পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম স খ্যা ] থাকিলেও, শিশুরা তাহাকে দেখিয়াই ভয় পায়। এবং শুধু তাহাই নয়, ঐ প্রকার যে-কোনও ব্যক্তিকে দেখিয়া শিশুরা সঙ্কুচিত হয় ... এই দুইটি হইতে যতদূর সম্ভব অতি-শিশুদের দূরে রাখা উচিত : কারণ, শিশু-চিত্তে বারংবার ভয়ের উদয় হইলে ক্রমে তাহারা ভয়প্রবণ হইয়া পড়িবে এবং নানা অমূলক ভয়, আরোপ-প্রক্রিয় দ্বারা স্বল্প হইয়া, তাহাদের চিত্ত অধিকার কপ্লিবে । এজন্ত শিশুর জাগ্রত ও নিদ্রিত অবস্থায় তাহার শয়নকক্ষে বা কোন নিকটবত্তীর্ণ স্থানে কোনরূপ উচ্চ শব্দ লা করাই সৰ্ব্বতোভাবে বাঞ্ছনীয়। এক শয্যা হইতে অন্ত শয্যায় *ায়ন কাইথা। সময় কোলে লইতে বা কোল হইতে নামাইবার সময় যথেষ্ট সী বধীন হওয়া উচিত।--- যে-সকল বিষয় হইতে বাস্তবিক গুরুতর বিপদের সস্তাবনা আছে, অতি-শিশুদিগকে সেই সব বিষয় হইতে দূরে রাখিতে হইবে । পরে বয়োবৃদ্ধির সহিত বুদ্ধির ক্রমবিকাশ হইতে থাকিলে, অনিষ্টকর বস্তুগুলির সহিত অল্পে অল্পে পরিচয় করাইয়া দিতে হইবে । শিশুদিগের ধারণাশক্তির অনুযায়ী করিয়া অণিষ্ট্রের আশঙ্ক। কোথায়, কিরূপ অনিষ্ট হইতে পারে, এই সমস্ত পূর্ণইয়া দেওয়া এবং যতদূর সম্ভব প্রত্যক্ষ করাইয়া দেওয়া উচিত । অগ্নিতে সামান্ত দগ্ধ হইবার অভিজ্ঞতা অর্জন করিতে দেওয়া সাপাতকষ্টকর হইলেও ভবিযুতে সুফলপ্রত্বই হয় । উচ্চ পালঙ্কের উপর শিশুকে হামাগুড়ি দিতে দেওয়া উচিত নয় ; কারণ, পড়িয়া মস্তিঞ্চে গুরুতর আঘাত লাগিতে পারে । কিন্তু মেঝের BBB SyK BBBS BBK BBB BSLLLSS BBB BBB B BBBB সময় যখন শিশু বার বা পড়িয়া যায়, তপন চীৎকারের সাহায্যে সাবধান না করিয়া, তাহাকে পতনের অভিজ্ঞতা লাভ করিতে দেওয়াই ভাল ।... গৃহপালিত কুকুর, বিড়াল প্রভূতি হইতে শিশুদিগকে সা ;ান কর। নিম্প্রয়োজন। এরূপ করিলে জীবজন্তুর বিষয়ে ৩1হণদের প্রাণে একটি স্থায়ী ভয় থাকিয়া যাইবে । কিন্তু অপরিচিত জীবজন্তু হইতে তাতিশিশুকে দূরে রাখাই বাঞ্ছনীয়। পরে বয়োগুদ্ধি হইলে উহাদের সহিত অল্প অল্প করিয়া পরিচিত করান উচিত। অনেকেরই ধারণা অন্ধকারকে শিশুর স্বভাবতঃ ভয় করে ; কিন্তু সে ধারণা ভ্রমমূলক । ইহাও আরোপ-ক্রিয় দ্বারা কৃত্রিম উপায়ে স্বজিত । এই অন্ধকার-ভীতি স্বজন করিবারও কোনও প্রয়োজনীয়ত আছে বলিয়। আমাদের মনে হয় না। বরং এই ভীতির স্বষ্টি না করিয়া, শিশুদের অন্ধকারের সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা লাভ করার সুযোগ দেওয়া উচিত ... জীবনে আমরা যে-সমস্ত বিপদের আশঙ্কণ করিয়া থাকি, আলোচন। করিলে দেখা যায়, তাহারা সাধারণতঃ দুই রকমের । কতকগুলি বাস্তব—যেমন অগ্নি হইতে বিপদ ; এবং কতকগুলি সম্পূর্ণ কাল্পনিক-- যেমন ভূত, জুজু হইতে বিপদ। পূর্বেই বলিয়াছি, যে-সব বিষয় হইতে বাস্তবিক বিপদের আশঙ্কা আছে, সে-সব বিষয় ও অনিষ্টের সহিত প্রত্যক্ষভাবে কিছু পরিচিত হইবার পূৰ্ব্বে শিশুদের সাবধান করা উচিত নয় । এবং যে-সমস্ত অনিষ্টকর বস্তুর বাস্তবিক অস্তিত্ব আছে, অথচ শিশু এখন তাহীদের সহিত পরিচিত হয় নাই—সেরূপ বস্তু সম্বন্ধেও শিশুর সহিত আলোচনা করা সম্পূর্ণ নিম্প্রয়োজন। এবং কাল্পনিক বিষয় বা