পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] মানুষ, বসে থাকলে তাদের গায়ের রক্ত জমে যায়, তার থাটুক, খাটুনীট। তাদের, আমীরিট আমাদের, আমাদের জাত আমীরের জাত, আমাদের দুঃখ কিসের ? আমীরি করতে পেলে খেটে মরূতে কে চায় ? লাভ ত সবদিকে আমরাই করছি। এ ব্যবস্থা উণ্টে দেবার চেষ্ট৷ করার চেয়ে মুর্থতা কি আর আছে ? বক্তৃত। শেষ হতেই আজ আবার অযুত কণ্ঠে মহাত্মা গান্ধীর জয়ধ্বনি উঠে দিজুগুল মুখরিত করতে লাগল। বিষ্ট মাম। বেঞ্চির থেকে মহাবিরক্তিপূর্ণ মুখে নীচে নেমে পড়লেন, তাকে দেখবার জন্যে শ্রোতাদের মধ্যে বিষম ঠেলাঠেলি স্বরু হলো। বিষ্ট মামা দুহাতে সেই ভিড় ঠেলে বেরুতে চেষ্টা করতে লাগলেন, কিন্তু কিছুতেই কৃতকাৰ্য্য হতে পারলেন না। চারদিক থেকে সকলে তাকে এমন ভাবে চেপে রইল যে, তার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবার জো হলো । ‘বেশ বক্তৃতা হয়েছে,” “বড় আমোদ পেয়েছি,” “আপনি সব কথাকে এত স্বন্দর ঘুরিয়ে বলতে পারেন,” “যাদের বুঝবার তারা সব ঠিকই বুঝবে,” ইত্যাকার বাক্যে সকলে মহা উৎসাহে তাকে অভিনন্দিত করতে লাগল। বিষ্ট মামার রক্ত আবার গরম হয়ে ওঠে, চেচিয়ে বলেন, ‘ আপনার ভুল করছেন, এ হাসির কথা নয় । আমি হাস্ত্যংস হষ্টি করুবার জন্যে একটা কথাও বলিনি।” শ্রোতাদের মধ্যে থেকে একজন উঠে বলে, “ভাই-সব, বিষ্ণুচরণবাবু ঠিক কথাই বলছেন। তোমরা যেটাকে হাসির কথা মনে করছ, তা হাসি সত্যিই নয়, তার সবটাই কান্ন। বিলুচরণবাবু দেশের দুঃখে হাসির ছল করে আজ কেদেছেন। তার দুঃখ যে কত বড় তা এই থেকেই তোমরা বুঝতে পারবে, যে, সে-দুঃথে কাদ।ারও তার অধিকার নেই—” এমন সময় ভিড় ঠেলে একদল পুলিশ এগিয়ে এল এবং বকৃভামঞ্চে উঠে বক্তাকে গ্রেপ্তার কবুলে। জনতা উদ্ধাম আবেগে চীংকার করতে লাগল, ‘মহাত্মা গান্ধী-কি জয় ।” বিষ্টমামার মুখে এতক্ষণে একটু হাসি ফুটে উঠল। চারটাকে টেনে ভালে করে’গারে জড়িয়ে তিনি পুলিশকে দুই চোথের স্নিগ্ধ দৃষ্টি দিয়ে সম্বৰ্দ্ধনা করলেন, তারপর জনতার মধ্যে একট। ফাক আবিষ্কার করে সেদিক্ দিয়ে হরির লুট b-8> প্রস্থান করবেন ভাবলু এমন সময় আর-একদল পুলিশ এসে তাকেও ঘেরাও করল। বিষ্ট মামা বিম্মিত আতঙ্কে মুখ ভরে তুলে বললেন, “সে কি, আমায় ?” পুলিশের দারোগ বললে, “আঞ্জে হ্যা, আপনিই ত আজকের বড় আসামী ।” বিছুমাম বললেন, “নিশ্চয়ই আপনার একটা ভুল Ftātāzī, stafą Rfn Bestow Churn Gosse I” দারোগ পকেট থেকে একখানা কাগজ বার করে দেখে’ বললে, “হ্যা, ঠিকই হয়েছে। বেষ্ট চাবুন গস্-ই বটে ।” বিছুমামা একবার চারিদিকে তাকিয়ে তিনি জেগে আছেন, না ঘুমিয়ে দুঃস্বপ্ন দেখছেন, সেট। ধারণা করতে চেষ্টা করলেন। তারপর আচমকা হাক দিয়ে উঠলেন, “দুত্তোর ” লালবাজারের হাজতে বসে শুনতৃে লাগলেন, বাইরে জনতা ক্ষিপ্তপ্রায় হয়ে চীংকার করছে, “বল মহাত্মা গান্ধীকি জয়,” “বল বিষ্ট চরণ ঘোষ-কি জয়।” বহুতর লাঠির ফটফট শব্দ শুনতে পাওয়া গেল মনে হলে, কিন্তু কিছুতেই তার দমূল না, দ্বিগুণতর জোরে শব্দ হ’তে লাগল, “বল বিষ্ট চরণ ঘোষ-কি জয় !” 毒 পরদিনবিচারে વિજ્ઞાિ ন’মাসের জেল হয়ে গেল । সরকারপক্ষের উকীল তার চার্জ শীট দাখিল করে, বললেন, “ধৰ্ম্মাবতার, এ ব্যক্তি পরিহাসচ্ছলে রাজদ্রোহ প্রচার করে । যা বলতে চায় ঠিক তার উন্টোটা বলে । তার ফলে তার বলবার কথাটা আরও বেশী জোরালো হয় ।” ধৰ্ম্মাবতার বললেন, “ও ! তুমি ভেবেছিলে তোমার চালাকি কেউ ধরতে পারবে না ? তুমিই একমাত্র চালাক, আর পুলিশের লোকেরা সব মুখ ?” - বিষ্ট মামা বললেন, “ম ধৰ্ম্মাবতার, আমি বুঝতে পারছি আমিই একমাত্র মুখ ।” প্রশ্ন হলে, “তোমার কিছু বলবার আছে ?” বিষ্ট মাম বললেন, “আছে, কিন্তু সেটা জেল থেকে বেরিয়ে বলব।” 豪 酱 莱 আজ রাত্রে মামীমার বাড়ী আমাদের সকলের হরির লুটের নিমন্ত্রণ।