পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ab-b。 প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড মতন সাহসী, জিগীষা দেবীর মতন লেখিকা, মেজদির ননদের মতন রসিক, লোটি রায়ের মতন গাইয়ে, ফাখত খার মতন নাচিয়ে ? চরণ ঘোষের চোদপুরুষ কখনো এমন তিলোত্তম দেখে নি। চুপি চুপি বললুম—‘চরণ, আর কথাটি নয়, বাবাজাকে এই আস্চে অস্ত্রানেই ঝুলিয়ে দাও, নইলে বেচার বাড়ি-বাড়ি হাংলা-দিষ্টি দিয়ে বেড়াবে ।’ চরণ লাফিয়ে উঠে বললে—‘দাড়াও, হাংলাপনা ঘুচচ্চি। তারপর মশায় চরণ ঘোষ হাত-নেড়ে এমন চীৎকার আরম্ভ করলে যে, হোটেল-মৃদ্ধ লোক হকচকিয়ে গেল । নিজের ছেলে, তার বন্ধুর দল, হোটেলওয়ালা, ইউনিভার্সিটি, আধুনিক সভ্যতা, কাকেও বাদ দিলে না । কাত্তিক ঘাড় হেঁট ক’রে গালাগাল হজম করতে লাগল, কিন্তু অন্ত ছেলেরা রুখে উঠল, হোটেলের ম্যানেজারও আস্তিন গুটিয়ে লড়তে এল। বঁটিলো ছেলেটি . অতি মিষ্টভাষী আর বিনয়ী । সে খুব মোলায়েম ক’রে বললে—“দেখুন চরণবাবু, নিজের ছেলেকে আপনি যা খুশী বলতে পারেন, কিন্তু আমরা কি করি না-করি আপনার পিতার তাতে কি ? ম্যানেজার বললে—‘জানেন, আপনাকে পুলিসে দিতে পারি ? চরণ মুখ ভেংচে বললে—‘দাও না দেখি । ম্যানেজার বললে—‘জানেন, এট। অ্যাংলো-মোগলাই কেফ ? বাটলে বললে—“কেফ নয়, কাফে ’ ম্যানেজার বললে--"ওই হ’ল । জানেন, একটা রেসপেকটেবল রেষ্টাউর্যান্ট ? 錢 বঁটিলো বললে—‘রেস্তোর।’ ম্যানেজার বললে – ‘এক-ই কথা । জানেন, এটা হচ্চে শিক্ষিত লোকের রেণ্ডেজভোস ? বাটলে বললে—‘রাদেভূ।’ এটা বার-বার বাধা পেয়ে ম্যানেজার বিরক্ত হয়ে উঠল। বললে—“আরে থামো ডেপো ছোকরা। ডেভিল মামলেট দেরাই বেচে বুড়িয়ে গেলুম, এখন ইনি এলেন উরুশচারণ শেখাতে !” MAMAMAeMSAAAA বাটলো গর্জন করে বললে—'খদেরকে অপমান ? টেক্‌ কেয়ার, তোমার হোটেল বয়কট ক’রব, কেবল কুকুরের ঠ্যাং আর সাপের চৰ্ব্বি চালাচ্চ ? আমার পাশের টেবিলে একটি বৃদ্ধ ভদ্রলোক বসেছিলেন । ইনি একজন নীরব-কৰ্ম্মী, দু প্লেট কোমর্শ চুপচাপ শেষ ক’রে রাইসরষে আর নেবুর রস দিয়ে কাচা টোমাটো খাচ্ছিলেন । ইনি চমকে উঠে বললেন—‘কী ভয়ানক ! সেজন্যেই ত আমি ওসব খাওয়া ছেড়ে দিয়েচি, কেবল জোচ্চ রি, ভাইটামিনের নামগন্ধ নেই। আমি বললুম—‘ভাইটামিন যদি চান, তবে কাটাল খান ।” বাল্যে দুগ্ধ, যৌবনে লুচি-পাট, বাৰ্দ্ধক্যে একটু নিমঝোল আর প্রচুর হরিনাম—এই হ’ল মানুষের স্বাভাবিক পথ্য। কিন্তু আজকাল বৃদ্ধর শিখেচেন যে ভাইটামিনই হচ্চে ভবনদীতে ভাসবার ভেলা । হোটেলের সমস্ত প্রবীণ খদের চোপ, চোপ, ক’রে ধমক দিয়ে বাটলো, ম্যানেজার আর চরণ ঘোষকে থামিয়ে দিলেন । তারপর আমার চারদিকে ঘিরে দাড়িয়ে উৎসুক হয়ে বললেন—“হা, তারপর মশায়, কাটালের কথা কি বলছিলেন ? আমি একটি ছোট্ট বক্তৃতা দিলুম।—ফলের শ্রেষ্ঠ হচ্চে কাটাল, আবার কাটালের রাজা হচ্চে ওতোরপাড়ার বন্ধুলবাবুদের গাছের রস-খাজা । এক-একটি কোয় এক-এক পো, কাচা সোনার বর্ণ, ভাইটামিনে টইটমুর । গালে দিয়ে বার-পাচেক এদিক ওদিক চলাচল করুন, তারপর চক্ষু বুজে একটু চাপ দিন, অবলীলাক্রমে গন্তব্যস্থানে পৌছে যাবে। কোথায় লাগে সন্দেশ পানতুয় রসগোল্লা । - টোমাটো-ভোজী বাবুটি বললেন - ‘কোন ক্লাসের ভাইটামিন মশায়—এ, বি, না সি ? বললুম-এ-বি-সি-ডি, বি-এল-এ-ব্লে, স্নাই-ফক্সমেট-এ-হেন, যা বলেন । হেন বস্তু নেই যা কাটালে পাবেন না । গুড়ি চিরুন, তক্ত হবে। পাতা পাকিয়ে নিন, তামাক খাবার উত্তম নল হবে। আর ফলের ত কথাই নেই। কাচার কালিয়া থান, যেন পাট । বিচি