পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভেড়াকে বাধা খাকৃ"Aা যেত। বহুকাল আগে বিষ্ট মামা বহুত্বে *ে *প্রয়োণ তার একটি পা আপুটেটু করে তাঃ তৈরী করে খেয়ে ছিলেন। কিন্তু প্রঞ্জি * ব্যয়সাপেক্ষ বলে’ এবং থোড়া ভেড়াগুলিকে कुँ কি করা যাবে স্থির করতে না পেরে বিষ্ট মামা :ৈ অহিংস আমিষ-আহারের চেষ্টা দ্বিতীয়বার আর কখনো করেন নি। কিন্তু বাইরের দিকে নিজের এই অনিচ্ছা-অবলম্বিত অসহযোগের কোনো প্রতিকার তার হাতে ছিল না, থাকলে প্রতিকার তিনি করতেন । কাজেই একমাত্র অহৈতুক ইংরেজ-প্রতির দ্বারা অন্তরের দিকে তিনি তার যতটা শোধ তোলা সম্ভব তা তুলতেন। বিষ্ট মামাও বয়কটে বিশ্বাস করতেন, কিন্তু তিনি বয়কট করেছিলেন, বিলিতি পণ্যকে অবগুই নয়, জাপানী পণ্যকেও নয়, তার বাড়ীতে পুইশাক, পটল, ঢেড়শ, ইত্যাদি ছাড়া স্বদেশী কোনো জিমি সহজে ঢুকতে পেত না। যে-সব জিনিষ এমনিতেই वुने সকলে ব্যবহার করে, বিলিতি বড়-একটা এদেশে আগেই না, বিষ্ট মামার দরকার হলে তাও সংসার তোলপাড় করে তিনি বিলিতি খুজে বের করতেন। তার বঁাশের লাঠিটি ছিল বিলেতে পালিশ করা, বিলেত থেকে পার্শেল হয়ে তার জন্যে নস্ত আসত, দেশী চিতল, কই, বাট ইত্যাদির চাইতে বিলিতি স্যামন, সাডিন ইত্যাদি র্তার বেশী মুখরোচক ত ছিলই, আপেল, ইবেরি, আঙর ইত্যাদি যে-সমস্ত ফল দেশেও জন্মায়, তাও বিলেত থেকে টিনে প্যাক না হয়ে এলে তার খেয়ে তৃপ্তিবোধ হত না । বিষ্ট মামা বাংল। বই পড়েন না, একথা সদৰ্পে প্রচার করতেন। রবিবাবুর ইংরেজি বইগুলি লাইব্রেরীতে রাখা যেতে পারে কি না, এবিষয়ে বহুদিন তার মনে একট। পঢ়ক ছিল,—সেগুলি বাংলার হুবহু অহুবাদ নয় জানতে পারবার পর নিঃসংশয় হয়ে এক সেট বই তিনি ক্রয় করেছিলেন, কিন্তু সেগুলিও আলমারির নীচের তাকেই প্রায় পড়ে থাকৃত। দেশী ছবিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করা সম্ভব নয় বলে তার বাড়ীতে দেশী ছবির জায়গা ছিল न । প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৭ ASAMMAASAASAASAASAAMMMSAAAAAAAS [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড নবনেটার অসাধ্য কাজ নেই ; এহেন মামুষের বাড়ীতে গান্ধী-টুপী মাথায় দিয়ে সে গিয়ে উঠল পিকেট কবৃতে । “আপনাকে বিলিতি ছাড়তে হবে।” এক টিপ বিলিতি নস্য নিয়ে বিলিতি আদির রুমালে নাক মুছতে মুছতে বিষ্টমামা বললেন, “স্বদেশী জিনিয আমি ছুই না, বিলিতিও যদি ছাড়ি, আমার কি করে’ তাহলে চলবে ?” * “আপনাকে স্বদেশী কিনতে হবে।” বিষ্ট মামা কেবল বললেন, “পয়সা দিয়ে ? ছত্তোর।" নব নে বললে, “না-হয় দেশী জিনিষ তুলনায় একটু পারাপই, তবু দেশী ত ?” “দেশী জিনিষ খারাপ হলেও যে দেশী তা ত আমি অস্বীকার করছি না।” “দেশী বলে’ই ত কেনা উচিত।” “আমি বিলিতি জিনিষকে বিলিতি বলে’ই কিনে থাকি, সুতরাং যুক্তির দিক্ দিয়ে তোমার সঙ্গে আমার কোনে বিরোধ নেই।” “কিন্তু দেশের লোকরা খেতে পায় না যে ।” “সে তাদের দেয, আমার নয়। সকলে মিলে বিলিতি কেন ছেড়ে দিলে বিলেতের লোকেরাও অনেকে পেতে পাবে না, – তাদেরও ত খেতে পাওয়াট। দেশী লোকের সমানই প্রয়োজন ।” “তবু দেশের কথা আগে ভাবতে হবে।” “দেশের কথা ভাবলে ত আরোই দেশী জিনিষ কেন চলে না ।” “কেন ?” “বেশী পয়সায় তুলনায়-নীরেস দেশী জিনিষ কিনলে ইনেফিশিয়েন্সীকে প্রশ্রয় দিয়ে তাদের মাথা থী ওয়া হবে । কোনোদিনই তারা আর কিছু করে উঠতে পারবে ন! ৷” “কিন্তু কিছুদিন তাদের মাথা খেয়েও যদি দেশট স্বাধীন হয় ?” “দেশ স্বাধীন ? দুৰ্ত্তোর ” নব নে বললে, “আপনি মামীমাকে কি-সব বলে’ বুঝিয়েছেন, আমি শুনেছি, কিন্তু আমি যদি প্রমাণ করতে