৬ষ্ঠ সংখ্যা ] পাটের আপিসের বড়-সাহেবদের মত সারাক্ষণ বদমেজাজী খেকী মুখ করে থাকা দরকার, নয়ত তাদের এফিমিনেট দেখায়। র্তার মুখের যে একটি স্বভাবস্থলভ কমনীয় শ্ৰী ছিল, বড়সাহেবী মুখভঙ্গিটা তার ওপর একেবারেই মানাত না বলে’ তাকে দেখতে ভারি মজার লাগত, কিন্তু বিটুমাম সেটা বুঝতেন না এবং সেই কারণেই তাকে আরো বেশী মজার লাগত। গোলদীঘির যে বেঞ্চিটর উপর তিনি বক্তৃতা দেবার জন্তে উঠে দাড়ালেন, দেখতে দেখতে র্তার সাম্নে কৌতুহলী লোকের ভিড় জমে’ গেল। স্বাদেশিকতার বিপদ সম্বন্ধে বিটুমাম তার প্রথম বক্তৃত৷ স্বরু করলেন। দেখা গেল শ্রোতারা অবহিত হয়ে শুনছে। বিষ্টমামার উৎসাহ-বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ক্রমে তাদেরও উৎসাহ বাড়তে লাগল, ঘন ঘন করতালি পড়তে লাগল । এতদিনকার সঞ্চিত সমস্ত চিত্তবেগকে বাগ্মিতার স্রোতে লঘু করে নিয়ে ঘৰ্ম্মস্রোতে দেহ প্লাবিত করে তিনি যখন বেঞ্চি থেকে নামূলেন তখন করতালির শব্দ কিছুক্ষণ ধরে থামতে চাইল না । শব্দ একটু কম্লে শ্রোতাদের মধ্যে বিষ্ট মামার পরিচিত এক ব্যক্তি বেঞ্চির উপরে বিষ্ট মামার পরিত্যক্ত জায়গাটাতে উঠে দাড়ালেন, তারপর দুহাত তুলে সকলকে নিবৃত্ত হতে বলে, বললেন, “আপনাদের সকলের তরফ থেকে শ্ৰীযুক্ত বিষ্ণুচরণবাবুকে আমি তার আজকের এই পরম উপভোগ্য বক্তৃতার জন্যে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। বিষ্ণুচরণবাবুর বাগ্মিত। অসাধারণ । আমাদের দেশের শাসকসম্প্রদায়ের মনের কথাটি আগাগোড়া ব্যঙ্গচ্ছলে তিনি এমন আশ্চর্য্য স্বকৌশলে ব্যক্ত করেছেন, যে, মনস্তত্ত্বে অদ্ভুত পারদশিত এবং অত্যন্ত সূক্ষ্ম অন্তদৃষ্টি না থাকুলে কারও পক্ষে তা সম্ভবই নয়। যাদের সঙ্গে লড়ব, সারাক্ষণ তাদের একতরফ গলাগলি ন দিযে তাদের বুঝতে চেষ্টা কবুলে যে লড়াই জেতা সহজ হয় তা আপনার সকলেই স্বীকার করবেন। বিষ্ণুচরণবাবু ধন্ত, ধে; তিনি সেইটে বুঝে, সেইদিক থেকে দেশকে সেবা করবার জন্যে অগ্রসর হয়েছেন। আপনার বলুন সকলে, মহাত্ম। গান্ধীকি জয় !” হরির লুট AMMAMMAMMAMAMMMMMAMMMM MMMM AMMAMMAMMAMMAAA AAAAS AAAMeMA MM ASASASA AAA AAAAMAeA AeMMMMMMAAAS b・○。 SAAAAAAAS AAAAA ASASASA SHeAMAS AMSHAAASAAA S بی-۰ সহস্র কণ্ঠে ধ্বন্সিরণিত হতে লাগল, “মহাত্ম গান্ধীকি জয়, বর্ণ মহাত্মা গান্ধীকি জয় !” বক্তৃতামঞ্চের সামুনের ভিড় ক্রমে আরও বাড়তে লাগল, কিন্তু বিটুমামাকে সে ভিড়ের মধ্যে কোথাও খুজে পাওয়া গেল না । এর পর পুলিশ এল, লাঠি charge হলে, যার বক্তৃতা শুনতে এসেছিল, তারা কেউ ভাঙা হাত, কেউ ফাট মাথা নিয়ে বাড়ী ফিরলে, বিষ্ট মামা তখন দরজায় খিল দিয়ে বসে’ তার পরবত্তী বক্তৃতার জন্যে নোট লিখছেন। পাশের ঘরে চরকার শব্দে তার কাজের উৎসাহ বাড়ছেই। - রাশীরুত অকাট্য যুক্তির নোট নেবার অবকাশে বিষ্ট মামা ঠিক করলেন, কাপড়ের দোকানে পিকেট করতে বেরুবেন । নিজের জন্তে বিলিতি কাপড় চোপড় কিছু কিছু কেনবার দরকার ছিল, কাছাকাছি একটা দোকানেও বিলিতি কাপড় পাওয়া शैच्ने না ; স্থির করলেন বাজার ঘুরে প্রয়োজনীয় কাপড় সংগ্রহ করবেন, সঙ্গে সঙ্গে বিলিতির জন্যে প্রপ্যাগ্যাও করে ফিরবেন। শুধু কথায় চিড়ি ভেঙ্গে না, এবারে কাজের আসরে নামতে হবে । গিল্পীকে দেখাতে হবে যে, গৃহে যেঅশাস্তির হষ্টি হয়েছে তার মূলট। সত্যিই কত গভীরতার জায়গায়, তিনি যা অঙ্কু-ভব করেন তা সত্যিই কত নিবিড় করে? অনুভব করেন । বিলিতি কাপড়ের সন্ধানে সমস্ত দিন বিষ্ট মাম। দোকানে দোকানে ঘুরতে লাগলেন। “বিলিতি কাপড় আছে ?” “না মশাই না, কতবার আর বল্ব ? একমাস ধরে’ ত বলছি।”
- কেন রাখেন না ?” “এও ত মুস্কিল কম নয়। শুধু না-রেখেই নিস্তার নেই, আবার কেন রাপি না তার কারণগুলোও এর পর আওড়াতে হবে। আমাদের এত কথা বলবার সময়
.নেই, যান।” অার এক দোকানে ঢোকেন । "বিলিতি কাপড় আছে ?” "আরে রাম: । আজ আপনার ক'জন বেরিয়েছেন ?”