পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bులిg به - امنیت مبهمیت ه - مع তোমাকে যথেষ্ট চোখে চোেখ না রাখাতে ত এতদূর গড়িয়েছে, এর পর কোনটি স্বদেশী রকৃত করে জেলে বাবে, সে আমি হতে দিত্ত্বেপূর্ব না।” মামীম বললেন, “তোমার সঙ্গে তর্ক করব না আমি, কিন্তু চক্কায় স্বতে কেটে আমি কিছুমাত্র অন্যায় করছি তা তুমি আমায় বোঝাতে পারবে না।” মামা বললেন, “আমিও তোমাকে বোঝাবার কোনো চেষ্টা করব না,–কিন্তু এ চলবে না।” , “ যদি চলে ?” “আমিও চল্‌ব, যেদিকে দু চোখ ষায় ।” মামী বললেন, “তোমারই উচিত ছিল সকলের আগে সত্যাগ্রহী হওয়া, কিন্তু দেশের যেমন অদৃষ্ট ! আচ্ছা, এই রইল চর্ক। তোমার কাছে হারই মানলাম।” কিন্তু হার মানবীর মেয়ে মামীম ছিলেন না। দেখা গেল, কেবল যে চর্কাই রইল তা নয়, সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেক-কিছুই তাকে তোলা হয়ে থাকুল । বিষ্ট মামার ভোরবেলার ওম্লেট ওভ্যালটিন মামীম স্বহস্তে তৈরী করে দিতেন, হঠাৎ সেকাজের ভার বাড়ীর চাকরদের উপর গিয়ে পড়ল, ওমলেট্‌ পুড়ে কালে হয়ে যেতে লাগল, শুভ্যালটিন দুধের সঙ্গে ভালো করে মিশল না, চাপ বেঁধে বেঁধে রইল, কিন্তু স্বামীম। কিছুতেই টল্‌লেন না। রান্নার কাজে আগে মাঝে-মাঝে তিনি যেতেন, অন্ততঃ চাকরদের কাজ দেখিয়ে দিয়ে আসতেন, সেটা বন্ধ হয়ে গেল। বিষ্ট মামার মুখে কেবল খে নিরামিষই কচত না তা নয়, একটু রাঃ খারাপ হলে কিছুই প্রায় তিনি মুখে তুলতে পারতেন না ; দিনকের দিন বেচার ক্লশ হতে লাগলেন। তার অন্ত নানা খুটিনাটি আরামের সহস্র উপাদানের জন্যে সারাক্ষণ মামীর উপর তাকে নির্ভর করে থাকৃতে হত, তার সবক’টাতে ব্যাঘাত ঘটুতে লাগল। স্বানের সময় গরম জল পাওয়া যায় না, স্বানের ঘরে গামছা নিয়ে যেতে ভুল হয় এবং স্নানের শেষে ভিজে গায়ে সেটা ধরা পড়ে। দুপুরে দারুণ গরমে পাখা চলে না, সময়ে বিল দেওয়া হয়নি বলে ইলেক্‌টিক কোম্পানী তার কেটে দিয়ে যায়। প্রবাসী—অশ্বিন, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ১ম খণ্ড মাথা ধরলে নিজের হাতে নিজের মাথা টিপতে হয়। বোতাম হারিয়ে যায়, জামা ইস্ত্রি হয় না, এমনি-ধারা সব অঘটন ক্রমশঃ বেশী করে’ ঘটতে লাগল । বিষ্টমামা বললেন, “তুমি কি শেষটা আমার সঙ্গেই অসহযোগ সুরু করলে ? মহাত্মা গান্ধীর শিক্ষা কি এই ?” মামী বললেন, “স্ত্রীলোকের কাছে তাদের স্বামীরাই একমাত্র মহাত্মা । আমি তোমার কাছেই শিক্ষা পেয়েছি।” । বিষ্ট মামা বললেন, “আমি তোমাকে কি এই শিক্ষ দিয়েছি ধে কায়মনোবাক্যে স্বামীকে বর্জন করে চলবে ?” মামী বললেন, “ত জানি না, স্ত্রীর হাতে-কাট স্বতোতে ধার আপত্তি, স্ত্রীর হাতে তৈরী অন্ত-সব জিনিসে তার সমানই আপত্তি হওয়া উচিত। তুমি স্বদেশী বর্জন করতে চাও, আমি তাতে তোমায় বাধা দিতে চাইনে । আমি নিজে যা করব, তাই যে স্বদেশী হবে।” বিষ্ট মামা বললেন, “ন না, তোমার কথা আলাদ, এসো, কাছে এসো দেখি লক্ষ্মীটি !” মামী বললেন, “উহু । আমিও যে এই দেশেরই মেয়ে এবং সে-হেতু স্বদেশী, সেটা স্কুলে গেলে চলবে না ।” মামা বললেন, “নাঃ, এবারে তোমার কাছেই আমায় হার মানতে হলো দেখছি। আচ্ছা, তুমি চরকা কাটুতে পাবে, কিন্তু ঐ চরকাটা না, আমি তোমায় ভালে চরকা এনে দিচ্ছি। ওটাকে তুমি বিদেয় করে। এমন কুৎসিত দেখতে ।” মামী বললেন, “ভালো চরকাতে আমার আপত্তি নেই ।” কিন্তু একমাস কেটে গেলেও ভালো, মন্দ, বা ভালোমন্দের মাঝামাঝি কোনোরকম চরকাই যখন এল না, তখন আবার গোলযোগ স্বঞ্চ হলো । বিষ্টমামার মুখে কেবল এক কথা, “আসছে, চরকা আসছে, এত উতলা হ’লে চলে ? ভালো জিনিষের জন্যে একটু ধৈর্য্যসহকারে অপেক্ষা করতে হয়।” মামী বলেন, “ওসব তোমার চালাকি, ফঁাকি দিয়ে আমার চত্বকাটাকে বাড়ী থেকে সরালে ।