পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] জন্য বুন্দেলখণ্ডে যাইতেছেন। চম্পং রায়ের পুত্র তাহার পরিবারের শত্রু । কিন্তু পরের সহিত বিবাদে জ্ঞাতিশত্রুত ভুলিয়া যাওয়াই মহত্বের পরিচায়ক। ছত্রসাল স্বজান সিংহের কাছে কিছু ভরসা পাইয়া ঔরঙ্গাবাদে বলদেব নামক বুন্দেলা-সর্দারের সহিত দেখা করিলেন। এখানে ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে একটি “ইসারা” বা দেবাদেশ গ্রহণ করিয়া উভয়ে একত্র বুন্দেলখণ্ডের দিকে অগ্রসর হইলেন । ১৬৭২ খৃষ্টাব্দে (১৭২৮ বিঃ সদ্বং *) বাইশ বৎসর বয়সে ছত্রসাল অখণ্ড প্রতাপ সম্রাটু ঔরঙ্গজেবের সহিত যুদ্ধে নামিলেন। অনেকদিন বেকার বসিয়া থাকায় তাহার হাতে কিছুই ছিল না। মাত কালীকুমারীর অবশিষ্ট কয়েকখানি অলঙ্কার বিক্রয় করিয়া মাতৃভূমির দাসত্ব-মোচনের মূলধন সংগৃহীত হইল। পাচজন অশ্বারোহী এবং পচিশজন মাত্র পদাতিক অহুচর লইয়া তিনি যুদ্ধার্থ বাহির হইলেন । ছত্রপুরের বাইশ মাইল দক্ষিণে বিজোর বা বিজোরী নামক স্থানে ছত্রসালের জ্যেষ্ঠভ্রাত রতন শাহ বাদশাহের প্রদত্ত জাগীর ভুেগি করিতেছিলেন। ছত্রসাল তাহাকে

  • ছত্রপ্রকাশ, পৃঃ ৭৯ ৷

নিরুপায় ፃ:Sፃ আঠার দিন পর্য্যস্ত অনেক বুঝাইয়াও ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধাচরণে রাজী করাইতে পারিলেন না। কিন্তু এ সময়ে বাকী খা বুন্দেল নামক পাঠান দস্থ্যসর্দার আসিয়া অপ্রত্যাশিতভাবে ছত্রসালের দলে যোগ দিল । বাকী খ1 দস্থ্য হইলেও মোগলের শত্রু এবং বুন্দেলখণ্ডের সস্তান । কোনো দেশে দেশভক্তের দলে সবই “কেটে”, “ক্রটাস”” হয় না। কাৰ্য্যারম্ভের প্রথমে স্থির হইল, বুন্দেলখণ্ডের এই স্বদেশী দল লুটতরাজ করিয়া হিন্দু-মুসলমাননিৰ্ব্বিশেষে মোগলপক্ষীয় জাগীরদারগণকে উত্যক্ত করিবে , তাহারা যদি দলে যোগ দেয় কিংবা “চৌথ” ( রাজস্ব ) , দিতে স্বীকৃত হয় তবেই অব্যাহতি পাইবে । সমস্ত দেশে লুটতরাজ আরম্ভ করিলে শত্রুর মানভয়ে পলাইয় যাইবে এবং দেশ নিজেদের হাতে আসিবে ও লোকেয়া । তাহাদের দলভূক্ত হইবে । এই ডাকাত-জয়েণ্ট-ষ্টকৃ. কোম্পানির লাভের শতকরা পঞ্চান্ন ভাগ ছত্রসাল এবং পয়তাল্লিশ ভাগ দেওয়ান বলদেব পাইবেন—ইহাও কথাবাৰ্ত্তায় স্থির হইল। এইভাবেই বুন্দেলখণ্ডের স্বাধীনতাসমরের উদ্যোগপৰ্ব্ব সমাপ্ত হইল । বারান্তরে যুদ্ধপৰ্ব্ব, আলোচিত হইবে । নিরুপায় ঐযতীন্দ্রমোহন বাগচী শ্রমিকের ফার্টুছে পিলে ধনিকের বুটের ঘায়ে, বণিকের বংশ বাড়ে তেতলার প্রাসাদ-ছায়ে ; কে থাটে কেই বা খাটায়, কেবা কাল খেলায় কাটায়,— যে বোনে গায়ের কাপড়, সে মরে আদুল গায়ে ! বাহবা বিধির বিধান, বাজা ভাই বাজনা বাজা, ঢেকে দে ভাবনা যত –দুনিয়ার এমনি রাজা ! চোরেরা বাড়ছে থাসা, সাধুরা কোণায় ঠাসা, রেখে দে ধৰ্ম্ম কথা, নিয়ে আয় কাকৃড়া ভাজা ! ওরে ভাই বডড ক্ষিদে, কি করি, বলতে উপায়, লাগ না ফন্দী ফিকির, যা’ করে ভাই মিলবে দুপাই : পশুরাও থাচ্ছে চরে’, মানুষে ক্ষিদেয় মরে— রাজাদের ঘর ভরে ধায় প্রজাদের শ্রমের রূপায় ! কত আর সহ হবে, বেটার। মোটর চড়ে ; দুবেলা পোলাও খেয়ে বসে’ বেশ আরাম করে । , দেখা হয় পথের ধারে— গুমরে চিনতে নারে, দুটাক চাইতে গেলেই মাথাতে টনক নড়ে !