পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

છે সংখ্যা | সংসারযাত্রা নির্বাহ করিতেন। পুরুষ কৃষি, জমিজমার কাজ, দরবারে দপ্তরে লেখাপড়া এবং রাষ্ট্রশাসনের কাজ করিতেন ; মেয়ের৷ ঘরের সমস্ত কাজ অতি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করিতেন । র্তাহার। প্রিয়জনের জন্ত রান্নাঘরে নূতন নুতন খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করিয়া উদ্ভাবনীশক্তির পরিচয় দিতেন ; ক্ষেত্র হইতে ফসল আদিলে তাহ গোলায় চুলিতেন ; ভাড়ার রাখিতেন ; কস্থাশীলন ও আলিপনায় বিচিত্র কৌশল দেথাইতেন--তাহার কথকতা, কাৰ্বন, গীতার ব্যাথা ও পুরাণপাঠ শুনিতেন। এখন চাকর ও বামুনের সাহ করে তাহার অনেক কাজই তাহার। প্রসন্নমনে করিতেন । ইহা তাহদের দাসীবৃত্তি চিল না, প্রিয়জনের জন্য এই সেবা ত্তি ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল হইয়। উঠিত ৷. এখন মহিলাদের জীবনের প্রয়োজনের অঙ্ক প্রায় শেষ হইয়। গিয়াছে । সহরে যাহা দেখি তাঙ্গাতে , মনে হয় তাহীদের কোন প্রয়োজনই নাই। পাড়াগায়েও মহলের এই আবহাওয়া বহিন্তে সুর BBB S BBBBBBB BBBB gBBBB BBBB BB BBB BB পাইয়া লাইতেছে । তিনি রান্নাঘরের সঙ্গে সম্বন্ধ রাপিতে ইচ্ছুক নছেন। শিশুপালনের ভারে তিনি কাপ্ত হইয় পড়েন । দেকালে মেয়ের টেকি কুটিতেন, আধিক্ৰেণশ দূরের নদী হইতে কলসী করিয়া BB BBBBS BBB BBBBBBBS BBBB BBBB BBBBBS BBBBB গরুর সেবা, গোয়ালে ধোয় দেওয়া ও গোময়ে সূপের মেঝে ও টুঠান মার্জন করিতেন—এই সকল কায্যে শরীর সবল ও পুষ্ট হুইত--- ইহা একরূপ ব্যায়াম ছিল । এখনকার মেয়ের গোময় এবং টেকির কথা শুনিলে আতঙ্কিত হইবেন । বাসনকৌশল বিয়ের মাৰ্জ্জন৷ করিয়া থাকে, লবণসমুদের তারবালী উড়ে-বামুন ব্যঞ্জনাদি অতিরিক্ত লবণে খাদ্য করিয়া গৃহস্বামীর পাতে দিয়া যায়,--আনেক সময়ে یعی গৃহিণী উকি মারিয়াও স্বান্নাঘবের ব্যাপার দেখেন না । এখন অনেক সময়ে গৃহিণী সংসাবের পক্ষে শুধু অপ্রয়োজনীয় নহেন, তিনি গৃহস্তের কাধের একটা অতিরিক্ত বোঝা—অষ্টপ্রহর তাহার পীড়া লাগিয়াই আছে ; শিশুসন্তানগুলি ঘর ভৰ্ত্তি করিয়। গৃহস্তুের মাথ৷ দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগে বিব্রত করিয়া ফেলিতেছে । ইহা ছাড়া উাহার সিনেমা, নাটক, সার্কাস, প্রহসন প্রভৃতি দেখার সখ পুরুষটিকে মিটাইতে হয়। রিক্তহস্ত ভদ্রলোকের সংসার যে ক তথালি দুঃসহ হইয়াছে তাহার চিত্র বাঙ্গালার ঘরে ঘরে মৰ্ম্মস্থদ রেখায় অঙ্কিত রহিয়াছে।••• তারপর যে-কথা লইয়া সুরু করা গিয়াছিল, শিক্ষিত যুবককে প্রায়ই তাশিক্ষিত স্ত্রীকে লইয়া সংসার চাচাইতে হয়,--উভয়ে শিক্ষাদীক্ষা সম্বন্ধে দুই বিভিন্ন মেরুতে দাড়াইয়। গাছেন ।...