পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] ছেলেধরা ԳԵՏ SMASASASeeeS ------ পুড়িয়ে খান, যেন কাবুলী মেওয়া । পাকা কোয়ার রস গ্রহণ ক’রে ছিবড়েট চরকায় চড়িয়ে স্থতে কাটুন, বেরুবে সিন্ধ ? ভদ্রলোক মুখ বেঁকিয়ে বললেন—“ননসেন্স।” আমি বললুম–‘বিশ্বাস হ’ল না ? তবে মরুন কাচ টোমাটে। খেয়ে । আমরা চললুম, নমস্কার।’ ম্যানেজার তাড়াতাড়ি ব’লে উঠল—‘ও মশায়, দুটো ঘোলের দাম দিলেন না ? আরে মোলো, আবার দাম চায় ! এত-বড় একটা কুরুক্ষেত্র থামিয়ে দিলুম সেটা কিছু নয় ? আচ্ছা বাবা, নাও এই সিকি । দাম চুকিয়ে কাত্তিককে চুপিচুপি কিছু সদুপদেশ দিয়ে চরণকে বললুম—“তুমি এবার সেয়ালদ যেতে পার, ন’টার ট্রেন এখনো পাবে । আমি আfর কাত্তিক আজ রাত্রে বাটলোদের বাড়িই থাকব । দুদিন পরে বাবাজীর রাগ পড়লে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে ধাব এখন ’ রণ ঘোষ চ’লে যাবার পর আমি, কাত্তিক, আর তার 历憎 বন্ধু বাটলে কেলে গোপল ঘনেন হোটেল থেকে একসঙ্গে বেরিয়ে এলুম। পথে যেতে যেতে কেলো বললে—এ অপমান কখনই সহ করা যায় না, আমরা বানের জলে ভেসে এসেচি না-কি ? কাত্তিক, তোর বীপকে এক্ষুনি উকিলের চিঠি দে, পাঁচশো টাকা ড্যামেজ । মকদ্দমায় আমরা সাক্ষী হব।” গোপলা বললে—‘বাপের নামে নালিশ দেখায় খারাপ। বরং খবরের কাগজে ছাপিয়ে দে, সমস্ত ছেলের দল খেপে উঠলে |’ ঘনেন বললে—“উহু । তার চেয়ে জিগীষ দেবীর কাছে চল, তাকে ব’লে ক’য়ে আমরা একটা আশ্রম খুলব। কাগজে ছাপাব—এস কে কোথায় আছ বাংলার ছেলেরা–নির্য্যাতিত উৎপীড়িত অসহায় বুভূক্ষু— কেলো বললে—“ঐ সঙ্গে একটা মেয়েদের বিভাগও খোলা উচিত ’ & কাত্তিকের এসব পরামর্শ পছন্দ হ’ল না। বললে— ‘বাটলো, হাইড্রোসায়ানিক এসিডের দাম কত রে ? বঁটিলো বললে—‘অনেক দাম । তার চেয়ে কেরালিন তেল ঢের সস্তা । দশ পয়সায় কাজ সাবাড় । কাত্তিক বললে—“কিন্তু বড ডে, জাল ক’রবে যে ? বাটলো আশ্বাস দিলে—“সে কতক্ষণ ? একবার মরতে পারলে মোটেই টের পাবি না।’ আমি বল্লুম-ছি বাবা কাত্তিক, দুঃখু কোরো না। একে বাপ তায় বয়সে বড়, বললেই বা একটু কড়া কথা । বাপের স্বপুত্তর হ’লে সব দেবতা খুশী হন। এই দেখ, রামচন্দ্র পিতৃ-আজ্ঞায় বলে গিয়েছিলেন।’ ঘনেন বললে—“জব্দও হয়েছিলেন তেমনি । মাথায় জটা, গায়ে জামা নেই, পায়ে জুতো নেই, চোদ বচ্ছর ভ্যাগাবও, বউ গেল চরি। চল রে বাটলো, আমরা একবার জিগীষা দেবীর বাড়ি গিয়ে তার বাণী নিয়ে আসি ।” 够 ছেলেদের বললুম—‘এত রাত্রে কেন আর তাকে বিরক্ত করা, এখন নিজের নিজের বাড়ি গিয়ে ঘুমও গে।’ কিন্তু তারা বাণী না নিয়ে ফিরবে না, অগত্য আমিও সঙ্গে সঙ্গে চললুম। বুড়োদের রাজ ত্ব শেষ হয়েচে, এখন ছোকরাদের পেছু-পেছু দেীড়নোই বুদ্ধিমানের কাজ । রলাবাগান ফাষ্ট লেনেজি গীষা দেবীর বাসা। রাত रु প্রায় ন’টা, কিন্তু বাড়ির দরজা তখনো খোলা রয়েচে । ঘনেন দু-বার ব্যায়রা ব্যায়রা বলে চেঁচাতেই নাকে ঝুম্কো পর একটা নেপালী ঝি বেরিয়ে এল। বাটলে বললে—‘চাটুয্যে মশায়, আপনিই আমাদের দলের সর্দার, দিন আপনার কার্ড পাঠিয়ে ’ কার্ড-ফার্ড আমার কোনো কালে নেই। ঝিকে বললুম —‘মাইজীকে গিয়ে খবর দাও কেদার চাটুধ্যে আর পাচ ছোকরা মোলাকাৎ করনে মাংতা ।” ঘনেন বললে—“ছোকর নয়, রসুন তরুণ।’ —“হা হা, বোলে৷ পাচঠে তরুণ আর একঠো বুড় ঢা মাইজীর সাথ দেখা করেগা ।” ঝি চোখ কুচকে বললে—‘মাইজী ? বললুম—’ই রে বাপু, জিঘাংসা দেবী।’ ঘনেন ধৰ্মকে উঠে বললে—জিগীষা দেবী । চাটুয্যে