পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা } اهمیت میی অভিধান しーや盤 zzz ? $sqrīzes wffff; parts of speech, CFR কেহ নয়টাও বলতেন। প্রাচীন সংস্কৃত ব্যাকরণে ও নিরুক্তে নাম, আখ্যাত, উপসর্গ ও নিপাত—এই চারিট parts of speech wroo coin cofa woxio বইতে কৰ্ম্মপ্রবচনীয় বলিয়া আর একটি জুড়িয়া দেওয়া হইয়াছে। পাণিনি এ সকল কিছুই মানেন না । তাহার NERE parts of speech BfG–NRG e fsgs ! তিনি বলেন, বিভক্তিযুক্ত না হইলে সে শব্দ শাস্ত্রে প্রয়োগ হয় না, অর্থাৎ ভাষায় ব্যবহার হয় না – স্বতরাং এমন শব্দ নাই যাহার উত্তর বিভক্তি বসে না। যদি শাস্ত্রে প্রয়োগ, ভাষায় ব্যবহার না কর, বিভক্তি না দিয়াও ব্যবহার করা চলে ; যেমন জপের সময় রাম রাম, কৃষ্ণ কৃষ্ণ, দুর্গ দুর্গ ; কিন্তু ভাষায় ব্যবহার করিতে হইলেই বিভক্তি দিতে হইবে । কিন্তু কই চ, বা, হা, চৈ, সায়ং, প্রাতঃ — এ সকলে ত বিভক্তি নাই। পাণিনি বলেন,বিভক্তি হইয়াছিল, লোপ হইয়াছে। Max Muller ঠাট্টা করিয়া বলিয়াছেন, পাণিনি শব্দের শ্রেণীবিভাগ করিতে গিয়া লোপ নামে একটা fiction স্বীকার করিয়াছেন, তথাপি শব্দগুলিকে তিনভাগে বিভক্ত করিতে নারাজ-নারাজ ত হইবারই কথা ; সূক্ষদৃষ্টিতে দেখিতে গেলে ভাগ দুই না করিয়া তিন করিতে গেলেই ভাগের গাড়া স্থির থাকে ন!—এভাগের জিনিষ ওভাগে গিয় পড়ে (অর্থাং অব্যাপ্তি ও অতিব্যাপ্তি হয় ) । তাই পাণিনি শব্দরাশিকে দুইভাগে ভাগ করিয়াছেন - এক ভাগের উত্তর সুপ, বিভক্তি ও আর একভাগের উত্তর তিঙ বিভক্তি হয়। ধাতুর উত্তর যে-সব বিভক্তি হইয়া ক্রিয়াপদ তৈয়ারি হয় তাহাকে তিঙ বিভক্তি বলে, আর নামের উত্তর যে বিভক্তি হইয়া পদ ভাষায় ব্যবহার হয় তাহাকে স্বপ, বিভক্তি কহে । কিন্তু অনেক শব্দের উত্তর বিভক্তি দেখিতে পাওয়া যায় না—পাণিনি বলেন, বিভক্তি হইয়া লোপ হইয়াছে। তাহ হইলে ভাগ এইরূপ হইল--- শবরাশি তিঙন্ত विडर्किं লোপ विडलिं লোপ নয় goa costi frog parts of speech to অর্থ হইতে বোঝা যায় না। ইংরাজি ব্যাকরণের মতে বোঝা যায় বলে, কিন্তু সেটাও ঠিক কথা নয়। পাণিনির মতে সে কথা উঠিতেই পারে না । মানের সঙ্গে parts of speech-এর কোন সম্বন্ধ নাই। ব্যবহার দেখিয়া অথবা বিভক্তি দেখিয়া বুঝিতে হয়। ইংরাজিতে আট নয় ভাগে শস্বরাশিকে ভাগ করায় এক that কখনও eonjunction হইতেছে, কখনও ' relative pronoun হইতেছে, আবার কখনও adjective-ও হইতেছে, কিন্তু পাণিনির মতে হইবার জো নাই। পদ হইলেই হয় স্ববন্ত নয় তিঙস্ত হইতেই হইবে—কোন পদ দুই অস্ত হইতে পারে না। যে-সকল শব্দের উত্তর বিভক্তির লোপ হয় তাহাদিগকে অব্যয় বলে। অব্যয় আবার দুই রকম। কতকগুলি ধাতুর সহিত জুড়িয়া যায়, সেগুলিকে উপসর্গ বলে । যখন সেগুলি ধাতুর সঙ্গে জুড়িয়া যায় না অথচ তাহদের যোগে বিভক্তি । হয়, তখন সেগুলিকে কৰ্ম্মপ্রবচনীয় বলে । বাকী অব্যয়ের নাম নিপাত । ইংরাজিতে কারক ও বিভক্তি দুটি জিনিষ নয়। অস্ততঃ দুটি জিনিষ বলিয়া ধরে না। কিন্তু সংস্কৃতে এবং বাঙ্গলায় দুটি স্বতন্ত্র জিনিষ---কারক সম্বন্ধ বুঝায়। সম্বন্ধ বুঝাইলে সে ব্যাকরণের সীমা অতিক্রম করিয়া যায়। যে শাস্ত্রে গিয়া পড়ে তাহার নাম বাদার্থ, ন্যায়শাস্ত্র অথবা ন্যায়ুশাস্ত্রের শব্দখণ্ড । কিন্তু বিভক্তি থাটি. ব্যাকরণের কথা, কারণ বিভক্তি না হইলে পদ শুদ্ধ হইল কিনা বুঝা যায় না । 曼 এইস্থলে বলিয়া রাখি, আমাদের ব্যাকরণ ও ইংরাজি grammar of faifax as I Grammar is the art of speaking and writing a language correctly. ংস্কৃত ব্যাকরণের মানে কিন্তু আর কিছু। ব্যাক্রিয়স্তে ব্যুৎপাদ্যন্তে শব্দ অনেন ব্যাকরণং—অর্থাৎ শব্দটি শুদ্ধ করা পৰ্য্যন্তই ব্যাকরণের সীম। ইংরাজিতে গ্রামারের মধ্যে উচ্চারণ পড়ে। উচ্চারণের জন্য সংস্কৃতে একটি স্বতন্ত্র শাস্ত্র আছে—তাহার নাম শিক্ষা । গ্রামারে Etymology থাকে, ইহারই সংস্কৃত নাম ব্যাকরণ । ইংরাজিতে গ্রামারে syntax থাকে---সংস্কৃতে syntax-এর মোটা মোটা গোট|কতক কথা যাহ নহিলে ব্যাকরণ চলে না,তাহাই ব্যাকরণে থাকে—বাকীট বাদার্থশাস্ত্রে গিয়া পড়ে । ইংরাজি গ্রামারে ছন্দের উপর একটা অধ্যায় থাকে, সংস্কৃতে ছন্দশাস্ত্র স্বতন্ত্র । .গ্রামারে figures of speech থাকে, সংস্কৃতে অলঙ্কারশাস্ত্র স্বতন্ত্র । সুতরাং ইংরাজি গ্রামার ও সংস্কৃত ব্যাকরণ এক নহে । ইংরাজি গ্রামারকে শব্দশাস্ত্র বল যাইতে পারে, সংস্কৃত ব্যাকরণ শুধু পদের আকার লইয়া। ব্যাকরণ ও গ্রামারে যখন এত তফাৎ তখন ২ব্যাকরণকে গ্রামার বলা কিছুতেই উচিত নহে। এক বলিয়া মনে করিলেই গোলযোগ হইবে । এক জায়গায় খুব গোলোযোগ হইয়াছে। ব্যাকরণে ছয়ট বই কারক নাই, কিন্তু ইংরাজিতে আটটা কারক—কেন এরূপ হয় ? ব্যাকরণে সম্বন্ধকে কারক