স্বামী বেসকল বিষয় চিন্তা করেন স্ত্রী তাহার কোন ধার ধারেন না । যৌন বা দাম্পত্যের যে সুখস্বপ্ন যৌবনের একটা বড় আনন্দ, এইরূপ অসম মিলনে তাহা হইতে র্তাহারা বঞ্চিত হন ।... পুৰ্ব্বতন সমাজের রীতিনীতি এখন পরিবর্তন করা আবশ্বক। কষ্টিপাথর-–বর্তমান যুগের নারী-সমস্যা bሥ® ® দুঃখের বিষয় প্রাচীন সংস্কারের মৃতদেহটা মেয়েরাই অতিরিক্ত শ্রদ্ধায় আঁকড়াইয়। ধরিয়া রহিয়াছেন । - তথাকথিত হীন জাতির স্পর্শ ইহাদের নিকট বিষডুল্য। চণ্ডীদাস বলিয়াছেন- “চলিবার তরে কর উপদেশ পাথর চাপিয়া পিঠে”--- আমরাই যাহাদিগকে হীন করিয়৷ গড়িয়াছি তাহাদের এতটা ঘৃণা করা কি আমাদের সাঞ্জে ? আপনারা জানেন কি না জানি না, হাড়ি জাতি এককালে বৌদ্ধ রাজস্যবর্গের পুরোহিতের কাজ করিতেন। গোবিন্দচন্দ্রের গুরু হাড়ি সিদ্ধার নাম অনেকেই শুনিয়াছেন। তুর্গাপূজার প্রধান পুরোহিত এককালে হাড়ির ছিলেন, এইজষ্ঠ দুৰ্গ৷ হাডির মেয়ে বলিয়া উল্লিপিত। এখনও অনেক কালীমন্দিরের পুরোহিত হাডি। মেথর ‘মহত্তর’ শব্দের অপভ্রংশ --ইহার লে’দ্ধাধিকারে মহাতগ্রিক ছিলেন ।••• এই হীন ও অনিষ্টকর জাতিভেদ-২থা স্ত্রীলোকেরা যেরূপ উৎকটভাবে পালন করিতেছেন তাহাতে হিন্দুসমাজ একেবারে সর্বনাশের যুগে হ্যালিয়া দাড়াইয়াছে । সভাসমিতির সমস্ত প্রস্তাব, সংস্কারকের • সমস্ত চেষ্টা উগ্ৰচণ্ড পিসী বা বিধবা মাতুলানীর বিক্রমে একেবারে নিম্প্রভ হইয়া পড়িতে ৯ ... বিবাহের অতিরিক্ত বায় ও পণপ্রথা মেয়েদের প্রশ্রয়ে বাড়িয়া চলিতেছে। স্বামী কন্যাদায় ঋণজন্ধুে আবদ্ধ, তথাপি সস্তানের বিবাহ উপলক্ষো মেয়ের তত্ত্ব ও উৎসবাদির ऊछ'cनई শুল্কমুখ, নিরাশাগ্রস্ত পুরুষটিকে এরূপ পীড়াপীড়ি করেন, যে, তাহাকে আরও ঋণে জড়াইয়া পড়িতে হয় ।••• @ ভদ্রগরের মেয়ের পূর্বব গলে অর্জন করিতেন ; তাহারা চরকা কাটিয়া, কাপড়ে ফুল তুলিয়, কাথাদি সাবন করিয়া এবং পৈতা তৈয়ারী করিয়া বিক্রয় করিতেন । বিধবারা নিতান্ত নিরাশ্রয় অবস্থাতেও নিজের পায়ের উপর ভর করিয়া, দঁাড়াইতে পারিতেন । তাহাদের আর একটি প্রধান স্বাবলম্বনের ভিত্তি ছিল কবিরাজ ব্যবস। বৈদ্যের ঘরের মহিলারা অনেকে না নাপ্রকার ঔষধ প্রস্তুত করিতেন ও মুষ্টিযোগ জানিতেন ; গনেক সময়ে উপহাদের খ্যাতি গ্রাম হইতে গ্রামান্তরে ছড়াইয়া পড়িত ...পুরুষ ও স্ত্রীলোক, ইহাঙ্গের এক শ্রেণী কাজ করিবেন, আর এক শ্রেণ পঙ্গু হইয়া শুইয়া-বদিয়া কবিতা ও গল্পের বই লইয়া সময়াতিপাত কপ্লিবেন এবং আল ও কুঅভ্যাসজনিত পীড়ায় আক্রান্ত হইয়া দিবারাত্র পরিশ্রমে ক্লান্ত স্বামীকে হায়রাণ করিয়া তুলিবেন– এই বি সদৃশ দৃষ্ঠ সেকালে দেখা যাইত না।-- যদি আমাদের ময়ে শিক্ষয়িত্রী হইয়া গ্রামের মেয়েদের শিক্ষাদান করেন, যদি ভিক্ষকবৃত্তি ত কিঃম্বিন করিয়া ঘরে বসিয়া মুষ্টিযোগ ও ঔষধ বিক্রয় করেন ও নিজগৃহে ই স্ত্রীরোগীদের চিকিৎসার ভার গ্রহণ করেন, নানারূপ জাম, রুমাল প্রভৃতি তৈয়া করিয়া বিক্রয়ার্থ বাজারে পাঠান, যদি তাহারা পৃদল তৈয়ারী করিয়া ধিক্রয় করেন, তবে র্তাহীদের আর পুরুষের গলগ্ৰহ হইতে হয় না। বঙ্গলক্ষ্মী, শ্রাবণ ১৩৩৭ শ্রদীনেশচন্দ্র সেন