অনিষ্ট্রের সম্বন্ধে শিশুর সহিত কোন সময়ে কোনরূপ আলাপ করিবে না ... ভয় দূর করা অতি কঠিন ব্যাপার। সৰ্ব্বপ্রকার কৃত্রিম ভয় যে দূর কষ্টিপাথর—কালিদাসের বৃক্ষলত Jులి করা যায়, এ কথা বলা যায় না ; কিংবা সর্বপ্রকার ভয়কে দূর করিবার যে কেবল একটি মাত্র পন্থী আছে, তাহাও নহে। তবে বৈজ্ঞানিকগণ একটি মূল সুত্রের সন্ধান পাইয়াছেন—যাহার স্থান-কাল-পাত্র-উপযোগীভাবে পরিবর্তন করিয়া ব্যবহার করিলে অনেক কৃত্রিম ভয় দূর হয় । মনে করুন, কোন শিশু বিড়াল দেখিয়া ভয় পাইয়াছে। সেই ভয় কিছুতেই দূর করা যাইতেছে না। শিশুকে অনেক দিন বিড়াল হইতে দূরে রাগিলেও সেই বিড়াল-ভীতি শিশু-মন হইতে একেবারে অপস্থত হয় না।...জোর করিয়া বিড়ালের নিকট লইয়া গিয ভয় ভাঞ্জাইবার চেষ্টা করা অত্যন্ত বিপজ্জনক।---ঠাট্টা করিয়া উড়াইয়।:দিলে তাহাকে জটিল মনোভাবের দিকে চালিত করা হয় মাত্র । অস্তান্ত শিশুদিগকে ষ্টান্ত শিশুর সম্মপে বিড়াল লইয়া পেল করিতে দিয়াও বিশেষ কোন ফল পাওয়া যায় না। শিশুর ক্ষুধার সময় তাহাকে পাইতে দিয়া তাহার দৃষ্টিগোচর স্থানে অথচ বহুদূরে একটি বিড়াল রাখিয় দিবে। বিড়াল দূরে আছে বলিয়। শিশুর খাদ্যের প্রতি স্বাভাবিক আসক্তি ও বিড়ালের প্রতি কৃত্রিম ভয়ের দ্বন্দ্বে প্রথমটি জয়লাভ করিবে। বিড়ালটিকে অতি নিকট আনিলে কিন্তু উন্ট ফল ফলিবারই সম্ভাবনা । তাই প্রতিদিন তাল্প অল্প করিয়া বিড়ালটিকে নিকটে লইয়া আসিতে হইবে । এইভাবে অগ্রসর হইলে মনোবৃত্তির দিক দিয়া দুইটি কার্য্য সাধিত হইবে । শিশু উপলব্ধি করে যে বিড়াল হইতে তাহার কোন ভয়ের আশঙ্কা নাই ; এবং প্রত্যেকবার খাইবার আনন্দ উপভোগের সময় বিড়াল দৃষ্টিপথে থাকাতে কতক আনন্দের কারণ সে বিড়ালেই আরোপ করে । এই ভাবে ধৈর্যের সহিত চেষ্টা করিলে অবশেষে শিশুর বিড়ালম্ভীতি একেবারেই অন্তৰ্হিত হইতে পারে।... যাহা হউক, অতীত সম্বন্ধে অমৃতপ্ত হইয়া লাভ নাই। গতানুগতিক শিক্ষার কুফল হইতে শিশুদের সাধ্যমত রক্ষণ করাই বিধেয় ; কিন্তু অতি সত্বর এই সব কুশিক্ষার মূলোচ্ছেদ করিয়া নুতন শিক্ষা প্রবর্তন করিতে হইবে । যে শিক্ষা মানুষকে মালুম করে,--যে শিক্ষণ আবার আমাদের নিষ্টীকভাবে পৃথিবীর বক্ষে দাড় করাইবে- সেই শিক্ষার প্রবর্তন করিতে হইবে। আমাদের স্মরণ রাখা উচিত—-সেই শিক্ষার ভিত্তি আতি শিশুকালে স্থাপন করিতে হইবে । শিশুশিক্ষার দিকে সকলে মনোযোগী হউন—জাতি আপনি গড়িয়া উঠিবে । কিন্তু শিশুমনোবিজ্ঞান সম্বন্ধে জ্ঞান না থাকিলে এই প্রকৃত শিক্ষার অনুষ্ঠান ও প্রচলন একেবারে অসম্ভব । ভারতবর্ণ চৈত্র, ১৩৩৬) শ্ৰীগোপেশ্বর পাল দালিদাসের বৃক্ষলত ৪১। দেবদার –ষ্ঠিত্ব সদ্যঃ কিশলয়পুটান দেবদারুদ্রমাণাং । মে ২॥৪৪ অন্য নাম—শতপাদক, কল্পপাদক, দারুক, স্নিগ্ধদার, শিবদারু, শাস্তব, ভূতহারিন, ভদ্রবং, মস্তদারু। দেবদার দুই প্রকার,~– স্নিগ্ধদার, কাষ্ঠদারু । বৈদ্যগ্রন্থে দেবদারু বলিতে স্নিগ্ধদারু বুঝিতে হইবে । স্নিগ্ধদারু—সুগন্ধি, ভারী, তৈলাক্ত এবং ঈষৎ পীতবর্ণ। ইহা পৰ্ব্বতে জন্মে। বণিকৃগণ যে তৈলাক্ত গুরু হুগন্ধি কাষ্ঠ বিক্রয় করে, তাহ। স্নিগ্ধদার । দেবদারুর হুগন্ধ আছে, তাহা কালিদাস মেঘদূতে