পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] তুমি কি ভেবেছিলে চিরকালটাই আমি ফাকিতে ভুলব, বা পাওয়া যাবে না ?” সুতরাং দ্বিতীয়বার চবৃক এল, পক্ষের গৃহিণীর মতই ঢ়ের উপরে সে আসন তোমার বাজারে আর চরক। কিনতে দ্বিতীয় তার যথাধোগ্য স্থানের লাভ করলে। মামী এখন সারাহ্মণই প্রায় স্থতে কাটেন, চরকা কার্টুতে ন৷ দেওয়াতে অভিমান করে যে-কাজগুলি তিনি অবহেলা করছিলেন, এর পর চবুক কাটার উৎসাহেই সেগুলিতে নিদারুণতর অবহেল৷ ঘটুতে লাগল । বিষ্টমামা থেকে থেকে আচমক “দুন্তোয়” বলে’ হাক দিতে লাগলেন, বিলিতি নষ্ঠের কোঁটে। তাড়াতাড়ি থালি হয়ে যেতে লাগল, কিন্তু বাড়ীতে দিবারাত্র চরকা চলা সত্ত্বেও নিজে যেদিকে ছুচোখ যায় চলে যাবার সঙ্কল্পটাকে কাজে পরিণত করবার কোনো লক্ষণ দেখালেন না । সরে সেটে বসে চত্বকার বিরুদ্ধে ষ্টেট্স্ম্যানের চিঠিপুত্রের স্তম্ভে দিনের পর দিন উগ্ররকম সবু (5) পাঠাতে স্বাদেশিকতার বিরুদ্ধে তার চিরকালের নিঃশেষ হয়ে যাবার পর স্বাদেশিকতার স্বপক্ষ থেকেই নানা অকাট্য যুক্তির তিনি অবতারণ। করতে লাগলেন । দেশের কাপড়ের কলের শে শিশু-ব্যবস নানা প্রতিবন্ধকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠছিল, চরকা তাকে গলা টিপে মারছে এবং তার ফলে দেশের ভিতরের চাহিদা চরকা দ্বারা ত মিট্‌বেই না, কলের কারবার নষ্ট হওয়াতে দেশের বাইরে থেকে উপাজনের যে এবং অত্যন্ত যুক্তিগুলি পথ ছিল সেটাও বন্ধ হবে। সচ্ছল পরিবারের শিক্ষিত মহিলার পক্ষে চরকায় মৃতে কাট যে সময় এবং সামথ্যের কতবড় অপব্যয় ইকনমিক্সের দিক থেকে অঙ্কশাস্ত্রের সহায়তায় তিনি সেট, প্রমাণ করলেন। দেশের সর্বাঙ্গীন উন্নতি তার কালচারের সঙ্গে, এবং কালচার জিনিষটা মানুষের সৌন্দর্য্যবোধের সঙ্গে কি-প্রকার ঘনিষ্ঠ বন্ধনে জড়িত সেটা হরির লুট লাগলেন । ઇન્ડd সাব্যস্ত করে’, o দেশের লোকের সৌন্দৰ্য্যবোধকে নিঃশ্বাসুলপা দিয়ে মারছে তা বলে তিনি তার পাঠকদের মনে ভীতি-সঞ্চার করবার চেষ্টা কবৃতে লাগলেন । কিন্তু পাঠক তার সত্যিই কেউ ছিল কি নী জানা সহজ ছিল না । জানবার প্রয়োজনও তার বিশেস ছিল না। কাজটা আগাগোড়াই ছদ্মনামে চলছিল, লেখক হিসাবে খ্যাতি অর্জনের স্পৃহাও কিছুমাত্র তার ছিল না। রোজকার কাগজটি স্ত্রীর হাত পণ্যস্ত পৌছলেই তিনি তার শ্রম সার্থক জ্ঞান করতেন, কিন্তু বহুদিন ধরে বহু শ্রম করা সত্ত্বেও মামীমার মত কিছুমাত্র বদলাল না। চরকা সমানই চলতে লাগল । পৃথিবীতে সব জিনিষেরই সীমা আছে, বিষ্ট মামার ধৈর্ম্যেরও সীমা ছিল । যেদিন বিকেলে বেড়িয়ে বাড়ী ফিরে এসে তিনি দেখলেন তার বাড়ীর সবকটা ঘরের জানালা থেকে শ্বেতপদ্মের পাপড়ির মতো স্নিগ্ধ ধবল ছাতিমান পদ্ধাগুলি সরিয়ে তাদের জায়গায় থ%রের শাড়ী কাটা পদ ঝুলানো হয়েছে, বস্বার ঘরের চেয়ারগুলির উপরে সাটিনের উপর জরীর ফুলকাট। কুশনগুলির জায়গায় তুলে-ভরা খন্দরের পু টুলি বিরাজ করছে, খন্দরের শাড়ী জুড়ে টেবিলকভার তৈরি হয়েছে, বহুমূল্য চৈনিক ফুলদানির স্থানে কাসার ঘটি অধিষ্ঠিত হয়েছে, সেদিন তার ধৈৰ্য্যের বাধ একেবারেই ভাঙ,ল । নিজের ওপর কোনো শাসনই সেদিন আর তার রইল না । দুহাতে জানলাদরজায় ঝুলানো পদাগুলি টেনে ছিড়ে, টেবিলকভার উঠিয়ে, খন্দরের পুশনগুলি সমেত সব তিনি ছুড়ে ছুড়ে বাড়ীর সাম্নের রাস্তায় ফেলতে লাগলেন । তারপর নীচে নেমে সেগুলিকে এক জায়গায় জড়ো করে” কেরোসিন ঢেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দিলেন । দেখতে দেথতে সেখানে দস্তুর-মত লোকের ভিড় জমে উঠল । সবাই দিব্য নিঃসন্দেহে সিদ্ধান্ত করে নিল বিষ্ট মামা বিলিতি বস্ত্রের বনফায়ার করছেন। শতকণ্ঠে জয়ধ্বনি উঠল, “বল মহাত্মা গান্ধীকি জয়!” আশপাশের বাড়ীর জানলা থেকে পুরনো ছেড়া