১ম সংখ্যা ] ഹുപ്പ. -്.--പ്പസ്സl-l.*ും്.--്." গ্রামের কখা যেন বহুকালের বাল্য-স্বপ্ন, ইন্দ্রজাল । সত্য সত্যই কি এমন স্থান থাকিতে পারে ? এমন মুক্ত আকাশ, এমন মধুর বাতাস, আম বাগানে এমন বিহঙ্গকাকলী ? শিশুদের ভাঙা ভাঙা কথা, বৃদ্ধদের আগেকার কালের কথা, কালীচরণ কখনও কি শুনিয়াছিল ? শীতকালে মাথার উপর দিয়া হাসের দল উড়িয়া যাইত, নদীর মাঝখানে বালুকার চরে বসিয়া বুনো হাস রৌদ্র পোহাইত, মাল-বোঝাই-করা নৌকা ভাসিয়া যাইত, মাঝি হাল ধরিয়া আপনার মনে গান গাহিত। গ্রামে রাধাবল্লভ জীউর মন্দিরে সন্ধ্য আরতির সময় কি রকম র্কাসর ঘণ্টা বাজে ! সহরের কথা একটা দারুণ দুঃস্বপ্নের হ্যায় মনে হইত, সবই যেন জাল, সবই প্রবঞ্চন, মানুষ মানুষের শত্রু । সে কথা মনে হইলে তাহার বুকের ভিতর র্কাপিয়া উঠিত। একদিন সন্ধ্যার পর কয়েকজন নূতন কয়েদী আসিল । অপর কয়েদীরা তখন শয়ন করিতে গিয়াছে। প্রাতে উঠিয় কালীচরণ জেলরের আপিসে গেল। সেখানে সে নিত্য টেবিল ঝাড়িয়া, ঘর ঝাট দিয়া ঘর পরিষ্কার করিত, জেলর আসিলে পর অপর কাজে যাইত। কাজ তাহাকে বিশেষ কিছু করিতে হইত না, অন্য কয়েদীদের কাজ দেখিত। ধমক-ধামক বড় একটা দিত না । কালীচরণ দেখিল তেলের ঘানিতে দুইজন নূতন কয়েদী ঘানি টানিতেছে। তাহাদিগকে দেখিয়া কালীচরণ স্তদ্ধ হইয়া দাড়াইল। তাহার চক্ষু স্থির হইল, ওষ্ঠাধর কম্পিত হইল। কয়েদী দুইজনের গলার চাকৃতিতে নম্বর ৪০৫ আর ৪০৬। কয়েদী দুইজন কালীচরণকে দেখিয়া হাসিতে লাগিল। একজন বলিল,—এই যে কালীচরণ! তোমাকে অনেক দিন দেখতে না পেয়ে আমাদের মন কেমন করছিল, তাই তোমার সঙ্গে দেখা করতে এসেচি । কালীচরণ নিষ্পন্দ, একটি কথাও কহিতে পারিল না। سبم حملے-یے--سمہ عیسہ۔ অজগরের চক্ষে পড়িলে পার্থী যেমন আড়ষ্ট হইয়া যায়, কালীচরণ সেই রকম আড়ষ্ট হইয় দাড়াইয়া রহিল। দ্বিতীয় নূতন কয়েদী হাসিয়া স্থর করিয়া কহিল,— У о মায়াপুরের বন্দী අම් AMMAMAMAMMAMMAAeA MAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA S AA SAASAASAASAAAS চিরদিন কখনও সমান না যায়, কখনও বাবুয়ানা, কখনও ঘানিটান । কালীচরণ প্রস্তরমূৰ্ত্তির ন্যায় দাড়াইয়া রহিয়াছে, এমন সময় জেলর আসিয়া উপস্থিত । সে তীক্ষকটাক্ষে একবার কালীচরণের দিকে আর একবার নূতন কয়েদীদের দিকে চাহিয়া দেখিল । কালীচরণকে জিজ্ঞাসা করিল, তুমি এদের চেন ? —হঁী, হুজুর। —কে এরা ? —যে বাবুদের কাছে আমি চাকরী করতাম আর যার আমাকে নোট ভাঙাতে দিত তাদের মধ্যে এই দু’ জন । জেলরের ভ্র কুঞ্চিত হইয়া চক্ষু ছুচের মত হইল। কয়েদী দুইজনকে যেন চক্ষের দৃষ্টিতে বিদ্ধ করিয়া অতি মৃদুস্বরে বলিল, তোমরা এই নিরপরাধী ব্যক্তিকে ফাসাইয়াছিলে ? পুরাতন কয়েদীরা জানিত যে, জেলরের তর্জন-গর্জনকে যত না ভয়, সে চিবাইয়া চিবাইয়া মৃদু মৃদু কথা কহিলে তাহার অপেক্ষ অধিক ভয়। এই দুইজন কয়েদী সবে শ্ৰীঘরে শুভাগমন করিয়াছে, তাহারা সে কথা কেমন করিয়া জানিবে ? একজন দাত বাহির করিয়া রহস্য করিয়া বলিল,—এমন হয়েই থাকে, উদোর বোঝা অনেক সময় বুদোর ঘাড়ে পড়ে। জেলর আরও মৃদুস্বরে বলিল,—নরকে যাবার আগেই নরক কাকে বলে তোমরা জানতে পারবে । জেলর চলিয়া গেল, কালীচরণও সেই সঙ্গে গেল । ৪০৫ আর ৪০৬ কয়েদীর নরক-যন্ত্রণা আরম্ভ হইতে বড় বিলম্ব হইল না। তাহারা জাল, নোট তৈরী করা ছাড় কখন কোন পরিশ্রম করে নাই, কখন কাহারও আদেশে কোন কৰ্ম্ম করে নাই, কখন কোনরূপ ক্লেশ স্বীকার করে নাই । জেলের কদম্ন আহার করিতে তাহাদের রুচি হইত না, জেলের কঠোর শাসনে তাহাদের রাগ হইত। তাহার উপর হাড়ভাঙা পরিশ্রম আর জুেলরের তীব্র দৃষ্টি। জেলর যখন-তখন আসিয়া তাহাদের কাজ দেখিত, অলস বলিয় তাহাদিগকে তিরস্কার করিত। পাচ সাতদিন যাইতেই একদিন কয়েদী দুইজন জেলরের
পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।