পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] পারি যে, বিলিতি বর্জন করে ইংরেজদের সঙ্গে সবরকমে অসহযোগ করে দেশকে স্বাধীন করা সম্ভব ?” বিছুমাম বললেন, “তা যদি প্রমাণ করতে পার তবে দেশী জিনিষ ত আমি আরোই কিম্ব না স্বতরাং সেট। তোমার দিক থেকে পণ্ডশ্রম হবে ।” “কেন ?” সবে ত কথা বলতে শিখেছ, আরও কিছুদিন যাক, ইংরেজের সঙ্গে থেকে তাদের দেখাদেখি একটু মানুষের মত হতে শেথ, তারপর স্বাধীন হবার কথা ভেবো । এখনো যে-ইংরেজকে গালাগাল দাও, তার সামনে গিয়ে দাড়ালে নিজে থেকে তোমাদের শিরদাড়া তুয়ে পড়ে, সে হেসে কথা কইলে মনে মনে বৰ্ত্তে’ যাও, দেশে যখন লড়াই তখনও সদারি নিয়ে তোমাদের ঝগড়ার শেষ নেই, হিন্দু মুসলমানের, মুসলমান হিন্দুর ঘর জালিয়ে দিয়ে তামাসা দেখছ,তেরো বছরের শিশু-কন্যাকে স্বামীর অঙ্কশায়িনী করতে পার্ছ না বলে দেশস্থদ্ধ লোক পৰ্ম্ম গেল বলে’ চেচাচ্ছ, এখনো বিদেশে গেলে গোবর থেয়ে তোমাদের জাতে উঠতে হয়, তোমরা স্বাধীন হলে আমায় ত দেশ ছেড়ে চলে’ যেতে হবে । দেশী জিনিয কিনে তাতে আমি সাহায্য করব ? দুৰ্ত্তোর ” নব নে বিষ্ট মামাকে ঢিপ করে একটা প্রণাম করলে, বললে, “বিষ্টমামা, দেশের কাজ করতে নাম্বার যোগ্যতা যে এখনো লাভ করিনি, আপনি সেটা আমায় বুঝিয়ে দিলেন । আপনার সব-কটা কথারই জবাব আছে, বাড়ী গিয়ে সেগুলি ভাব ব, এবং ফিরে এসে জবাব না দিতে পারা পৰ্য্যন্ত আর কাজে নাম্ব না। যারা গান্ধীর হুকুম বলে’ পিকেটিং মানতে তৈরী হয়েই আছে তাদের পিকেটু করা ত সোজা কাজ, আপনাকে দিয়েই আমার শক্তির পরীক্ষা হবে।” ( > ) কিন্তু নবনের হাত থেকে যত সহজে বিষ্টমামা নিষ্কৃতি পেলেন, মামীম তাকে ঠিক ততটা সহজে নিস্কৃতি দিলেন না । মামার সঙ্গে তর্ক করে’ জিতবার কোনো অভিপ্রায় যে র্তার আছে তার কোনো ব্যবহার দেখে’ হরির লুট b• එL গোপনে তার বাক্স , দেশী মাথার তেল ত। মনে হলো না, কিন্তু পাটরা খন্দরের শার্ল্ডাদে ইত্যাদিতে ভরে উঠতে বিষ্ট মামার বয়স হয়েছিল, সুতরাং গৃহিণী##াজসজ্জা ও অঙ্গরাগের পরিবর্তনটা প্রথম কিছুদিন তিনি বেশী লক্ষ্য করলেন ন। । মামীমাও প্রথম-প্রথম যথেষ্ট সাবধান হয়েই চলতেন, এমন মিহি স্থতোর খদ্দর কিনতেন যাকে সহজে খন্দর বলে চেনবার উপায় ছিল না, সাবান খুলে রেখে সাবানের বাক্স ফেলে’ দিতেন, পুরনো হেয়ার লোশনের বোতলে গন্ধতেল ঢেলে রাখতেন । কিন্তু একদিন হঠাৎ মামীমার শোবার ঘরে অসময়ে হাজির হয়ে তাকে একটা দেড়হাত লম্বা খটখটে কাঠের চরকাতে স্বতে৷ কাটতে দেখে বিষ্ট মামা মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে বসে’ পড়লেন । বললেন, “ও কি হচ্ছে ?” মামীম বললেন, “দেখতেই তপীচ্ছ।” মামা বললেন, “ওসব চলবে না , মামীম বললেন, “বেশ ত চলছে। গোড়ায় একটু অসুবিধা হয়, যতটা স্বতে কাটা হয় তার চেয়ে বেশী স্বতে ছেড়ে । দুদিনেই অভ্যাস হয়ে যায়। আজ ত্রিশ নম্বর কাঢ়ছি।” মামা বললেন, “ছি ছি, তুমি শেষট চরকায় স্বতে কাট্‌ছ ? কেন, তোমার কিসের অভাব ?” মামী বললেন, “চরকাটারই অভাব ছিল, সেট। মিটেছে।” মামা বললেন, “তোমায় স্বতে কাটুতে দেব না আমি ।” - মামী খেইটা জড়িয়ে রেখে ঘুরে বসে’ বললেন, “তোমাকে কি ভীমরতিতে ধরেছে ? আমি চরকা কাটুছি, তাতে তোমার কি ?” মামা বললেন, “আমার কি মানে ? তুমি যা-খুশি তাই করবে, আর আমি তাই দাড়িয়ে দেখব ?” “ন দেখতে চাও দেখো না । আমার দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়াও ত তোমার কাজের অভাব নেই ।” “তাকিয়ে থাকার কাজটাই এর পর বাড়ল । 2ல்