পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বীপময় ভারত শ্ৰীমুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (৯ ) বলিদ্বীপ-তাম্পাকৃ-সেরিঙ, .. ; ৩১শে আগষ্ট ১৯২৭, বুধবার -- o রঙকুঙ, বলিদ্বীপের শিল্পকলার আর প্রাচীন জীবনের ன்ன் কেন্দ্র। প্রাচীন ধরণের মুৰ্ত্তি আর অন্য ধাতুর জিনিস আর কাপড়-চোপড় এ অঞ্চলে এখনও খুব তৈরী ইয়। এই শহরের দক্ষিণে কতকগুলি মন্দির আছে, aাগুলি জামাদের দেখা হ’ল না । ডচ দের দ্বারা যখন ৰলি-বিজয় হয়, তখন এই ক্লঙ কুঙের রাজা সপরিবারে রাজপুতদের জোঁহরের মতন পুপুতান’ ক’রে আত্মাহুতি দেন, এ কথার উল্লেখ পূর্বে ক’রেছি। ইচ্ছে থাকৃলেও এখানে এক রাজের বেশী কাটাতে পারা গেল না । সাড়ে সাতটায় তাড়াতাড়ি প্রাতুরাশ সেরে আমরা Tampak Sering et-rit:-cife, tai r: তাম্পাক-সেরিঙ-এর ডাক বাঙলায় কবি আছেন ; আমরা ঐ স্থানটি দেখে আসবে, আর কবিকে সঙ্গে ক’রে নিয়ে Gianjarগিয়াঞার-এ আসবে। সারা দিনের মোটর ভাড়া হ’ল পচিশ গিলডারে। তাম্পাক-সেরিঙ পাহাড়ের মধ্যে চমৎকার একটী স্থান, নির্জন, শাস্তির আবাসভূমি। একটা ছোট পাহাড়ের উপরে ‘পাসাঙ্গাহান’ট, আশে পাশে খুব গাছ পালা, স্থানটা বেশ ঠাণ্ড । পাসা হানের সামনে একটা পোস্তার মতন আছে, সেখান থেকে নীচে মাঠ রাস্ত গ্রাম এসবের স্বন্দর দৃশ্ব দেখা যায়। . পাহাড়ে’ নদী একটা আছে, আর বলিদ্বীপের বিশেষত্ব পাহাড়ের গা কেটে কেটে ধানের ক্ষেতের গুর। প্রচুর নারকেল কন। পাসা,াহান থেকে নীচের উপত্যকায় একটা চমৎকার স্বানের জায়গা দেখা গেল । বলিদ্বীপীয়েরা বড়ই স্নান-প্রিয়। দ্বীপের মধ্যে যেখানে জলের শ্রোতের স্থবিধে পেয়েছে, সেখানেই ইটের দেয়ালে খেরা স্নানাগার বানিয়েছে। কতকগুলি মকর-মুখ বা সাদা বা হোঁজে ; তাতে এক বুক বা এক কোমর বা এক হাটু জলে নলের সামনে ব’সে লোকেরা স্নান করে-বাড়তি জল নরদমা বা নালা দিয়ে ক্রমাগত বেরিয়ে যাচ্ছে । এই রকম স্নানাগার মেয়েদের জন্য আর পুরুষদের জন্য আলাদা আলাদা। বলিদ্বীপের সৃভ্যতার পরিচায়ক একটি স্বন্দর জিনিস হ’চ্ছে এই স্নানাগারের ব্যবস্থা । , , পাসাঙ্গ হানের সামনে যে জলধারাকে অবলম্বন ক’রে স্নানাগার করা হয়েছে, সেটার নাম ‘তীত আম্পূল’ বা ‘আপুল তীর্থ । এটাকে স্থানীয় লোকেরা অতি পবিত্র বলে মনে ক’রে থাকে। বিশেষ উৎসব উপলক্ষে দূর থেকে বহু স্নানার্থী এখানে নাকি এসে থাকে। এই তীর্থের পবিত্রতা সম্বন্ধে একটা স্থল-পুরাণ’ বা স্থানীয় কাহিনী আছে, সেটি বড়ো স্বন্দর। একটা স্বন্দরী রাজকন্য র্তার পিতার একজন যুবক অহচরকে ভালো বেসেছিলেন। এই অল্পচরটাও মনে মনে রাজকন্যাকে ভালো বাসতেন, কিন্তু তার এই বোধ ছিল যে বংশ-গৌরবে তিনি রাজার মেয়ের অনুপযুক্ত, রাজকন্যাকে বিবাহ করলে রাজার মৰ্য্যাদার হানি হবে ; এইজন্য তিনি রাজকন্যার প্রণয়কে প্রভুর প্রতি কৰ্ত্তব্য হেতু প্রত্যাখ্যান করেন । রাজকন্ত। কিন্তু এতে মৰ্ম্মাস্তিক ক্রুদ্ধ হন, আর পিতার এই পারিষদের পানীয়ে বিষ মিশিয়ে দেন। যুবক এই বিষ পান করেন, আর তখনই ব্যাপারখানা বুঝতে পারেন। পাছে তার মৃত্যুতে রাজকন্যার নাম জড়িয়ে রাজকন্যার কোনও অপযশ রটে, সেইজন্ত তখনি এই তীর্থ-আম্পূলের কাছে বনে গোপনে প্রাণত্যাগ করবার জন্য পালিয়ে আসেন। তার চরিত্রে প্রীত হ’য়ে দেবতার। এই তীর্থের জল খাইয়ে তার প্রাণদান করেন। সেই থেকে এই তীর্থের পবিত্রতা। এই স্বন্দর শান্তিপূর্ণ স্থানে ক'দিন কাটিয়ে কবির নল দিয়ে স্বাভাবিক তোড়ে জল এসে পড়ে, একটা চৌবাচ্চা শরীর জার মন দুইই ভালো আছে দেখে আমরা আশ্বস্ত