পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e سواه S S AAJ JMSAAAAAA AAAA SAAAAA S SSAS SSAS SSAS SSAS SSAMSJ ভারতীয় অর্থাৎ হিন্দু চিত্রকলার প্রভাব মুসলমান চিত্রকলাকে সম্পূর্ণরূপে বদলাইয়া নৃতন কলেবর দান করিল। শাহজাহানের সময়ে ( ১৬৫০ খৃষ্টাব্দ ) এই প্রণালীর পূর্ণ বিকাশ হইল, নব-ভারতীয় কলার সম্পূর্ণ জয় হইল, চীনা চিত্রবিদ্যার কোন চিহ্নই রহিল না, ভারতীয় প্রণালী সৰ্ব্বত্রই সুস্পষ্টভাবে দেখা যাইতে লাগিল ; মুখে চোখে এমন একটা কোমলতা,লাবণ্য ও বর্ণের সামঞ্জস্য, সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম ংশগুলি এমন যত্বে অঁাকা, অলঙ্কার ও সজ্জা এত বিবিধ এবং মহিমাশালী, এবং চিত্রগুলি প্রকৃতির এত অনুরূপ— যে দেখিলেই মনে হয় ইহা ইউরোপীয় প্রভাবের পূর্বকালীন ভারতের হৃদয়ের শ্রেষ্ঠ নিজস্ব উপহার। ইউরোপীয় চিত্রবিদ্যার দুটি সাধারণ নিয়ম, অর্থাৎ পারস্পেক্টভ (দূরের বস্তুকে ছোট করিয়া দেখান) এবং লাইট এণ্ড শেড ( ছায়ার দ্বারা উচুনীচু বুঝান ) মুঘল চিত্রে কখনও আসে নাই, কিন্তু অপর সকল গুণই ছিল। পণ্ডিতেরা প্রায়ই মুঘল চিত্রকে “রাফেলের পূৰ্ব্বের” ইটালীয় চিত্রকলার মত বলেন। অসংখ্য অকৃত্রিম আদি মুঘল চিত্র দেখিয়৷ আমার বিশ্বাস হইয়াছে যে শ্রেষ্ঠ মুঘলচিত্র ( অর্থাৎ শাহজাহানের যুগে অঙ্কিত দৃষ্টান্ত)গুলি বটিচেলীর ছবিগুলির অনেক উপরে ; এছুটির মধ্যে ঠিক তুলনা হয় না । মুঘল চিত্রশিল্পের বিস্তার ও অবনতি বাদশাহের দরবারে যে-সব বড় বড় চিত্রকরের ছাত্র শিক্ষা লাভ করিত পরে তাহাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ক’জন নিজ গুরুর পদ পাইত, অপর সব ছাত্র ওম্রা বা করদ রাজাদের দরবারে গিয়া অন্ন উপার্জন করিত । ইহাদের চিত্রের বিষয় শাহনামা, জামী-নিজামীর কাব্য, তাইমুরজীবনী, বা বাদশাহদের কীৰ্ত্তিকলাপ নহে—রামায়ণ.মহাভারত, পুরাণ প্রভৃতি হিন্দু সাহিত্য হইতে লওয়া । কিন্তু বিষয়গুলি হিন্দু হইলেও প্রণালী সম্পূর্ণ মুঘল রাজদরবারের অর্থাৎ ইণ্ডো-স্তারাসেন স্কুলের। স্বতরাং ইহাকে এক স্বতন্ত্র “রাজপুত স্কুল” বলা ভুল। ক্রমে ক্রমে এই সব রাজার পালিত রাজস্থানের চিত্রকরগণ বাদশাহী সভার গুরুদের বিদ্যা অল্পে অল্পে ভুলিতে লাগিল, তাহদের ছবিগুলিতে কোমলতা ও স্বক্ষদৃষ্টি লোপ পাইল, রঙের জাক প্রবাসী—অশ্বিন, ১৩৩৭ ASA SSASASJSJA SAMMJAMSMAAAS AAAAA MAAeeS SeSeSeSMS SS [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড AYA SMAYASeMAeM AAAA AAAA AAAA AMMAMSJAMMM MAA MaS জমক প্রখর হইয়া চোখে রুঢ় ঠেকিতে লাগিল ; ছবিগুলি দেখিয়াই বোধ হইল যেন কাচা কারিকরদের দ্বারা তাড়াতাড়ি আঁকা কম খরচে প্রস্তুত দ্রব্য । ( মোলারাম ও ংগ্রা-প্রদেশীয় চিত্রকরগণ এই স্কুল হইতে বিভিন্ন )। আওরংজীবের সময় হইতেই বাদশাহের অনাদরে, রাজকোষ শূন্ত হওয়ায়, অবিরাম যুদ্ধে এবং তাহার পুত্রপৌত্ৰগণের নৈতিক অবনতির ফলে মুঘল চিত্রবিদ্যা ডুবিয়া গেল, কারণ এটির জন্ম ও বৃদ্ধি রাজসভায়, ইহার জীবন রাজা ও ওমরার অর্থব্যয়ের উপর নির্ভর করিত। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগ হইতেই মুঘল চিত্রবিদ্যার দ্রুত অবনতি ; ওস্তাদ চিত্রকরগণ বৃদ্ধ বয়সে না খাইয়৷ মারা গেল, তাহাদের পুত্ৰগণ পৈতৃক ব্যবসার বৃথা আশা ছাড়িয়া দিয়া মুটে মজুর হইয়া মোটা ভাতকাপড় উপার্জন করিতে বাধ্য হইল। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ এবং উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে লক্ষেীয়ের নবাবদের অনুগ্রহে যে ভারতীয় চিত্রকলা জাগিয়া উঠে তাহা ইংরাজী ও মুঘল স্কুলের এক হাস্যাম্পদ খিচুড়ী, পিতামাতার কোন গুণই পায় নাই । ( “আকবরের , খৃষ্টান বেগম” এই মিথ্যা নামে পরিচিত চিত্রখানি এই স্কুলের একটি দৃষ্টান্ত )। স্থপতি শিল্পে ভারতে মুসলমান কীৰ্ত্তি আর, স্থপতিবিদ্যায় মুসলমান রাজা নবাবেরা ভারতকে যাহা দিয়া গিয়াছেন তাহার অনেকগুলিই আমাদের চোখের সম্মুখে বিদ্যমান। ভারতে মুসলমান অট্টালিকা-নিৰ্ম্মাণ-কলার যুগে যুগে ক্রমবিকাশ এখনও অতি স্বম্পষ্টভাবে দেখাইয়া দিতে পারা যায়। আকবরের পূৰ্ব্বেকার রাজবাড়ীগুলি প্রায় ধ্বংস হইয়াছে বা পরিবর্তিত হওয়ায় চেনা যায় না, কিন্তু অনেক মসজিদ সমাধি এবং দুর্গ এখনও বর্তমান আছে। দিল্লী এবং দিল্লীর বাহিরে দশ বারো মাইল স্থান যত্বের সহিত ঘুরিয়া দেখিলে এই যুগের অসংখ্য দৃষ্টান্ত চোখে পড়িবে। দাস-বংশের, খিলজীদের, তুঘলকদের, লোদীদের এবং শূর-বংশীয়দের সমাধি মসজিদ প্রভৃতি প্রত্যেকটি পূর্ববর্তী ও পরবর্তী যুগের দৃষ্টান্ত হইতে বেশ ভিন্ন, অথচ প্রত্যেক দৃষ্টাস্তটি যে পূৰ্ব্ব হইতে