল শিক্ষা দেওয়া হয়। গড়ে ৩০টি ছাত্রীকে শিক্ষা দেওয়া হয় । গড়ে প্রত্যহ শান্তিনিকেতনের চারিজন ছাত্রী এই সকল বিষয় শিখাইবার জন্য গিয়া থাকেন। কলেজ বিভাগের ছাত্রদের মধ্য হইতে প্রত্যহ গড়ে দুই জন নিকটস্থ গ্রামে শিক্ষণ দিতে এবং অন্যবিধ সেবার কৰ্ম্ম করিতে যাইয় থাকেন । কাজের সময় সন্ধ্যা ৭টা হইতে ৮টা । তাহারা গ্রামস্থ ১৮ জন ছাত্রকে শিক্ষা দেন। শিক্ষার বিষয় পড়, লেখা, বাগানের কাজ প্রভৃতি। কথকতা ও লণ্ঠনসহযোগে বক্তৃতার দ্বারা র্তাহার সামাজিক অনেক বিষয়েও শিক্ষা দেন। ইহা ছাড়া প্রত্যেক বুধবার এবং অমাবস্তা ও পূর্ণিমায় ছুটি محمجمہ بحیمہ یہ থাকায় গ্রামগুলিতে ডোবা-বুজনি, পথ-সংস্কার এবং নর্দমা-কাটার কাজ তাহারা ঐ ঐ দিনে করেন। 'এই সকল কাজের ব্যয়নিৰ্ব্বাহের জন্য আশ্রমের অতিথিবর্গের নিকট হইতে কিছু কিছু দান চাওয়া হয়। তদ্ভিন্ন সম্প্রতি একদিন আনন্দবাজার খোলা হয়। তাহাতে মোট নব্বই টাকা আট আনা আয় হইয়াছে। মাননীয় শ্ৰীযুক্ত এস্ এন ঘোষ মাননীয় শ্ৰীযুক্ত এস্ এন্‌ ঘোষ আফ্রিকার টাঙ্গনীক দেশের প্রধান শহর দার-এস-সালামে ব্যারিষ্টারী করিতেন। সম্প্রতি র্তাহার মৃত্যু হইয়াছে। তিনি ১৯২৪ সালে ঐ দেশে ব্যারিষ্টারী করিতে যান, এবং প্রথম হইতেই তাহার পসার জমিতে থাকে। তিনি সাতিশয় সরল প্রকৃতির লোক ছিলেন এবং সমুদয় লোকহিতকর কাজে সহায়তা করিবার জন্ত সৰ্ব্বদা প্রস্তুত ছিলেন । তিনি নেতা হইতে অভিলাষী ছিলেন না । কিন্তু সামাজিক বা রাজনৈতিক এমন কাজ খুব কমই ছিল, যাহাতে লোকে তাহার নেতৃত্ব চাহিত না । তিনি টাঙ্গানুয়ীকার ব্যবস্থাপক সভার সভ্য মনোনীত হইয়াছিলেন। তিনি স্থানীয় সেণ্ট লৈ স্কুলে অনেক সাহায্য করেন এবং উহার জন্য দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করেন। ভারতীয় লাইব্রেরী স্থাপন ও পরিচালনের জন্যও তিনি অনেক পরিশ্রম করেন। তিনি সম্প্রতি হৃদরোগ প্রভৃতিতে এত দুৰ্ব্বল হইয় পড়েন, যে, স্থচিকিৎসার জন্য ইউরোপ কিংব ভারতবর্ষে আসিতে পারেন নাই । তাহার দৈহিক অবস্থ৷ যখন অত্যন্ত খারাপ হইয়া পড়ে, তখন র্তাহাকে স্থানীয় ইউরোপীয় হাসপাতালে লইয়া যাওয়া হয়, এবং সেখানেই তাহার মৃত্যু হয় । দুঃখের বিষয় সেখানে তাহাকে ইউরোপীয়দের জন্য অভিপ্রেত ভাল কোন কক্ষে প্লাথিয়া ভালরূপ চিকিৎসা করা হয় নাই, ভূত্যদের জন্য নিদিষ্ট স্থানে রাখা হইয়াছিল। টাঙ্গানীকার গবর্ণর ও চীফ জষ্টিস্ তাহার মৃত্যুর পর তাহাকে তাহাদের বন্ধু বলিয়৷ উল্লেখ করেন, এবং তিনি অনেক বার তাহদের সহিত ভোজও খাইয়াছিলেন । কিন্তু, “.. ...শ্বশানে চ য তিষ্ঠতি স বান্ধবঃ।” শ্মশানের আগে তাহার প্রতি