পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጫማ&» SAASASAAAAASA SSASAS S S AAAA S ASA SSASAS SS SAAAAAA AAAA AAASA SAAAAA AYS ه اع و ۰ می . عمه ای یخی عیتی » بیان مییابع প্রবাহিত হইয়াছিল, তাহা একেবারে লোপ পায় নাই, তাহার শ্রেষ্ঠ অংশগুলির সমবেত ফল বর্তমান ভারতের জাতীয় চরিত্রে ও চিন্তায় রহিয়া গিয়াছে। অর্থাৎ কোন একজন মানুষ যেমন জন্ম হইতে মৃত্যু পৰ্য্যস্ত সেই একই ব্যক্তিবিশেষ থাকে, সেইরূপ ভারতবাসী লোকসমষ্টিরও একটি বিশেষ ব্যক্তিত্ব আছে ; প্রাচীনতম জ্ঞাত জাৰ্য্যযুগ হইতে তাহ ধারাবাহিকরূপে নানা পরিবর্তনের ভিতর দিয়া অবিচ্ছিন্নভাবে চলিয়া আসিয়াছে ; এবং তাহার শেষ ফল এখনকার আমরা । স্মরণাতীত যুগ হইতে সময়ের স্রোতে ভাসিয়া কত ভিন্ন ভিন্ন জাতি ভারতবর্ষে আসিয়া বসতি করিয়াছে । তাহাদের আদিম যে-সব পার্থক্য ও বিশেষত্ব ছিল, ক্রমে ক্রমে ভারতের জলবায়ু রোদ বৃষ্টি ভাত রুটির প্রভাবে তাহ লোপ পাইয়া তাহারা সকলেই এক ভারতীয় ছাপ লইয়াছে। আর্য্য হিন্দুই বলুন, আরব সৈয়দই বলুন, আম খৃষ্টান পতুগীজই বলুন, যে-সব লোক ভারতে স্থায়ী বসতি করিয়াছে, মুষ্টিমেয় পারসী জাতি বাদে তাহার। সকলেই নিজ নিজ আদি দেশের রক্তের বিশুদ্ধতা হীরাইয়াছে, প্রকৃতপ্রস্তাবে মিশ্র ভারতীয় জাতি হইয়াছে। নানা দেশ, নানা জাতি হইতে ভারতে আগত এই জনসঙ্ঘের উপর এই দেশের প্রভাবে যে এক ভারতীয় ছাপ পড়িয়াছে, তাহারা যে কাৰ্য্যতঃ এখানে থাকিয়া এক বিশেষ জাতি, এক বিশেষ সভ্যতার শ্রষ্ট ও অংশীদার হইয়াছে—নিজ নিজ পুৰ্ব্বতন বিদেশীত্ব হারাইয়াছে—তাহ অস্বীকার করিবার উপায় নাই । যে রাজলী সাহেব ভারতের রাষ্ট্রীয় একতা অসম্ভব মনে করিতেন, তিনিও বলিয়াছেন—“বিদেশী ভ্রমণকারী ভারতবর্ষে আসিয়া নানা প্রদেশে নানা জাতির মধ্যে আকৃতিতে, সমাজনীতিতে, ভাষায়, ধৰ্ম্মে, আচারব্যবহারে বিবিধ পার্থক্য দেখেন বটে, কিন্তু তিনি লক্ষ্য না করিয়া থাকিতে পারেন না যে, ‘হিমালয় হইতে কুমারিকা পৰ্য্যন্ত সমস্ত দেশ ব্যাপিয়া তলে তলে একটা অনিৰ্ব্বচনীয় জীবনের একতা’ (uniformity of life) atrz I <= s? gos? Fáভারতীয় চরিত্র, একটা সৰ্ব্ব-ভারতীয় ব্যক্তিত্ব আছে, প্রবাসী—অশ্বিন, ১৩৩৭ AMAMMMJMMAJ JMMMeMMAAASAASAAAS AAAAAA AAAAS AA SAASAASSAAAAA AAAA AAAA AAAAYA AeAMMAMMMAAA SAAAAA AAAA AAAAMASAMMS তাহার অংশগুলি বিশ্লেষণ করিয়া দেখান সম্ভব নহে।” এই “সাধারণ সৰ্ব্ব-ভারতীয় বিশেষত্ব” আবহমানকাল হইতে গঠিত হইয়া আসিয়াছে, যুগে যুগে অল্পবিস্তর বাহবেশ বদলাইয়াছে, আজও বদলাইতেছে, কিন্তু কখনও একেবারে নষ্ট হয় নাই । চারি যুগে চারি জাতির দান আজিকার ভারতবাসীদের এই সম্মিলিত ব্যক্তিত্ব প্রধানতঃ চারিটি জাতির দান লইয়াই গড়িয় উঠিয়াছে, তাহারাই প্রকৃত যুগ-কৰ্ত্ত, ভারত-ভাগ্যবিধাতা ; তাহাদেরই প্রভাব ঔষধের মধ্যেকার ধাতুপদার্থের মত আজ পর্য্যন্ত আমাদের রক্তে প্রবাহিত হইতেছে । তাহারা (১) বৈদিক আৰ্য্যগণ, (২) বৌদ্ধগণ, (৩) মুসলমান ও (৪) ইংরাজ । ইহাদের প্রত্যেকেই এই দেশে একটি নূতন জিনিষ একটি নূতন ধরণের শক্তি প্রবেশ করাইয়া দিয়াছেন, তাহা পুরাতনের সহিত মিশ্রিত হইয়া পুরাতন ভারতকে পরিবর্তিত করিয়াছে এবং নিজেও পরবর্তী যুগে পরিবর্তিত আকারে রহিয়া গিয়াছে। কোন যুগের কোন জাতির কোন ধর্মের শ্রেষ্ঠ দানই ভারত হারায় নাই,— এগুলি আজিকার ভারতের সাৰ্ব্বজনীন সম্পত্তি । আর্য্য ও বৌদ্ধযুগের ভারত সম্বন্ধে স্বধীগণ অনেক আলোচনা করিয়াছেন ; সে সম্বন্ধে আমি কিছু ন৷ বলিয়া, মুসলমান যুগে ভারত নূতন কি পাইয়াছিল, এবং তাহার কতটা এপর্য্যস্ত রাখিতে পারিয়াছে, তাহাই এখানে বিচার করিব । মুসলমান অধিকার আজ দেড় শত বৎসর হইল ভারতবর্ষ হইতে লোপ পাইয়াছে, কিন্তু ব্রিটিশ যুগের এই সব সহস্ৰ সহস্র প্রবল পরিবর্তনের মধ্যেও মুসলমান যুগের দান কত বেশী রহিয়া গিয়াছে, ব্রিটিশ-শাসকেরা তাহার কত বেশী অংশ নিজস্ব করিয়া, লইয়াছেন তাহা ভাবিলে আশ্চৰ্য্য হইতে হয়। ভারতে মুসলমান বসতির বিশেষত্ব ও প্রকৃত স্বরূপ মুসলমানদের পূৰ্ব্বে অনেক বিদেশী ও বিধৰ্ম্মী জাতি আসিয়া ভারতে বসতি করে,—যেমন গ্রীক, সির্থীয়