৬ষ্ঠ সংখ্যা ] সেকি কথা গো, দড়ি কি ? মিহি স্থতে—” মামা বললেন, “দেখে। গিন্নি, ঠাট্ট না, তুমি কি শেষ পৰ্য্যন্ত আমার একটা বিপদ না ঘটিয়ে ছাড়বে না ?” মামীম। সত্যই একটুখানি ভয় পেলেন বলে মনে হলো, বললেন, “কেন, আমি আবার কি করেছি ?” মাম বললেন, “কি করনি ? দিনরাত চরকা কাটছ, বাড়ীটাকে খন্দরের গুদোম করে তুলেছ, আরও কি কবৃতে বাকী আছে ?” মামী বললেন, “এর মধ্যে তোমার বিপদটা কোম্খানে ?” বিষ্টমাযার কানে তখনও বড়বাজারের দোকানীর সক্রোধ তর্জন থেকে থেকে বাজ ছিল, বললেন, “আমার বিপদটা যে কোনখানে তা যদি তুমি বুঝতেই পারবে তাহলে আর এদশ আমার হবে কেন ?” মামী বললেন, “কি হয়েছে শুনিই না ?” মাম বললেন, “কি আবার হবে, যেদিন হবে সেদিন আর আমায় কষ্ট করে’ এসে খবর দিতে হবে না। বাপ, আজ মার খেতে খেতে বেঁচে এসেছি।” মামীম একটু ভেবে বললেন, “ও, বুঝেছি। ত৷ লোকে স্বদেশীর জন্যে দলে দলে এত মার খাচ্ছে, তুমি বিদেশীর জন্যে একটু খাও না ? দেশকে যারা ঠগী বগীর অত্যাচার থেকে বঁচিয়েছে, খাল কেটেছে, রাস্তা বেঁধেছে, তাদের পক্ষ হয়ে না-হয় দু’একঘা খেলেই, তাতে তাদের জন্তে তোমার ভালবাসাট একটু প্রমাণ হবে । দেশ স্বাধীন হ’লে যে অঘটনগুলো ঘটবে বলে’ বিশ্বাস কর, তার প্রতিবিধানের জন্যেও ত তোমার লড়া উচিত।” “আমি ত লড় ছিই।” “একে কি আর লড়াই বলে ? লড়তে গেলে মার খাওয়াকে ভয় করলে চলে না।” “আমি মার খাই, সেইটেই তুমি তাহলে ইচ্ছে কর ?”
- আমার ইচ্ছা অনিচ্ছাতে কিছু যায় আসে না । আমি ইচ্ছা না করলেও মার দেবার লোকের হয়ত অভাব হবে না।”
এমন মসলিনের মত چ سو e و b• లిసె পূৰ্ব্বেই বলেছি, নিষ্ঠুৰ্মামার ধৈর্ঘ্যেরও সীমা ছিল। হঠাৎ তার গার্মের রক্ত টগবগ করে ফুটুতে লাগল। কাপা গলায় বললেন, “আমায় মারবে, আমায় ?” মামী নাটাইটাকে কাপড়ের আলমারির ওপর উঠিয়ে রাখতে রাখতে বললেন, “তা বেশী বাড়াবাড়ি করলে মারতেও পারে।” মামা বললেন, “মেরে দেখুক না ।” মামী বললেন, “তুমি তাদের যা দেখাবে তা মীর খাবার পরে ত ?” মামা বললেন, “বটে ! আচ্ছ, দেখি কার বাবার সাধ্যি আমায় মারে। মারা অম্নি কথার কথা কিনা ? মারলেই হলো | মার্বে, আমায় মারবে, আচ্ছা দেখব, কালই দেখব ।” বীরপদভরে বাড়ী কঁাপিয়ে বিষ্ট ম্যম। তখুনুই নিজের শোবার ঘরটায় এসে দরজায় খিল দিলেম । “দুত্তোর’ বলে’ হাক দিতে গিয়েও দুঃখে অপমানে লজ্জায় হাকট। গলার কাছে এসে বাধল। বহু রাত অবধি চোখে ঘুম এল না, শূন্ত শয্যায় 'এপাশ-ওপাশ করতে করতে কালকের অভিযানের জন্যে নান ফন্দি আঁটতে লাগলেম । (8 ) -- পরদিন খুব ভোরে উঠেই বিটুমাম তাড়াতাড়ি সাহেব-বাড়ীর ছাপাখানায় গিয়ে তার দ্বিতীয় বিদেশী বক্তৃতার হ্যাণ্ডবিল ছাপিয়ে নিয়ে এলেন। বেলা দশটার মধ্যে সে হ্যাগুবিল ২০,০০০ কলকাতার পথে পথে বিলি হয়ে গেল । বিদেশী পণ্যের স্বপক্ষে বিস্ময়কর চিত্তবিভ্রান্তকারী বক্তৃত বক্ত} শ্ৰীবিষ্ণুচরণ ঘোষ অদ্য সন্ধ্যা সাড়ে-পাচ-ঘটিকায় কলেজ স্কোয়ারে ইহা হাস্যরসাত্মক নহে, হাস্যরসাত্মক নহে, যুক্তিতর্ক ও সূক্ষ্মবিচারের সাহায্যে সত্যকে স্বপ্রতিষ্ঠিত করিবার সরল প্রয়াস (সভায় কেহ করডালি দিবেন ন! )